![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিপিড়িত শ্রমজীবি মানুষের অধিকার আদায়ের লড়ায়ে আমিও একজন।
এমনি এক শ্বাপদ সময় আজ করিতেছি যে পার
জলশুন্য শুকনো চোখ, অনাদরে নির্ভাজ চাদর--
সিক্ত থাকে শুধু ক্রন্দন প্রার্থনায় একাকি বালিশটা
এভাবেই আসিতেছে আজ আমাদের প্রতিটা সকাল।
তবে ঠিক জানি হবে অবসান এই দিনের...
মানুষ আমি, শুধু মানুষ জানি
শুধু মানুষ মানি-----
খুজিনা ঈশ্বর প্রান,
ঈশ্বর না; মানুষ-ই আমার ভগোবান।
প্রতিটা সূর্যের রঙে লিখি আজ
শ্রেনী শোষনের বিরদ্ধে দ্বীপ্ত অঙ্গিকার
যেন টলে যায় পুঁজির অশুভ ভিত্তিমূল।
আমাদের আগামী দিন হোক
শ্রেনী চেতনার এক দ্বীপ্ত মশাল।
রক্তঝরা কৃষকের ঘামে যেন
আর কিনতে না হয়
দুর্বিসহ জীবনের সূচিপত্র।
কৃষকের কার্যালয়...
কিছু কিছু ভাল লাগা আছে যা খুবই আপাত-সাধারন কিন্তু এতই মন-প্রভাবি যে, চোখ বন্ধ করে আমি এখনো সেই সমান ভাল লাগায় ভেসে যেতে পারি সেই সব পুরাতন সাধারন ঘটনা গুলো...
আর একটু পরেই পূর্ব দিগন্তে দেখা দিবে নতুন প্রভাত--- বিজয়ের নতুন সূর্যদিন। শুনতে পাচ্ছি বিজয়ের দীপ্ত তোপধ্বণি।সেই সাথে শুনতে পাচ্ছি বুক কাঁপিয়ে চলে যাওয়া পুলিশ যানের শ্বাপদ শব্দ। আতংকের সুর...
মাকড়োসার জাল, তেলাপোকার নোংরা ডানা
আর পরিত্যাক্ত দোকানগুলো যেন এপিটাফ আমার
অন্যপাশে নতুন সাজ আর সম্ভারের উজ্জলতায়
কেটে যাচ্ছে লোডশেডিং এর যত অন্ধকার
যার সাথে তুলনা চলে খুব সহজেই তোমার।...
আমি কি কারো ভাল থাকার বৈরী দেয়াল
নাকি লুঠ করেছি কারো ভাল থাকা স্বার্থপরের মত?
পলাশীর কাঁচাবাজারের গুঞ্জন
পাশে থেকে টুকটাক দরদাম
মাছের কান্কোটা উলটে দেখেই
চটকরে জিনসের পাছায় হাত মুছে
সেই আগাগোড়া বেকুবের হাঁসি-----
নাছোড়বান্দা মাছের লোভনীয় ঝাঁপি
রুপচাঁদা তেলের একক আধিপাত্য
কাদা বাঁচানো শাড়ীর তলায়
চোখ লুকানো দৃষ্টির রমনী পদক্ষেপ---
সবকিছুই ছিল...
সিডরে কিংবা আইলাতে-----
অসহায় মানুষ তবুও বাঁচে।
বাঁচায় প্রকৃতি
জেগে উঠার শক্তি দিয়ে পুনঃবার।
উপেক্ষা আঁচের আঁচড় কিংবা
মিথ্যা বাতাসের অসুচি আলোড়ন
পুড়ায়, ভাঙ্গে বালির মতন
বিশ্বাসবোধের সুদৃঢ় প্রাসাদ।
এই জীবনে কতকিছুই দিচ্ছি আর কতকিছুই নিচ্ছি। বন্ধুকে গালি দিচ্ছি, প্রিয় কাউকে ফাঁকি দিচ্ছি। সব জায়গায় খেসারত দিচ্ছি, প্রতিরোধ-প্রতিবাদের চিন্তা মাথা হতে ঝেড়ে ফেলে দিচ্ছি, মনুষত্ব বিকিয়ে দিচ্ছি-বিবেক বিষর্জন দিচ্ছি।...
সমস্ত প্রতিকুলতার শেষে
ঠিক একদিন ভেসে উঠবে
দিগন্ত দৃষ্টিসীমায় আমাদের...
অনেকদিন পর 'চোখের' সামনে সন্ধ্যা আড্ডা
আর 'রিমান্ডে' বসে চা খাওয়া------
সিগারেট টা ছেড়ে দেয়ার পর
এই প্রথম মনে হ'ল
কেন যে ছাড়লাম!
বিউটির খুব মন খারাপ
সিগারেট ছাড়া আমি...
তোমাকে মাঝে মাঝে দেখি আমি
ফুটপাথের বিপরীত হতে
কাঁচঘেরা অফিসের মাঝে
আলোর প্রতিফলনে
কিংবা অষ্টোব্যন্জনের সন্ধ্যা আড্ডায়
অথবা এটিএম বুথের হাতলে আলতো টান দিয়ে
হাত ব্যাগটি গুছাতে গুছাতে কিছুক্ষন হাটো...
('৯০ দশকের কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের সবুজ ঘাস আর নিঃসঙ্গ বাতাসে ভেসে থাকা কিছু স্বপ্ন-দির্ঘশ্বাস আর উচ্ছলতা যত-----এই হ'ল শিশুতলার কাব্য)
আফ্রিকার কালো মেয়ের মত নিটল মুখচ্ছবি,
ফরমায়েসি সাজের কোন আড়ম্বর ছাড়াই...
আটকে থাকে দির্ঘশ্বাস যেখানে
সময়ের ব্যাবধান আর বিভ্রান্ত মনে।
আমি থেমে থেমে যাই। পিছনে তাকাই----
পিছনে তাকাই আর চোখ বুঝে দেখি
পিছনে তাকাই আর বুঝে নিতে চাই---
কতোখানি তিরোস্কারে পুর্নতা পায়
ঈশ্বরহীনতার বিক্ষুব্দ যন্ত্রনার।...
©somewhere in net ltd.