নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অপেক্ষার অনেকগুলো শতাব্দী পার হবার পর প্রকাশ হলঃ এতদিন যার কাছে আবেদন করেছি-যার উপাসনা করেছি, দুঃখ পেলে যার কাছে করুণা চেয়েছি- অভাবে যার কাছে হাত পেতেছি, যে আমাকে পথভ্রষ্ট করেছে অথবা বিপদে শক্তি যুগিয়েছে, যে সবসময় আমার ব্যাথার ঔষধ দিয়েছে- অথচ যে কখনও আমার চোখের সামনে আসেনি, আমায় দেখা দেয় নি- "সে" হচ্ছি আমি!
চারপাশ মঞ্চ হয়ে গেলে শেষে
মঞ্চটাই চারপাশ হয়ে যায়।
দূরে যায়-
দূরে সরে সরে যায় আকাশ,
কালো মেঘ গুঙিয়ে উঠে।
উষ্ণতা খোঁজে যাযাবর কোনও
ফুটপাথে-পথে।
আগুন নিভে গেলে ধোঁয়া;
আর ছাই বেঁচে থাকে।
একা পাখি উড়ে গন্তব্যহীন,
অলিতে-গলিতে।
দূরে সরে...
এক টুকরো শহর থেমে আছে
আকাশের নিচে পাখা মেলা মানুষের ভীড়ে।
দিশেহারা সাইকেলের চাকা পিচঢালা পথ মাড়িয়ে যায় স্বপ্নের খোঁজে।
আর শহর দাঁড়িয়ে থাকে- শান্ত, স্তব্ধ শহর।
নীল হ্রদে পাইন গাছেরা ভেসে থাকে,
ভেসে থাকে...
এমন মধ্যরাতের শেষে
যদি তুমি সমুদ্রের কাছে থাকো,
দূরে মেঘ আর কল্পনায় ঘেরা জ্যোৎস্না ফেলে
যদি তোমার ভাবনাগুলো
দূর কোনও পথে হারিয়ে যায়,
অতীতের কোনও শহর থেকে
দুঃখ বয়ে নিয়ে আসা কোনও এক চিঠির ভাঁজে
লুকিয়ে থাকা...
শেষটা শুরুতে আনার কোনও প্রয়োজন ছিলো না,
ছায়াপথের ভুল ঠিকানায় অমাবস্যা শেষে
একা চাঁদের পাশে যে আকাশটা ভাসে,
সেই আকাশের নিচে হাঁটার কথা ছিলো না।
এই পথে কারও পায়ের চিহ্ন নেই।
তোমার সাথে দেখা...
আকাশমালা থেকে মেঘের যাত্রা শুভ হোক!
মেঘ ছুটে যাক,
ছুটে যাক পাহাড়ের খোঁজে।
অস্তিত্ব জুড়ে বৃষ্টি নিয়ে
মেঘ ভেসে যাক
অদেখা গোধূলিতে, দিগন্তের গা ঘেঁষে
দূরে, আরও দূরে!
বৃষ্টি হয়ে ঝরে যাক।
গানের শুরুতে যুক্তি ছিলো না
-শুধু শরতের সকালের একটু রোদ।
সবকিছু যদি জড়ানো যেতো সমীকরণ মেনে!
ছায়ার মতোন অসম্ভবগুলোর ভীড়ে
কল্পনা দাঁড়িয়ে ছিলো
-আদর্শের দেয়ালের ওপাশে।
এপাশটা স্যাঁতস্যাঁতে একঘেয়ে।
তারপর-
পুরোনো শার্ট গায়ে সংশয়ের যুদ্ধ!
রণাঙ্গনের মাইন-বোমা–বুলেট পেরিয়ে
জন্মের পর...
হাতে নিকোটিন লেগে থাকে।
চাঁদের আলো আর
নিয়নের প্রণয়ে ভেজা শূন্য রাজপথের বাঁকে,
হাতে নিকোটিন লেগে থাকে।
চারপাশের আয়নাগুলো
আঁশটে সত্য ফিরিয়ে দেয়
অসীমের দিকে।
দেখেছি-
জ্বলে উঠতে গেলেই পুড়ে যেতে হয়;
তবুও কেউ হেঁটে যাবে
আকাশ থেকে আশা...
জানলার পাশেই আকাশ।
দীর্ঘ ছয়টি রাত শেষে
তুমি অপেক্ষার হাত থেকে ছুটি পেলে।...
দুর্বৃত্ত এবং “যা জানি না”
-একসাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কমবখত মানুষ চলে দেবতার খোঁজে।...
রাস্তার মোড়ে মোড়ে ঘুরে বেড়ায় সে। কখনও চিৎকার করে কথা বলে, কখনও পথের এক কোণে নিঃশব্দে শুয়ে ক্লান্তি এড়ায়। অপার আকাশের চাঁদ-তারাগুলো তাকে কতটুকু শৈল্পিক করে তোলে,অথবা শীতের ভোরে সরিষাফুলে...
লিখে রাখলাম
পূর্ণিমার ভরাট পুকুরে
দুটি রুপালি মাছের ডুব সাঁতার;...
সস্তায় কিছু শপথ বিক্রি হবে।
রাজনীতির ময়দানে হবে শপথের কাঙ্গালিভোজ,
সফেদ পাখি উড়িয়ে হবে শান্তির আহবান।...
আমার ভীষণ প্রিয় একটা যায়গা আছেঃ
অবিরাম বসে থেকে জ্যোৎস্না উপভোগ করা যায় সেখানে, নদীতে চাঁদের আলো সাঁতার কাটে। মাঝে মাঝে নৌকোর ভেতরে দেখা যায় হারিকেনের অলস আলোয় দুই-এক জেলে জীবিকার...
বুনো ঘাস তার ফুলেদের লয়ে বসে আছে।
ট্যাংকের পদতলে থেঁৎলে গিয়েছে শিশুদের কান্না...
©somewhere in net ltd.