![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন কসমিক ট্র্যাভেলার, মহাজাগতিক মুসাফির।
তিমির বিদারী আলো
শূন্যে মিশে একাকার,
অশ্রুবারি শুকিয়ে প্রায়
লোনা জলের পারাবার।
চারিদিক তমস কালো
তাই ‘এই আলো’ ডাকি,
একটুখানি পিছনে দেখি
মরীচিকা দিয়েছে ফাঁকি।
মুষলধারের বৃৃষ্টির নৃত্য
স্বাগত জানায় অশ্রুনীর,
ব্যাঙের ঘ্যাঙরঘ্যাঙ সুর
জয়োল্লাসে ছুঁড়ছে তীর।
মিথ্যাভাষিনী নয় তবুও
একটি মিথ্যা...
আমার স্বহস্তে অঙ্কিত স্বপ্নকুঞ্জ
আজ বাহির থেকে খিল মারা,
আমি অন্ধকার এ প্রকোষ্ঠে বন্দি
বেঁচে থাকা দায় আলো ছাড়া।
নীলাম্বরীর বুকে উড়ানো ঘুড়ি
আজ পেরিয়ে গেছে মহাশূন্য,
আমি নাটাই হাতে দাড়িয়ে একা
আলোহীন এ বেলা তিমির...
নিঝুম রাতের শহরে নার্ভতন্ত্র সক্রিয়,
গা পুড়ে যাচ্ছে জ্বরে, যেন যামিনী কাঁপছে থরথর করে,
জ্বরের ঘোরে এপাশ ওপাশ হাতড়ে বেড়াই,
কিন্তু তোমার অস্তিত্বটুকুও নেই, শুধু শূন্যতা বিরাজমান।
গহীন রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে জাবরকাটি,
জ্বরতপ্ত ললাট যেন...
অামি বন্দুক-কামানের গুলিতে নিনাদিত বিশ্বের স্বঘোষিত এক অখ্যাত কবি,
তাই বিদ্রোহের রাঙা মশাল হাতে কাব্যে অাঁকতে পারি না ওয়াটারলুর ছবি।
যদি ফ্যানী ব্রাউনের মতো এক অষ্টাদশী এ বিবাগী মনে তুলে ভালবাসার লহরী,
গুমখুনের...
এ সমাজজীবনের দিগদিগন্ত জুড়ে যেদিন অমাবস্যার কায়া,
মানবহৃদয় থেকে যেদিন ম্লান প্রায় সামাজিকতার মায়া,
কড়িয়ালের বিষাক্ত নিনাদে যেদিন ফাটে সভ্যতার দেয়াল,
ঘুণেধরা এ সমাজের প্রতি সমাজপতিদের যেদিন নেই কোনো খেয়াল,
ক্ষুধিতের রোনাজারিতে যেদিন এ...
ছেলেবেলায় বাংলা দ্বিতীয় পত্রে যখন ‘অরণ্যে রোদন’ কথাটার বাক্যে উদাহরণ লিখেছি, তখনও কথাটার মানে এত বুঝেছি বলে মনে হয় না, এখন যে রকম বুঝি। আরও বেশি মর্মান্তিকভাবে বুঝি ২১ ফেব্রুয়ারি,...
বেণীতে সদ্যপ্রস্ফুটিত গাঁদাফুল গেঁথে আজ ফাগুন এসেছে,
লাল শাড়ী পড়ে বাসন্তী তুমি না আসায় বেলা যে বয়ে যাচ্ছে,
আমি আর কতকাল গায়ে লুইমুড়ি দিয়ে শীতকাল পেরুবো?
রুক্ষ মৃত্তিকার স্তনের বোঁটায় আজ নিষিক্ত রসের...
হঠাৎ একদিন পুস্তকের ভিতর থেকে লাল রঙের পেন্সিলটি উধাও,
কিন্তু কী অাশ্চার্য ! সেখানে একটি লাল গোলাপ গন্ধ ছড়াচ্ছে।
তৎক্ষণাৎ দুরন্তপনা বালকটি কিম্ভূতকিমাকার হয়ে যায়,
বালকের অনুসন্ধিৎসু মন প্রশ্নাতুর চোখে চারিদিক তাকায়,
অতঃপর স্বস্তির...
যে ছেলে রুটিন অনুযায়ী কামুক চোখে হিন্দি গান দেখে,
বেশ্যার নগ্ন কটিদেশের দুলানি গুনে নেত্রে অাগুন মেখে।
যে ছেলে তৃষ্ণার্ত চোখে তাকিয়ে থাকে বালিকার নিতম্ব পানে,
জিহ্বার লোনা জলে ফুলশয্যা রচনা করে তৃষিত...
নিজের বোন কালো হলেও দেখতে চাঁদের পরী,
নিজের বউ দুধের মতো শুভ্র না হলে পেত্নী বুড়ি।
নিজের মেয়ে কালো হলেও সোনায় সোহাগা,
নিজের পুত্রবধূ শ্যামলা হলে জাত গেল গা।
পাশের ঘরের মন্টুর বউ শ্যামলা...
অাজও হৃদয়ের কপাট খুলে রেখেছি অত্রস্ত মনে,
যেন নীল শাড়ীর ঝলকানি পড়ে মম বৃন্দাবনে।
যদি একদিন এসে যায় স্বর্গসুখ অনুভবের মাহেন্দ্রক্ষণ,
রঙিন ফানুস উড়িয়ে সাজিয়ে দিবো রাতের মধ্যগগন।
বছর পেরিয়ে যেদিন পূর্ণ হবে তোমার...
অাজ অাতুর ঘর পঁয়তাল্লিশ বছরের কোঠায়,
যে ঘর এখনও পড়ে অাছে স্যাঁতসেঁতে অবস্থায়,
এ অামার মাতৃভূমি, এ অামার বাংলাদেশ।
যে ঘরের অাকাশে উড়ে রক্তস্নাত নিশান,
যে ঘরে অাজও রক্তগঙ্গা বইছে অবিরাম,
এ অামার মাতৃভূমি, এ...
একদিন জোনাকির নীলাভ অালোর সায়াহ্নে,
অামি পথ হারিয়ে ঢুকে পড়ি অপ্সরালয়ে।
উর্বশী সেখানেই অামি তোমায় প্রথম দেখি,
অার সেই দিন থেকে অাজও অামি চাতক পাখি।
সেদিন গগনে জমায়েত হওয়া গর্ভবতী মেঘের মতো
তোমার গাঢ় তমস...
আমি জীবন তরী বেয়ে চলেছি
এক যুগ দুই হালিরও বেশি বছর ধরে,
প্রতিটি দিনান্তের প্রভা নিষ্প্রভ হয়ে
ধরিত্রীর বুকে রাত নেমেছে নিয়ম করে।
প্রত্যেকটি রাতই অভিসারে গিয়েছে
ঐ আঁধার নিলীমায় ছায়াপথ ধরে নীহারিকার বুকে।
আমারও...
হে হিরন্ময়ী! হে পবিত্রতার দেবী!!
তুমি যদি অামি হও,
প্রভাতের উদরে নেমে অাসা শীতে,
আমি মালশার উঁনুনে তপ্ত অাঙ্গার,
কিংবা সূর্যের কবোষ্ণ অালো হয়ে তোমায় উষ্ণতা দিবো।
হে হিরন্ময়ী! হে পবিত্রতার দেবী!!
তুমি যদি অামি...
©somewhere in net ltd.