নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি বয়সে আমার চেয়ে বেশ ছোটো
আর যেসব কিন্তু যদি আছে- সেসব অর্থহীন মেয়ে
মাথা থেকে এক্কেবারে ঝেড়ে ফেলো।
ক্যালেন্ডারের পাতাগুলো উল্টোদিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে
দেখো, এইতো আবার এসেছি তোমার কাছে
আর ওই তো...
এই যে আমি ফের দাঁড়িয়েছি সম্মুখে তোমার
যেমন ছিলাম বিগত বছরগুলোতেও...
কিন্তু তুমি একবারও মুখ তুলে তাকাচ্ছ না আমার দিকে
বারবার কপালে জমা স্বেদ বিন্দুটুকু মুছে দিচ্ছ আঙুল ছুঁয়ে
ত্বকে নেমে আসা...
ইচ্ছে করছে, এখানে ব’সে আমি তোমার অপেক্ষা করি, নিরবচ্ছিন্ন
অপেক্ষা করি, কিন্তু তারপর... পৃথিবী এক অদ্ভুতুড়ে প্রহেলিকা রুমা,
আর আদতে এর কোনও শেষ নেই। যে সড়কে প্রতিদিন তুমি হাঁটো
এখানে...
ব্যথাহত সেই পাখিদের প্রতি গভীর সমবেদনা
একদিন গোলাপ বাগানে যারা ডেকেছিল
ডেকে ডেকে সাড়া না পেয়ে- কোমল হৃদয় ভেঙেছিল
পুরনো পাখিগুলো আজ আর নেই সেখানে
বেলাবেলি সেই রাখালটাও আর বাজায় না আড়বাঁশি
এখন...
এখন আর কোনও গান গেয়ো না রুমা,
সব গান গাওয়া শেষ হ’য়ে গেছে
সকল অভ্যাগত দর্শক শ্রোতা ফিরে গেছে তৃপ্তিভ’রে
যন্ত্রশিল্পীরাও সরঞ্জামাদি নিয়ে চলে গেছে যে যার মতো;
এই গানের আসর শেষ...
তারচে’ এসো বন্ধু হই...
এইসব ‘ভালবাসি’ শুনে শুনে তিতিবিরক্ত আজ পৃথিবী-
কতোটা শুকিয়ে গেছে অধুনা এই ব্রহ্মপুত্র নদ
একদিন যা টইটুম্বুর ছিল অমল চকচকে জলে
এখন নয়নজুলি, আর কতো শুষ্ক চর জেগেছে এখানে-সেখানে;
দেখো,...
পৃথিবীতে সন্ধ্যা নামছে
এখানে কোনও সঙ্গীত নেই
চারিদিকে নীলচে ম্রিয়মাণ আলো
এবড়োখেবড়ো শূন্য মাঠ, শুষ্ক নিথর ঘাশ
(খানিকক্ষণ আগেও একদল শিশু খেলছিল)
ঢের কমে এসেছে আনাগোনা মানুষের
শেষ পাখিটাও ফিরে গেছে কুলায়
আর ল্যাম্পপোস্টের...
কেন সেই একই দুঃস্বপ্ন বারবার আসে ফিরে
তারপর অদৃশ্য টিকটিকির ‘টিকটিক’ আওয়াজ;
পৃথিবীর সমস্ত মানুষ নির্বাসিত কোনও অজ্ঞাতবাসে
আমি একা
হাটছি হাটছি আর হাটছি
পৃথিবীর প্রতিটি নিষ্প্রাণ সড়ক আলপথ অলিগলি
বিরতিহীন হেটে চলেছি
পরিপাটি দোকানপাট...
বিউটি,
আমি আজ আর লালকে একটুও ভালবাসি না
তোমাকে ঘাশের ’পর রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেখার পর থেকে
আমি লালকে যারপরনাই ঘৃণা করি
পৃথিবীর সমস্ত লাল আজ ভয়াবহরকম কুৎসিত ও ভীতিপ্রদ
আর অনবরত অত্যন্ত বাজে দুর্গন্ধ...
আমার দেখা সেরা সিনেমাগুলোর একটি। পুরো সিনেমাটাই জীবন থেকে নেয়া। এখানে দেখানো নারী চরিত্রগুলো একেবারেই যে বাস্তব, সে কথা বলাই বাহুল্য! আমাদের দেশ, কিংবা পশ্চিম বাংলা, কিংবা বৃহৎ...
দ্বিধা নেই এখানে কোনও আর
এখানে তোমাদের চোখ
কোমল বসন্ত এনেছে আমার
বায়ূ দূষণের এই প্রখর গ্রীষ্মঋতুতে।
সমস্ত সহজ অঙ্ক ভুলে যাই আমি
দুই দুগুণে চারের নামতাও
হয়ে পড়ে ছয়...
তবে এই ভুলে যাওয়া...
শিশুদের মতো নিষ্পাপ কেউ নয়, কিছু নয়! দু বছর আগে ঢাকার কোথাও তোলা। তার আগের রাতে ভীষণ ঝর হয়েছিল, ঘোর কালবৈশাখী। ঝরে উপড়ে পড়া একটা গাছও পড়েছিল সেদিন পার্কে।...
সেইসব রমণীরা- যারা ভালবেসেছিল
যারা সত্যিই ভালবেসেছিল
আমি তাদের কিছুতেই ভুলতে পারি না;
অতিথি পাখির মতো তারা এসেছিল আমার আকাশে
তারপর মৌসুম শেষে ফিরেও গেছে নিয়মমাফিক
তাদের আর কোনও খবর জানি...
শোকাতুর ম্রিয়মাণ বাসি ফুলেরা থাক ড্রয়িং রুমের এক
কোণে প’ড়ে জানি, ওরা কখনওই সুরভি ছড়াবে না আর
হয়তো আছে কোনও গোপন অভিমান মনে, তাই ব’লে
তুমি ছুড়ে ফেলো না! মানুষেরও অনেক করুণ...
বিরাটকায় কালো একটা আলখাল্লা প’রে ঈশ্বর গতকাল আমার
কাছে এসেছিল আমার সমস্ত চুল জোরপূর্বক কেটে নিয়ে গেছে
আর তাচ্ছিল্যভ’রে বলেছে, ‘তোর এই চুলের আদৌ কোনও
দরকার নেই পৃথিবীতে! মাথা আছে...
©somewhere in net ltd.