নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
নাটাই সুতো নাটাই সুতো,
আকাশ জুড়ে ঘুড়ি।
শূন্যর বুকে নীলের মাঝে,
রঙের ছড়াছড়ি।
অলস দুপুর অঁচল জুড়ে,
উড়ছে ঘুড়ির ঝাক।
লেজগুলো নাড়ছে বেশ,
একেবারে ঠিকঠাক।
হরেক বাহার হরেক রকম,
স্বতন্ত্র তাদের সাজ।
বাক্স ঘুড়ি চিল...
চোখের জলে ভিজে গেল,
মনের যত আবেগ।
জোছনা রাশি ঢেকে দিলো,
ইশান কোনের মেঘ।
সেই মেঘ বরষাতে শুরু,
যত সর্বনাশ।
বজ্রের মাথায় আটকে গেল,
অস্থির দীর্ঘশ্বাস।
তখন থেকে শুরু হলো,
কষ্টে ভরা জীবন।
অসম প্রেমের পাঠশালাতে,
অরণ্যে...
বিকৃত কামতৃষ্ণা হতে সৃষ্ট
পাপাচার ,কামাতুর উষ্ণতার লোভে,
কাঠ,খড় পুড়িয়ে, অসহ্য তপ্ত হয় কতিপয় যুবক।
বিকারগ্রস্থ শরীরের তৃষ্ণা মেটাতে।
ফাঁদ পাতে গলি ,পার্কে,নির্জন রাস্তায়,
পাবলিক টয়লেটে অথবা ছাত্রী হোষ্টেলে।
যে জনপদে যৌন শক্তি...
গোধুলীবেলার বসন্ত বাতাসে,
পিপাসিত ওষ্ঠদ্বয়।
নব প্রেমের অনুরাগে
লোভাতুর দৃষ্টি মেলে দুর্ভেদ্য।
নয়নের কাজলখানি,
তোমার রূপের কারুকাজ,
আরো সুগভীর সাজিয়ে তোলে,
ভালোবাসার শৈল্পিক ছোঁয়াতে।
উত্তপ্ত নিশ্বাসে ক্ষণেক্ষণে বুকের
ওঠাপড়া, অন্তরে বেধে যেন অসহ্য
সুখের শায়ক। তীব্র অনুরণনে।নিঃশেষে
বারেবার,শতবার।
রক্তের রিনিঝিনি,উদ্দামতা,আরেক
সপুষ্পক...
ফুলে ফুলে বনতল,
সুবাসিত দিন।
ছেড়া ছেড়া মেঘে ছাওয়া,
আকাশটা নীল।
রঙিন হাওয়ায় উড়ছে পালক,
উড়ছে স্বপ্নগুলো।
ফাগুন হাওয়ায় মনমাতাল,
ভাবনা এলোমেলো।
নিস্তব্ধ চরাচর,
উদাস দুপুর।
মেঘবালিকা হেঁটে চলে,
পায়েতে নুপুর ।
অচিন পাখি গাইছে গান
বাজছে হওয়ায় সুর ।
স্বপ্ন...
তুমি চাইলে অনেক কিছু হতে পারতো আমাদের।
কেন মুখ ফিরিয়ে ছিলে?
আমি কি এতটাই অপাঙ্ক্তেয়।
তোমার নীল যৌবন আমার হৃদয় হরণ করেছিলো,
শুক্লা তিথির রাতে।
আমি তো অর্গল খুলেই রেখেছিলাম।
তুমি শুধু হাত বাড়ালেই...
যতবার তোমার সাথে দেখা হয়,
মনেমনে ভাবি ,বলি,
”ভালোবাসি” ।
তোমার চোখে, তোমার ঠোঁটে,
তোমার ওই রক্তিম দু’গালে,
মনেহয় একটু আদর করি
আর বলি কানেমুখে,
”ভালোবাসি” ।
তোমার মোহমায়ায় আমি এতটাই আবিষ্ট যে,
দিকহারা নীহারিকার মতো,
ছুটে যাবো...
সজনে গাছের মগডালে,
একটি হলুদ পাখি।
নাম জানিনা তাইতো তারে,
হলদে পাখি ডাকি।
হলদে পাখি, হলদে পাখি,
কোথায় তোমার বাড়ি?
বাড়ি তো নাই ,এদেশ ওদেশ
করি ঘোরাঘুরি।
বেশতো ভালো মজার জীবন,
অবাধ মুক্ত স্বাধীন।
গান গেয়ে যাও,ঘুরে...
বাবা টিয়া গাইছে গান,
আমড়া গাছের ডালে।
ছানাগুলো আশ্রয়ে,
মায়ের বুকের তলে।
রীনা বসে বীনা বাজায়,
মীনা গায় গান।
দীনা বলে পুষবো পাখি,
একটা ধরে আন।
মা শুনে কয় বনের পাখি,
বনেতে মানায়।
বন্দী পাখি হয় যে দুঃখী,
উচিত...
উঠানে বসে নতুন চুলায়,
মা ভাজছে খই।
খোকার বায়না সাথে চাই,
টক মিষ্টি দই ।
দই তো হলো,এবার তবে,
একটু মিষ্টি হোক।
খোকা খেয়ে ঠান্ডা হবে,
দেখাবে ভদ্রলোক।
তিড়িং বিড়িং খোকন নাচে,
হরেক তার বায়না।
দিতে হবে কিনে তাকে,
জাদুকরী আয়না।
ভেবে ভেবে মা যে তার,
হলো কুপোকাৎ।
বাবা বলে দেবো দেবো,
পোহাক আগে রাত।
রাত নিশিথে খোকন সোনা,
ঘুমে স্বপ্ন দেখে।
তেপান্তরের মাঠে এক
বক...
গভীর রাতে জলপরীরা উড়ছে
আকাশ জুড়ে।
জোছনারাশি খেলা করে,
তাদের চারিধারে।
ফুলকলিদের ফোটার সুখে,
খুকু গাইছে গান।
পাখপাখালি সেই সুরেতে,
ধরলো ঐক্যতান।
নদীর কুলে ঢেউ খেলে যায়,
কুলে ভেড়ে তরী।
রাজার কুমার বসে তাতে,
দেখতে মানায় ভারি।
কি চায়...
খোলা আকাশের নিচে,
ছেড়া চটের বিছানায়,
শুয়ে আছে একটি মানব সন্তান!
চরম নিরুপায়।
বাইরে তখন শীতের দাবানল।
একটু উষ্ণতার খোঁজে,
দুটো কুকুর শুয়ে আছে তাকে চেপে ধরে।
অসহায়ত্ব যে তাদের এক জায়গাতে সাদৃশ্য।
রাত জেগে হিমকুয়াশা...
©somewhere in net ltd.