নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
যতবার তোমার সাথে দেখা হয়,
মনেমনে ভাবি ,বলি,
”ভালোবাসি” ।
তোমার চোখে, তোমার ঠোঁটে,
তোমার ওই রক্তিম দু’গালে,
মনেহয় একটু আদর করি
আর বলি কানেমুখে,
”ভালোবাসি” ।
তোমার মোহমায়ায় আমি এতটাই আবিষ্ট যে,
দিকহারা নীহারিকার মতো,
ছুটে যাবো...
সজনে গাছের মগডালে,
একটি হলুদ পাখি।
নাম জানিনা তাইতো তারে,
হলদে পাখি ডাকি।
হলদে পাখি, হলদে পাখি,
কোথায় তোমার বাড়ি?
বাড়ি তো নাই ,এদেশ ওদেশ
করি ঘোরাঘুরি।
বেশতো ভালো মজার জীবন,
অবাধ মুক্ত স্বাধীন।
গান গেয়ে যাও,ঘুরে...
বাবা টিয়া গাইছে গান,
আমড়া গাছের ডালে।
ছানাগুলো আশ্রয়ে,
মায়ের বুকের তলে।
রীনা বসে বীনা বাজায়,
মীনা গায় গান।
দীনা বলে পুষবো পাখি,
একটা ধরে আন।
মা শুনে কয় বনের পাখি,
বনেতে মানায়।
বন্দী পাখি হয় যে দুঃখী,
উচিত...
উঠানে বসে নতুন চুলায়,
মা ভাজছে খই।
খোকার বায়না সাথে চাই,
টক মিষ্টি দই ।
দই তো হলো,এবার তবে,
একটু মিষ্টি হোক।
খোকা খেয়ে ঠান্ডা হবে,
দেখাবে ভদ্রলোক।
তিড়িং বিড়িং খোকন নাচে,
হরেক তার বায়না।
দিতে হবে কিনে তাকে,
জাদুকরী আয়না।
ভেবে ভেবে মা যে তার,
হলো কুপোকাৎ।
বাবা বলে দেবো দেবো,
পোহাক আগে রাত।
রাত নিশিথে খোকন সোনা,
ঘুমে স্বপ্ন দেখে।
তেপান্তরের মাঠে এক
বক...
গভীর রাতে জলপরীরা উড়ছে
আকাশ জুড়ে।
জোছনারাশি খেলা করে,
তাদের চারিধারে।
ফুলকলিদের ফোটার সুখে,
খুকু গাইছে গান।
পাখপাখালি সেই সুরেতে,
ধরলো ঐক্যতান।
নদীর কুলে ঢেউ খেলে যায়,
কুলে ভেড়ে তরী।
রাজার কুমার বসে তাতে,
দেখতে মানায় ভারি।
কি চায়...
খোলা আকাশের নিচে,
ছেড়া চটের বিছানায়,
শুয়ে আছে একটি মানব সন্তান!
চরম নিরুপায়।
বাইরে তখন শীতের দাবানল।
একটু উষ্ণতার খোঁজে,
দুটো কুকুর শুয়ে আছে তাকে চেপে ধরে।
অসহায়ত্ব যে তাদের এক জায়গাতে সাদৃশ্য।
রাত জেগে হিমকুয়াশা...
চাঁদ ডুবেছে সেই কারণে,
খুকীর হলো মান।
খোকা দেখো দিনের আলোয়,
গাইছে সুখের গান।
রাত নিশিথে ফুল ঝরেছে,
গন্ধ গেছে টুটে।
ফের ঠিকই দিনের আলোয়,
নতুন ফুলেরা ফোটে।
খেয়াল এমনই, খুশী এমনই,
হরেক গল্প বলা।
ভাঙাগড়ার মধ্যে...
চড়ুই পাখি বউ সেজেছে,
ঘোমটা দিলো মাথায়।
টুনটুনিটা তাই না দেখে
নাচছে পাতায় পাতায়।
শ্যামা বলে, গয়না আনো ।
ময়না বলে, বর এলো কই?
শালিক বলে, পোলাও খাবো,
সাথে চাই টক মিঠা দই ।
প্যাঁচা বলে চল...
তব ধোপদস্ত চুম্বনে,
মদীয় অম্ভোধি পয়স্বিনীতে
জলোচ্ছাস বয়ে গেল অতর্কিতে।
মেঘহীন বর্ষণে ভিজে গেল
মাঠ প্রান্তর।
নতুন জলপ্লাবনে
অচিরেই জেগে উঠলো সেথায়
ঘাস, দূর্বা ও অন্যান্য প্রাণের অনুরণন।
এভাবে তুমি তোমার জাদুকরী
ক্ষমতা প্রয়োগ করো
অকসর প্রিয়তম...
যদি কোনদিন তুমি আমায় ভুলে
অচেনা আলোর পথ ধরে
একলা হতে চাও,
দেখবে সেদিন তুমি,
সব পাতা ঝরে গেছে গাছে গাছে।
পাখি সব আর গাইছে না গান।
চাঁদ ভুলে গেছে জোছনা বিলাতে
সব ফুল শুকিয়ে...
প্রশ্ন
====
রাত নিশিথে বনের মাথায়
জ্বলে জোনাকি।
গুনে গুনে খোকন সোনা
হয়রান একাকী ।
এমন সময় মা এলে
মায়েরে সে শুধায়।
জোনাক পোকা কেমন করে
এতো আলো পায়?
বায়না
=====
মিটি মিটি তারা...
তোমার প্রতি,
আজ আমার সমস্ত আবেগ
সাপের খোলস ছাড়া
শরীর স্বরুপ নিরুত্তাপ ও নিরুদ্যম।
তুমি এসে শত চুম্বনেও আমায় আর জাগাতে পারবেনা ।
তোমার শরীরের হাজার আলোর উষ্মা
আমায় আর স্পর্শ
করে না।
আমার স্বতন্ত্র...
প্রিয়তমা, তুমি কি ঘুমিয়ে পড়েছো?
রতিক্লান্ত তোমায় খানিকটা ক্ষয়িত দেখালেও,
ম্রিয়মাণ মোটেও নও।
তুমি আনমনে বাঁকা ঠোঁটে
একটুকরো হাসি ধরে রেখেছো পরম নিশ্চিন্তে।
চরম সুখের রেশ হিসেবে -তুমি ঘুমাও প্রিয়তমা,
সব সুখ বুকে নিয়ে...
©somewhere in net ltd.