![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
তিড়িং বিড়িং খোকন নাচে,
হরেক তার বায়না।
দিতে হবে কিনে তাকে,
জাদুকরী আয়না।
ভেবে ভেবে মা যে তার,
হলো কুপোকাৎ।
বাবা বলে দেবো দেবো,
পোহাক আগে রাত।
রাত নিশিথে খোকন সোনা,
ঘুমে স্বপ্ন দেখে।
তেপান্তরের মাঠে এক
বক...
গভীর রাতে জলপরীরা উড়ছে
আকাশ জুড়ে।
জোছনারাশি খেলা করে,
তাদের চারিধারে।
ফুলকলিদের ফোটার সুখে,
খুকু গাইছে গান।
পাখপাখালি সেই সুরেতে,
ধরলো ঐক্যতান।
নদীর কুলে ঢেউ খেলে যায়,
কুলে ভেড়ে তরী।
রাজার কুমার বসে তাতে,
দেখতে মানায় ভারি।
কি চায়...
খোলা আকাশের নিচে,
ছেড়া চটের বিছানায়,
শুয়ে আছে একটি মানব সন্তান!
চরম নিরুপায়।
বাইরে তখন শীতের দাবানল।
একটু উষ্ণতার খোঁজে,
দুটো কুকুর শুয়ে আছে তাকে চেপে ধরে।
অসহায়ত্ব যে তাদের এক জায়গাতে সাদৃশ্য।
রাত জেগে হিমকুয়াশা...
চাঁদ ডুবেছে সেই কারণে,
খুকীর হলো মান।
খোকা দেখো দিনের আলোয়,
গাইছে সুখের গান।
রাত নিশিথে ফুল ঝরেছে,
গন্ধ গেছে টুটে।
ফের ঠিকই দিনের আলোয়,
নতুন ফুলেরা ফোটে।
খেয়াল এমনই, খুশী এমনই,
হরেক গল্প বলা।
ভাঙাগড়ার মধ্যে...
চড়ুই পাখি বউ সেজেছে,
ঘোমটা দিলো মাথায়।
টুনটুনিটা তাই না দেখে
নাচছে পাতায় পাতায়।
শ্যামা বলে, গয়না আনো ।
ময়না বলে, বর এলো কই?
শালিক বলে, পোলাও খাবো,
সাথে চাই টক মিঠা দই ।
প্যাঁচা বলে চল...
তব ধোপদস্ত চুম্বনে,
মদীয় অম্ভোধি পয়স্বিনীতে
জলোচ্ছাস বয়ে গেল অতর্কিতে।
মেঘহীন বর্ষণে ভিজে গেল
মাঠ প্রান্তর।
নতুন জলপ্লাবনে
অচিরেই জেগে উঠলো সেথায়
ঘাস, দূর্বা ও অন্যান্য প্রাণের অনুরণন।
এভাবে তুমি তোমার জাদুকরী
ক্ষমতা প্রয়োগ করো
অকসর প্রিয়তম...
যদি কোনদিন তুমি আমায় ভুলে
অচেনা আলোর পথ ধরে
একলা হতে চাও,
দেখবে সেদিন তুমি,
সব পাতা ঝরে গেছে গাছে গাছে।
পাখি সব আর গাইছে না গান।
চাঁদ ভুলে গেছে জোছনা বিলাতে
সব ফুল শুকিয়ে...
প্রশ্ন
====
রাত নিশিথে বনের মাথায়
জ্বলে জোনাকি।
গুনে গুনে খোকন সোনা
হয়রান একাকী ।
এমন সময় মা এলে
মায়েরে সে শুধায়।
জোনাক পোকা কেমন করে
এতো আলো পায়?
বায়না
=====
মিটি মিটি তারা...
তোমার প্রতি,
আজ আমার সমস্ত আবেগ
সাপের খোলস ছাড়া
শরীর স্বরুপ নিরুত্তাপ ও নিরুদ্যম।
তুমি এসে শত চুম্বনেও আমায় আর জাগাতে পারবেনা ।
তোমার শরীরের হাজার আলোর উষ্মা
আমায় আর স্পর্শ
করে না।
আমার স্বতন্ত্র...
প্রিয়তমা, তুমি কি ঘুমিয়ে পড়েছো?
রতিক্লান্ত তোমায় খানিকটা ক্ষয়িত দেখালেও,
ম্রিয়মাণ মোটেও নও।
তুমি আনমনে বাঁকা ঠোঁটে
একটুকরো হাসি ধরে রেখেছো পরম নিশ্চিন্তে।
চরম সুখের রেশ হিসেবে -তুমি ঘুমাও প্রিয়তমা,
সব সুখ বুকে নিয়ে...
তব সিংহদ্বার খুলে,
স্বয়ং অধিগমন মুহুর্তে
থমকে গেলাম অকস্মাৎ,অজানা শঙ্কায়।
কি গহীন বন রে বাবা!
একি সুন্দরবন নাকি আমাজন ।
স্বকীয় অধীরতায় কুকড়ে গেলাম নিমেষে!!
দ্বিধা ,ভয় ,লজ্জা!
বিচলিত চিত্ত হঠাৎ কিংকর্তব্যবিমূঢ় !
তব বিদ্রুপাত্মক ধ্বনিতে...
একটু বিত্ত বৈভব হলে বেশ হতো!
তোমার সাথে নিশি জাগতাম প্রমোদতরীতে।
তোমার প্রতিটি সঙঘৃষ্টের অমৃত সম স্বাদ,
আমি অহর্নিশ পান করতাম নিশ্চিন্তে।
তোমার ঠোঁটের ফাকে
তিনটা কথার ছবি আঁকতেই।
তুমি আঁতকে উঠে
আমায় ঠেলে ফেলে বললে,
আমি ধর্ষিতা হতে চাইনা ।
আমি আহত চোখে বললাম
ভালোবাসা ও নিগ্রহের মধ্যে
পার্থক্য বলতে তুমি কি বোঝ?
তুমি বললে ,আজকাল পুরুষেরা...
অন্ধকারে হঠাৎ করে
চমকে উঠলাম
অকস্মাৎ!
একি তুমি!
চিলেকোঠার ঘরে নিকোটিনের গন্ধে
তখন সেই রকম অবস্থা।
কিছুটা চেনা গন্ধে সন্দেহ ভরা চোখ
খুঁজতে থাকে চেনা কিছু ।
এশার আযান...
বদলে গেছে সব।
এই শহর রাস্তা ,পথ, ঘাট, বাড়ি!
বদলে গেছে তোমার বাড়ির রাস্তা ও ঘর।
বদলে গেছে তোমার বন্ধু ,প্রেমিক সব।
শুধু বদলাতে পারিনি আমি নিজেকে।
আমি সেই একই আছি!
তুমি আমার নাম...
©somewhere in net ltd.