![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“মেরী ক্রিসমাস!”
ছন্দময় টুংটাং শব্দে ইনবক্সে ম্যাসেজটা আসলে, কম্পিউটারের সামনে ঝিমুতে থাকা শাহেদ চোখ তুলে তাকায়। ষোলশহরের আল ফালাহ গলিতে ওদের পাঁচতলা বাড়ির চিলেকোঠায় মনিটরের পাশে পা দুটো লম্বা করে...
যা ভেবেছিলাম। বিরান হয়ে গেছে সব। পাথর চাপা হলুদ কিছু ঘাস লুকিয়ে ছিলো। মাটিসমেত উপড়ে নিয়ে গেছে। গাছ নেই। মাটি নেই। পাথুরে রুক্ষতায় থৈ থৈ করছে চারপাশ। ভুল করিনি। উত্তরপুরুষের...
মধ্যবিত্ত সংসারের একেবারে অন্দরমহল মানে রান্নাঘরের তেল লবন কিংবা খুন্তি বেলুনের নিত্যকার আলাপ থেকে শুরু করে দাম্পত্যজীবনের খুঁটিনাটি নিয়ে সত্তুরের দশক পর্যন্ত যতো সাহিত্য হয়েছে, এর পরে আর তেমন জমিয়ে...
জেরিন লেডিস টেইলারস। নতুন গড়ে ওঠা আবাসিক এলাকাটায় ঢোকার মুখে বড় রাস্তার ধার ঘেঁষে দোকানটা। দোকান অনুপাতে সাইনবোর্ডটা বেশ ছোট। কারণ, ওটার প্রয়োজন হয় না। স্বত্বাধিকারী হারুন তালুকদার এই পেশায়...
রাতের রমনায় আঁধার জড়ায়া দাঁড়ায়া থাকা বিষণ্ণ কিশোরী মেয়েটার মত শিরোনামহীন একটা কবিতা আমার মগজের ধার ঘেঁইষা দাঁড়ায়া আছে। অনেকক্ষণ। তাকায়া দেখলাম। এলোমেলো গোটা দশেক অপুষ্ট শব্দ। ছন্দ নাই। মাত্রা...
“অতঃপর বৃষ্টি এলো। টানা গরমে শরীরে মনে জমে থাকা চটচটে ক্লেদ ধুয়ে মুছে অদ্ভুত সতেজতায় গা ঝাড়া দিয়ে উঠলাম যেনো। জানালায় ঝোলানো মানিপ্ল্যান্টের পাতাগুলো তৃষ্ণা মেটাতে ভেজা গ্রিলের ফাঁকে...
নব্বইয়ের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ক্যাম্পাসের রিক্সাওয়ালাদের হিংসে হতো খুব। তাঁদের নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগতুম। কি অদ্ভুত উদাসীনতা তাঁদের! কি সাবলীল নিঃস্পৃহতা! পহেলা ফাগুনে পুরো ক্যাম্পাস ফুলে ফুলে ছেয়ে যেতো।...
ঘটনা ১: দুপুরে খেয়ে রিক্সা নিয়ে বেরিয়েছে ছোটখাটো গড়নের জলিল মুন্সি। রাস্তা ফাঁকা। খালি রিক্সা নিয়ে রাস্তার এক পাশ ঘেঁষে সওয়ারির আশায় ধীরে ধীরে রিক্সা টানছে। গলির মুখে কিছু ছেলেপেলে...
১
উঠানের পশ্চিম কোনায় কামিনী গাছটার নিচে অন্ধকার জমাট বেঁধে আছে। অনেকদিন ওদিকে কারো পা পড়েনি বোঝাই যায়। আগাছা জমে জঙ্গুলে হয়ে গেছে ওদিকটা। নিজের কামরায় জানালার ধারে বসে কামিনী...
১
‘সমুদ্র আমার মোটেই ভাল্লাগে না, জানো! কি বিশাল, কি ভীষণ! সারাক্ষণ কানে তালা লাগানো হু হু শব্দে বড়ো বড়ো ঢেউগুলো কুলে আছড়ে পড়ছে! কেবলি মনে হয়, কোন এক মন্ত্রবলে কেউ...
বাড়ির সামনেই ত্রিশ কানি ধানী জমির মাঠ, স্থানীয় লোকেরা বলে গুরা মিয়ার বিল। বৃদ্ধ ওজর আলী বসে আছে বাড়ির লাগোয়া বিলের পারে। হেমন্তের বিকেল। রোদ মরে গেছে। থেমে থেমে আসা...
আজ খুব ভোরেই ঘুম থেকে ওঠেছে আলম ডাঙ্গার রশিদুল আলম। আলম বাড়ির সবাই তখনো ঘুমে কাদা। ওদের বংশে পঞ্চাশ পেরোনোর আগে কেউ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে না, কয়েক পুরুষ ধরেই...
- আপা ওড়না ঠিক করেন!।
চমকে পাশ ফিরে তাকালো নীলা। হেলমেট উঁচিয়ে কথাটা বলে ভুশ করে পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন মোটর সাইকেল আরোহী মাঝবয়েসি লোকটা। নীলার রিক্সা তখন চেরাগী পাহাড়...
আমাদের পেয়ারা গাছটা মরে গেছে
পশ্চিমে বাগানে যাওয়ার রাস্তাটা জংলি লতায় ঢাকা
বাবা এখন বিছানায়...
©somewhere in net ltd.