নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোদলেয়ারের আশ্চর্য্য মেঘমালা দেখে থমকে দাঁড়ানো জীবনানন্দের সোনালী ডানার চিল...
ছোটগল্প বরাবরই আমাকে টানে। মনে হয় কবিতার চেয়েও ছোটগল্প আমার প্রিয়। মূলত ছোটগল্প পড়া শৈশবে চয়নিকার পাতায়। চয়নিকার কথা মনে আছে? প্রাইমারির গল্পসম্ভার, ঐ যে ডালিম কুমার বা নুনের মতো...
আমার গল্প কি শেষ হয়ে গেছে!
না, এখনও সেই গোধূলীর আবছায়া মাটির পথে অচেনা পথচারিনীর পরিচয় জানা হয়নি! সেই সতেরোর নাজুক সন্ধ্যায় চারকোণা উপভোগ্য বালিকার বিগত ৩০ বছরের বিবর্তন জানা হয়নি...
হে আসমান আর জমিনের প্রভূ
আশা আর উদ্দীপনায় তোমাকে স্মরণ
শোক আর ব্যথায় তোমার নামে যে উপশম তারও
গভীরে অনুভবে আর প্রায়শ্চিত্বে তোমার শেখানো ভাষায় আমার নতজানু কৃতজ্ঞতা-
হে মহাকাশের বিধাতা, অগ্র আর...
আমার যদি ক্লদ মনেটের মতো একটি বাগান থাকতো-
হাওয়াব্রিজ আর পদ্মফুলের জলটলমল সরোবর!
আমার যদি ফুল আর পাখির পৃথক পরাগায়নের
অন্তর্গত সক্ষমতা বোঝার বিশেষ দৃষ্টি থাকতো-
অন্তহীন!
রমণীয় প্রচ্ছদের আয়তকার ক্যানভাসে শুধু গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলদের...
এই সব সময়েরা আমার সাথে ছিল
এই সব স্বপ্নরা আমার সাথে ছিল, একদা
এই শহরের গলীপথের ধুলো; আহা
আমারও বাটা সান্ডেল ছিল কখনও
বৃষ্টি ছিল আকাশ সমান
কষ্ট ছিল তোমার ঐশ্বর্ষের পাশে কেমন মলিন...
আমাদের এই বাড়ীর সামনের অংশে আব্বার ফুল বাগান ছিল। হাস্নাহেনা ফুলের ঘ্রাণে নাকি সাপ আসতে এই বাগানে। হেমন্তর রাতে যখন আমরা ছাদে ঘুমাতাম তখন তীব্র এক আশ্চর্য্য সৌরভে সিক্ত...
একটা আপতঃ মিথ্যা জীবনযাপন করে চলেছি আমরা। ভোর থেকে রাত্রি, আবার রাতের গভীরতর অন্ধকারে, জীবন ব্যাপি- নেশাগ্রস্থ স্বপ্নসুখের যাদুকল্পনাকে বাস্তব ভেবে ভেবে আমরা সময়, বয়স এবং প্রতিবেশের প্রতিটি ক্ষণ পার...
আমাদের সবার ছোটবেলার কিছু গোপন স্মৃতি থাকে, একান্ত নিজের, আর কেউ জানে না। আমাদের ভাবনার তরঙ্গ যেন রাতের নিকশ কালোয় কখনও বা একটু দোলা দিয়ে যায়। তখন মনে পড়ে, তখন...
আব্বার একটা ছোট কাপড়ের থলে ছিল। তার ভেতর এভারেডির দুই ব্যাটারির একটা টর্চ, চাবীর গোছা, দৈনিক আজাদ এবং একটা ছোট ডায়েরী থাকতো। ঐ ডায়েরী আব্বা নিয়মিত লিখতেন। আমি পরে...
--
আজ সবাইকে দুই ভাই, প্রতিবেশী এবং বিস্মৃত হওয়া কিছু মানুষদের কথা মনে করিয়ে দেবার চেষ্টা করবো। একটা সময় তখন গ্রামে বিদ্যুৎ আসে নি। অধিকাংশ মানুষ কাঁচা ঘরে বাস করতো। চায়ের...
এখানে পাহাড় পাথুরে নয় তাই সাগর দেখি-
ঝুলে আছে আসমান দিগন্ত ব্যাপি, যেন নীল সমুদ্রে মুখ রেখে পান করছে হয়রান ড্রাগন;
যদিও নাপাম বোমা আজ কষ্টকল্পনা আর চেরানোবিলের ধ্বংসাবশেষ
থেকে জাতিস্মর ফিনিক্স...
যখন সূর্য্যরেণু গলে পড়তো তোমার চুলের অবাঁধ বাবরীতে
আমি তন্ময় হয়ে তখন \'বল বীর\' পড়তাম আর
ভাবতাম, কতটা শব্দসম্ভারে মানুষ এতটা পারে, স্বপ্নরোদ
কতটা পাহারায় মন কাড়লে ঘুরে ফিরে যোজন দূর
কবিতার হলাহল এতটা...
মোগলাই পরোটার কথা এলে আমার শুধু গুড়পুকুরের বাজারের কথা মনে পড়ে। তখন আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ি। আবছা মনে আছে সেইসব স্মৃতি। বছরে সম্ভবত বৈশাখ মাসে সাতক্ষীরা শহরে গুড় পুকুরের মেলা...
\'\'ঝাউ তলার ঐ পাশ দিয়ে বহে বেত্রবতী
অশান্ত হয়না কভূ ধীর তার গতি
পাশে আছে হাট বাজার হয় বেচাকেনা
ঝাউডাংগা নাম তার সবার আছে জানা!\'\'
(পল্লী কবি শামসুল হক)
ছোটবেলায় তখন কাঠের ব্রীজ ছিল বেতনা...
আমি তখন ক্লাস থ্রি কি ফোরে পড়ি। গরমের শুরু, তখন বিদ্যুৎ আসেনি পাথরঘাটায়। সন্ধ্যে বেলায় অধিকাংশ ঘরের হেতনিতে ( বারান্দায়) জ্বলে উঠতো টেমি( কেরোসিনের কূপি) আর হেরিকেন। আমাদের পাড়াটা অন্যান্য...
©somewhere in net ltd.