![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোদলেয়ারের আশ্চর্য্য মেঘমালা দেখে থমকে দাঁড়ানো জীবনানন্দের সোনালী ডানার চিল...
তোমার শহরে কারফিউ ছিল আজ
তোমার শহরে করোনারা তোলপাড়
তোমার শহরে মানুষের পথে সারি
জীবাণু যুদ্ধের অস্পৃশ্য শবাধার।
খুনির বেশে পরিধান করে ক্রোধ-
মারণ ব্যাধি খুজছে শারীরিক;
তোমার শহরে বাতাসে ছড়িয়ে আছে
বিষম ক্ষুধায় পাষবিক সরিসৃপ!
আমার...
ধৈর্য্যের মাপে সহ্য কি যায় কেনা
অবগুণ্ঠনে মানুষের মুখ ঢাকা
দুপুরের রোদ রাতের মতো কালো
মৃত্যুর রঙ বাতাসের বুকে আকা!
পৃথিবী এখন বিষন্ন কারাগার
ফুসফুস ভরা অজানা আতঙ্ক
কোন উৎসবে উন্মূখ নেই কেউ
প্রতিদিন গুনি মৃত্যুর অঙ্ক!
পরিবর্তিত জীবনের জন্য দূ:খবোধ নেই, শুধু
প্রত্যাবর্তিত সময়ে নিষ্কাম একপাক্ষিক বায়ূ- ভেদ
করে যাতনার মহাবিন্দু, সেখানে ক্ষোভ বলো ক্রোধ
বলো সেসব কিছু রেখেছিলাম।
নতুন বাতাসের জন্য খুলে রাখি জানালা, অথচ
পৃথিবীভরা নতুন বাতাস কারো...
সব থেমে যায় না কখনও
যাকে নিরাবতা বলে মানি
মানুষ থেমে গেলেই কেবল
নির্জনতা আসে জানি!
বহুদিন কবিতা লিখতে পারছি না, কিংবা বলা যায় কবিতায় যাচ্ছি না ইচ্ছে করে।
এই অক্ষমতা মানষিক তবুও করোনা আনছে করুণ শারীরিক ক্ষোভ-
বেদনা আর গ্লানির গ্লাস দুটি পরস্পর আমার...
আলো নেই বলে তুমি অন্ধকারে
শোকের কফিনে গা এলিয়ে শ্লোক আওড়িয়ে
কোন প্রভূর কিতাব তর্জমা করো!
বয়ে চলা রুধির স্রোতে তুমি কোন তপস্যায়
এক এক করে বলি দিচ্ছ মানুষ এবং মানুষকে-
সম্ভ্রম পরাস্ত করে...
আমি দূ:খিত হই; কিম্বা বলা যায় একপ্রকার যাতনা হৃদয় বৃত্তান্তে উষ্ণ হাওয়ার হলকা বইয়ে যায়। যেমন দাবানল দহন করে হরিদ্রাভ বনানীর পুরোভাগ। আমার এই একাঙ্কিকা- বলা যায় নিভৃতের গহীনে ব্যথাতুর...
আমি সম্প্রতি একটি দূরবীন কিনেছি। কালো এবং হালকা নীলাভ মিশ্রণের।
রাতে এবং দিনে দেখার জন্য দু’রকম আলোকপ্রভার অস্বচ্ছ কাচের ফোকাস।
আমি সমুগ্রগামী জাহাজের মাস্তুল আর অস্পষ্ট ধোয়া দেখার জন্য...
তোমাকে কিছু বলি-
তোমার চমকে উঠা চিবুকের ভাজে কিছু নি:শ্বাস গুজে
দিই। কূয়াশায় অন্ধ হওয়া আমার চক্ষুদ্বয়ের ইশারায় নম্র দু’টি সূর্য একে
ছুড়ে দিই তোমার দুই কুন্তলপাশে দিকবিদিক!
বিরান মালভূমির ছালবাকলহীন...
আমি ভেবে নিই আজ যেহেতু শনিবার তাই আমাকে কিছু ভাবতে হবে। নির্ধারিত দিনে অনির্ধারিত ভাবনা কখনও দ্বিধায় ফেলে দেয়। যেন একটা খাদের মধ্যে অসময় পড়ে যাওয়া।
শনিবারের সকালটা একটা ভাবনার কুয়াশায়...
প্রথা মেনে কি কবি হওয়া যায়
প্রথাহীনতা কি কবিতার সংশয়!
আমি বাক্যে আর মননে কবিতা বপন করে
অত:পর কবিকে করলাম অস্বীকার-
কবিতার অসীম সীমানা কবিকে করে না ভর;
তাই শব্দে কবিতা খুঁজি...
নিষ্ঠুরতা আস্কারা দেয় সামাজিক ব্যাধিকে আবার, যখন
দূর্বিনীত অথচ পাশবিক হৃদয় সৌজন্যতা ছড়ায় যত্রতত্র-
কারো কারো দৃষ্টি বধির হয়ে বিনম্র হয় বহুগামী লালসায়;
কারো কারো শোকে ফুটে উঠে পানাফুল, সবুজ- সতেজ
কেউ কেউ...
‘’বন্ধু মানে তোমার হাতে পড়ে থাকা
ভুলে থাকা মনযাতনার অলস সে হাত
বন্ধু মানে মনের কথা, আমার ভীষণ অন্ধকারে
পাশে বসা ছায়াটাকে বলতে পারা-
বন্ধু মানে দু:সময়ে একফালি রোদ,
শক্ত বাটের শরীফ ছাতা-
বন্ধু মানে...
তবুও আমি পিছিয়ে রইলাম, জাগতিক সেই
অসম অথচ অনিবার্য দৌড়ে; কিম্ভূত আমলারা বসে আছে লোহার রেলিংয়ে,
যেখানে সবাই একটা সময়ে অবসাদ ঢেলে দেয়।
সে সব অবসাদে নম্র বিদুষক জাগে, জেগে রয় তদ্রালু...
©somewhere in net ltd.