নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোদলেয়ারের আশ্চর্য্য মেঘমালা দেখে থমকে দাঁড়ানো জীবনানন্দের সোনালী ডানার চিল...
রোববার ভোর।
আমি বসে আছি ম্যাকডোনান্ডের কোণের টেবিলটিতে। ক্যাপাচিনোর কাপ হাতে। শূণ্য দৃষ্টিতে কাচের ফাক দিয়ে দেখছি, সামনের অপরিসর সবুজে ভোরের কুয়াশার সম্মিলন। দু’একজন জ্যাকেট পরিহিত মানুষ আয়েসী ভঙ্গীমায় হেটে যাচ্ছে...
শব্দের কোন সীমানা নেই, বৈসাম্যের সকাশে
মৃত্যুর কোন ব্যত্যয় নেই এই অপরাধের অরণ্যে, যখন
দহন আর অসংযম পরস্পর একই পরাগায়নের সম্ভূত
আমি যতটা দূরে নিরাপদ গোলার্ধ, সেখানে বসে
কান বাড়িয়েছি ২০১১ রুমের জমাট...
চলো মুখোমুখি বসার পর, আত্মা খুলে টেবিলে রেখে
সবুজ চা পান করার আড়ালে পরস্পরের চোখে চোখ রাখি আবার:
যে চোখে শোকান্ধ গিরগিটির উকি
যে চোখে সোনালি আইশ্যাডোর বাহার
যে চোখে কাম আর মনোরম...
উত্তর সাগরে যেখানে টেমস নদী মিশেছে সমুদ্রে
এই সন্ধ্যায় তার কিছু শীতল লবনাক্তা নিয়ে আমি
কোন এক দূরগামী কবি’র মাস্তুলে কিছুটা শব্দবিভ্রাটের ডাক পাঠালাম-
নিকষ আধারে এই পংতিমালা না হয় সব...
কখনও যখন সাগর নুয়ে পড়ে
আকাশ বাঁধে দীর্ঘঃশ্বাসের খোঁপা
আমার পরাণে তোমার বিষহুল
প্রেমহীন শোক যায়কি তখন মাপা?
অংশপূরাণ হংস সায়রে খেলে
চতূর্ভূজের পুরোটাই খেয়ালী
দুঃখ নাটাই তোমার হাতেই ছিল
অপেক্ষার নামে এ কোন হিয়ালী!
চিকন সতেজ...
কখন কান্না আসে জানো-
যখন নুইয়ে পড়ে সব বেদনা যাতনার কারাগারে
অস্পষ্ট বিপ্লব চাপা সুগন্ধী ছড়ায় মনন্তরে মানষিক
অক্ষমতার পরিপূরক শ্লাঘা দারুন ছায়াপাত করে
অন্তরে এবং অবশ্যই অস্তিত্বে;
আমি বিশ্বাসের মহিরুহে পাচটি অক্ষদন্ড মেনেছি
আমি সাগ্নিক...
তুমি ইভান বুনিন’কে চেন? যাকে নিয়ে আমি প্রথম কবিতা লিখেছিলাম আর শ্যাওলাঢাকা একটি প্রমাণসমান স্ট্যাচু যাযাবর সময়পাতে গুগুল থেকে কেটে এনে বসিয়েছিলাম অলংকারসমেত।
তুমি ইমপ্রেশনিষ্টের অবাক রঙধারার প্রথম ছবিটি দেখেছ! সৎ...
অগুনন সমুদ্রগামী জাহাজ ভীড় করেছে অগভীর পোতাশ্রয়ে সহসা।
বেগুনি মাস্তুলে ভর করে সপ্তর্ষিমন্ডল দেখছে সাদা পোষাকের পোর্টমাষ্টার-
দু’টো জলজ শামুক লেনাদেনা ভুলে তাকিয়ে আছে দূরবর্তি বাতিঘরের চুড়ায়;
শব্দ আর ধোয়ায় ঢেকে রয়েছে...
প্রিয় কবি, গল্পকার, প্রাবান্ধিক, সাহিত্য সমালোচক
আব্দুল মান্নান সৈয়দের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ......
-----------
জ্যোৎস্না ভূতের মতো দাড়িয়ে আছে দরোজায়;
সব দরোজায়, আমার চারিদিকে যতোগুলি দরোজা আছে
সময়ের নীলিমার পাতালের; জ্বলছে গাছসকল সবুজ...
যেখানে নি:স্প্রভ একাদশী বর্তুল
রেডলাইনে হেটে বেড়ানো হলুদমুখি গিনিপিগ, আর
পকেট ফুটো করে শুধু বিয়োগ হওয়া ঈষৎ পেনিমুদ্রা-
সেখানে চককাটা হাওয়াই শার্টের বোতাম খুলে মধ্যবয়সী যে কবি পুরোদস্তুর আসমানে তাকিয়ে,
তার বিষন্নতা কতটা বদলাতে...
শহুরে আগুনে যে বিষ্ময় ছিল-
আধারে বা রক্তাক্ত জ্যোৎস্নায়। ব্যাকুল চডুইটা ডেকে
গেলে, সব বিদায়ী পাতারা তোমার মতো চুপচাপ-
জেনারেটারের দ্বান্ধিক শব্দ কিছুটা আলো আনে, যা
তুমি ব্লাডমুন ঢাকবার পাইতারা বলতে পারো।
পাখিরা ঘুমায়,...
আমি একবার ঘুঘু হয়েছিলাম, মাসাধিকাল অতিক্রম করে-
একটি হিজলের গহীন শাখায় পেখম খুলে বসেছিলাম;
যার নিচে একজন সংসারহারা মানুষ দুটি রুটির মধ্যে সমতল একটি আশালোক বসতী আকছিল।
পাতায় পাতায় যে বৈষ্ণব শঙ্কা...
নির্জনতার অপবাদ নিয়ে আমি আর কত ঘুরবো!
স্বপ্নের যে বাধনে জনাকীর্ণ এই পলায়ন
সেখানে দুটো মানুষের বিবাদ শুধুই তমশা নয় কি!
আসমানের দরোজায় যে বিষন্ন চৌকাঠ তার কিছুটা বিষাদের,
কিছুটা অনিবার্য...
কেউ যখন প্রজনন অঙ্গ দিয়ে সৌজন্যতা দেখায়
আমি তখন ষ্টারি নাইট শুনি আইবাডে আর
দু’টো শামুকের বিবর্তন পিরিয়ডের কেসহিষ্ট্রিতে নিমগ্ন
রই; যদিও পতাকার অন্যনাম এখানে অন্তর্বাস।
কিম্ভূত অগ্নি দাহ করে আমাজান- ব্রাত্যের লাশ ঠ্যালে...
আজ ভোর থেকে অবিশ্রাম বৃষ্টি, অনিয়মে- একটানা ঝরছিল। আমি কাচের ফাক দিয়ে অস্পষ্ট ভোরের আশায় তখন ক্যাপাচিনোর মগে চুমুক দিচ্ছি। এখানে বৃষ্টির সাথে ব্যাঙের কোরাস শোনা যায় না; এখানে বৃষ্টি...
©somewhere in net ltd.