নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোদলেয়ারের আশ্চর্য্য মেঘমালা দেখে থমকে দাঁড়ানো জীবনানন্দের সোনালী ডানার চিল...
প্রেমঃ
তোমার আঙুলে দুখ লাগেনি
নখে শুধু সুখ ছিল
তোমার চোখে রাত ছিল না
ভোর সকালের রোদ ছিল!
বিরহঃ
আকাশে যত বিষাদী মেঘ
কেউ ততটা কালো নয়
আমার মনের বিরহী খেদ
স্বপ্নভাঙা যাতনাময়!
আবেগঃ
দেখা হয় না, কথা হয় না
উপবাসী...
মেঘের ঘুড়ি উড়ে
তোমার পবন চোখে
মিথ্যে কথার সমান অনুতাপে
দুঃখসহ কষ্ট পোড়ে
অবাধ্য সন্তাপে-
তুমি শুধু আরাধনার ছবি
গভীর রাতে ভুলে থাকা
নিভানো মোমবাতি;
আমার নিদ্রাহারা লালাভ চোখে
একটুখানি ওম-
দামটা না দাও
বিষাদমালায় জ্বালাও যজ্ঞ হোম,
হোমানলে দুঃখ...
যার কোন শেষ নেই, তা সমাপ্তির অন্তরালে-
যেমন: বিস্ময়, তোমার আয়ূ শেষ হলেও
অগোচরে বিস্ময় প্রতিটি বৈদেহী অভিজ্ঞতায়
নিমগ্ন হতে হতে বলে উঠে, আহা! যদি এমনটি হতে পারতো!
আহ, তাই হয় নাকি!
আবারও এই...
ভেবে নাও কিছু একটা তোমার ইচ্ছে মত, সাগর পাড়ে দারুণ সূর্যাস্ত অথবা নক্ষত্রখচিত সুমেরু আসমান; অতল মহাজীবনের একাকী আলখেল্লা- সৎকারহীন অবৈষ্ণবের গলিত শব; ভেবে নিতে পারোঃ সুতো বাঁধা শালিকের...
কানদিনস্কি\'কে নিয়ে আমি একটা কবিতা লিখেছিলাম। কানদিনস্কির মানিব্যাগ চুরি করেছিলাম সে রাতে। কবিতায় আমি মূলত আমার অভিজ্ঞতার শুধু অনুবাদ করি। আমার দেখা মানুষ, তাদের সম্পর্কিত আবেগ, পারিপার্শ্বিকতা, কোন সৃজনশীল শিল্প...
আমি জানিনা কেন, তবুও সূর্যাস্ত আমার সবচেয়ে প্রিয়।
প্রতি সন্ধ্যায় যখন সমুদ্র ঘেঁষে ঘরে ফিরি,
তখন অস্তগামী সূর্যটা আমাকে কিছুটা মন খারাপের গল্প শুনিয়ে টুপ করে ডুবে যায়।
আকাশে তখন...
তোমার শহরে কারফিউ ছিল আজ
তোমার শহরে করোনারা তোলপাড়
তোমার শহরে মানুষের পথে সারি
জীবাণু যুদ্ধের অস্পৃশ্য শবাধার।
খুনির বেশে পরিধান করে ক্রোধ-
মারণ ব্যাধি খুজছে শারীরিক;
তোমার শহরে বাতাসে ছড়িয়ে আছে
বিষম ক্ষুধায় পাষবিক সরিসৃপ!
আমার...
ধৈর্য্যের মাপে সহ্য কি যায় কেনা
অবগুণ্ঠনে মানুষের মুখ ঢাকা
দুপুরের রোদ রাতের মতো কালো
মৃত্যুর রঙ বাতাসের বুকে আকা!
পৃথিবী এখন বিষন্ন কারাগার
ফুসফুস ভরা অজানা আতঙ্ক
কোন উৎসবে উন্মূখ নেই কেউ
প্রতিদিন গুনি মৃত্যুর অঙ্ক!
পরিবর্তিত জীবনের জন্য দূ:খবোধ নেই, শুধু
প্রত্যাবর্তিত সময়ে নিষ্কাম একপাক্ষিক বায়ূ- ভেদ
করে যাতনার মহাবিন্দু, সেখানে ক্ষোভ বলো ক্রোধ
বলো সেসব কিছু রেখেছিলাম।
নতুন বাতাসের জন্য খুলে রাখি জানালা, অথচ
পৃথিবীভরা নতুন বাতাস কারো...
সব থেমে যায় না কখনও
যাকে নিরাবতা বলে মানি
মানুষ থেমে গেলেই কেবল
নির্জনতা আসে জানি!
বহুদিন কবিতা লিখতে পারছি না, কিংবা বলা যায় কবিতায় যাচ্ছি না ইচ্ছে করে।
এই অক্ষমতা মানষিক তবুও করোনা আনছে করুণ শারীরিক ক্ষোভ-
বেদনা আর গ্লানির গ্লাস দুটি পরস্পর আমার...
আলো নেই বলে তুমি অন্ধকারে
শোকের কফিনে গা এলিয়ে শ্লোক আওড়িয়ে
কোন প্রভূর কিতাব তর্জমা করো!
বয়ে চলা রুধির স্রোতে তুমি কোন তপস্যায়
এক এক করে বলি দিচ্ছ মানুষ এবং মানুষকে-
সম্ভ্রম পরাস্ত করে...
আমি দূ:খিত হই; কিম্বা বলা যায় একপ্রকার যাতনা হৃদয় বৃত্তান্তে উষ্ণ হাওয়ার হলকা বইয়ে যায়। যেমন দাবানল দহন করে হরিদ্রাভ বনানীর পুরোভাগ। আমার এই একাঙ্কিকা- বলা যায় নিভৃতের গহীনে ব্যথাতুর...
আমি সম্প্রতি একটি দূরবীন কিনেছি। কালো এবং হালকা নীলাভ মিশ্রণের।
রাতে এবং দিনে দেখার জন্য দু’রকম আলোকপ্রভার অস্বচ্ছ কাচের ফোকাস।
আমি সমুগ্রগামী জাহাজের মাস্তুল আর অস্পষ্ট ধোয়া দেখার জন্য...
©somewhere in net ltd.