নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোদলেয়ারের আশ্চর্য্য মেঘমালা দেখে থমকে দাঁড়ানো জীবনানন্দের সোনালী ডানার চিল...
তোমাকে কিছু বলি-
তোমার চমকে উঠা চিবুকের ভাজে কিছু নি:শ্বাস গুজে
দিই। কূয়াশায় অন্ধ হওয়া আমার চক্ষুদ্বয়ের ইশারায় নম্র দু’টি সূর্য একে
ছুড়ে দিই তোমার দুই কুন্তলপাশে দিকবিদিক!
বিরান মালভূমির ছালবাকলহীন...
আমি ভেবে নিই আজ যেহেতু শনিবার তাই আমাকে কিছু ভাবতে হবে। নির্ধারিত দিনে অনির্ধারিত ভাবনা কখনও দ্বিধায় ফেলে দেয়। যেন একটা খাদের মধ্যে অসময় পড়ে যাওয়া।
শনিবারের সকালটা একটা ভাবনার কুয়াশায়...
প্রথা মেনে কি কবি হওয়া যায়
প্রথাহীনতা কি কবিতার সংশয়!
আমি বাক্যে আর মননে কবিতা বপন করে
অত:পর কবিকে করলাম অস্বীকার-
কবিতার অসীম সীমানা কবিকে করে না ভর;
তাই শব্দে কবিতা খুঁজি...
নিষ্ঠুরতা আস্কারা দেয় সামাজিক ব্যাধিকে আবার, যখন
দূর্বিনীত অথচ পাশবিক হৃদয় সৌজন্যতা ছড়ায় যত্রতত্র-
কারো কারো দৃষ্টি বধির হয়ে বিনম্র হয় বহুগামী লালসায়;
কারো কারো শোকে ফুটে উঠে পানাফুল, সবুজ- সতেজ
কেউ কেউ...
‘’বন্ধু মানে তোমার হাতে পড়ে থাকা
ভুলে থাকা মনযাতনার অলস সে হাত
বন্ধু মানে মনের কথা, আমার ভীষণ অন্ধকারে
পাশে বসা ছায়াটাকে বলতে পারা-
বন্ধু মানে দু:সময়ে একফালি রোদ,
শক্ত বাটের শরীফ ছাতা-
বন্ধু মানে...
তবুও আমি পিছিয়ে রইলাম, জাগতিক সেই
অসম অথচ অনিবার্য দৌড়ে; কিম্ভূত আমলারা বসে আছে লোহার রেলিংয়ে,
যেখানে সবাই একটা সময়ে অবসাদ ঢেলে দেয়।
সে সব অবসাদে নম্র বিদুষক জাগে, জেগে রয় তদ্রালু...
কখনও বলিনি বিশ্রাম এইখানে
কখনও বলিনি বসে যাও কিছুক্ষণ
কখনও আসো নি তুমি তবু বিভ্রম
বলিনি আশায় কেন কাদে পোড়ামন!
সেদিন সন্ধ্যায় দু’টো পাপ এসেছিল নিরবে
হামাগুড়ি দিয়ে;
আমি তাদের দেখিনি,
তবে কথোপকথনের ফিসফিস হলকায়
আমি উষ্ণতা আর গন্ধমের অপার্থিব ঘ্রাণ
পেয়েছিলাম পুরোটা সময়ভর।
একটি পাপ কিছুটা সময় চাইলো,
অন্য পাপটি বিবশ রইল শুনশান নিরবতায়-
সুখ...
তুমি কবিতা চেয়েছো যখন আমি মধ্যবয়সে জবুথুবু
হয়ে বাইফোকাল মুছছি চাদরে আর, সন্ধ্যা হলেই
মাংকি-টুপিটি পরে নেমে পড়ি জলশহরের চাতালে।
তুমি কবিতা চেয়েছ দীর্ঘনিদ্রারত এক সরিসৃপের অন্তরে,
যে ঘুমিয়েও স্বাপ্নিক, গর্তের বরেগায় উষ্ণতার...
আমার যদি ক্লদ মনেটের মতো একটি বাগান থাকতো-
হাওয়াব্রীজ আর পদ্মফুলের জলটলমল সরোবর!
আমার যদি ফুল আর পাখির পৃথক পরাগায়নের
অন্তর্গত সক্ষমতা বোঝার বিশেষ দৃষ্টি থাকতো-
অন্তহীন!
রমণীয় প্রচ্ছদের আয়তকার ক্যানভাসে শুধু
গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলদের...
বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা।
আজ ক্রিসমাস ইভ ছিল, আগামীকাল মেরি ক্রিসমাস। পাশ্চাত্যের সবচে আকাঙ্খিত আর জমজমাট উৎসব।
সবাই পুরোটা বছর অপেক্ষা করে থাকে এইদিনটির জন্যে।
তবে, আমার অনুভূতি এবার অন্যবারের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন...
কেউ তুমি সবুজ পাতাবাহার ফতুয়ায় স্মিতহাস্যে
সরোদে ‘তা দিয়ে গালিচায় করো ভর-
কেউ তুমি চমনবাহারের নির্যাসে চিলিমদানীতে পিক
ফেলে ফিক ফিক হেসে বলো: কেয়াবাত!
যেন সুনীল এবং স্নিগ্ধ চারপাশ-
সুখী আর পরিতৃপ্ত পেটফোলা মানুষজন;
জনান্তিকে তবুও...
পরাজিত মানুষ ঘুরে দাড়ায় অথবা,
মৃত্যুর জলাধীতে একবুক আশা রেখে বিলীন হয় অপার্থিব ঘুমশহরে-
পরাজিত মানুষ সময়ে এবং অসময়ে উদগিরীত
কান্নার বিপরীতে নতজানু আকাঙ্খায় বরন করে সাময়িক দীর্ঘশ্বাস।
পরাজিত মানুষ মোহের ধাতব বন্ধনীর মধ্যে...
জীবন যেন সময়নদী; বইছে- অবিরত।
সময় যেন গন্তব্যহীন ঢেউ, আশা আর আক্ষেপের বিকল্প সমতা।
পাড়ে জন্মিয়াছে পাতাময় দারুন সব ম্যাপল বৃক্ষ, শোভিত এবং বিপুল।
অথচ, এখন চলছে পাতাঝরার মৌসুম।
সময়নদীতে...
তোমার জন্য রেখেছি মেঘলা ভোরের সাদা অদৃশ্য
সূর্য্যটির পাল্টা ক্ষোভ;
জমে উঠা ফসফরাসের বাড়তি আগ্রহ-
সবুজ বনানীর বিপন্ন শৈতিক অত্যাচারের নিঝুম অপরাধ।
তোমার জন্য রেখেছি বাষ্পে ভরা মৃদ্যু কনকনে হাওয়ার জমাট কূয়াশা।
ক্রিসমাসট্রির বর্ণিল কারুকাজের...
©somewhere in net ltd.