নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যতবার সামনে এগোব বলে মনস্থির করি
কে যেন পেরেক এঁটে দেয় অদৃশ্য দেয়ালে
মেঝের সাথে পা দেয়ালের সাথে শরীর...
দেখেছিলাম কোন এক কালে অনন্ত নক্ষত্রের তলে
বয়ে চলা জ্যোত্স্না নদীতে পা ডুবিয়ে থাকা
কোন এক হরণীর প্রতিচ্ছবি...
আমায় তুমি তোমার চুলে আলতো করে হাত রাখতে দেবে ?
ঠিক দুপুরে তোমার ছায়ায় হাটতে দেবে ?
শ্রাবণ দিনে এক ই ছাতার তলে থাকতে দেবে ?...
এ বার তুমি ভালোবাসতে পারো
অনেক যুদ্ধ শেষে বসিয়েছি দুর্ভেদ্য তারকাটা সীমান্তে
এখন আর ঘর গড়তে হবে না একের পর এক পাথর টেনে...
কাল তুলেছি মাথায়
খুব বেশি কি অন্যায় হবে আজ যদি পায়ের নিচে নামায়
তুমি তো সেই পরাশ্রয়ী ভালো মত ই খাঁমচে ধরে উঠতে পারো হৃদয় মাটি...
আমার কিছু চাওয়ার ছিলো
চাওয়া হলো না
যমুনার খাদের পাশে দাড়িয়ে শুধু দেখেই গেলাম...
প্রতিটি জ্যোত্স্না ই আমার কাছে নতুন মনে হয়
এক চাঁদ সহস্রবার দেখে মুগ্ধ হই,
উফ্ এমন প্রতারনার ফাঁদ ও পাতা যায় !...
কি করে ভালোবাসবো বলো
বৃক্ষ হীন বৈশাখী দিনে যদি একটু ছায়ার আশ্বাস না পাই
কাল বৈশাখী যদি শুধু ভাঙ্গে ঘর...
এই যে বাইরে তুমুল ঝড়
এর থেকে বেশি এই বুকে
এই যে বজ্রপাত হয় শুরু হয় উন্মাদ প্রলয়...
একা থাকা মানে ই একা নয়
সংখ্যাগত ভাবে হয়তো একা
কিন্তু আমি কি ভাবি সে তো কেউ জানে না...
তুমি যখন ছিলে অভাব বোধ করিনি
বুঝিনি তুমি আছো কি নেই
যেন আমি ধরেই নিয়েছিলাম তুমি থাকবেই,...
তোমায় ভুলি কি করে
আমি তো বৃক্ষ নই এক বসন্তের পাতা ঝরিয়ে অন্য বসন্তে সাজাবো ডাল
মাটি ভেদ করে নামাবো শেকড়...
হাত রাখি সেখানেই যেখানে তুমি গ্রিলের ফাঁকে হাত রাখো আকাশ দেখার ছলে
এ হাত পাতি সেখানেই যেখানে তোমার চুল ছুঁয়ে বৃষ্টি নামে,
আমি হাত রাখি মধ্যরাতের দর্পনে...
কতো স্রোতস্বিনী একেঁ বেঁকে সুর তুলে বয়ে গেছে আমাকে ঘিরে;
কতো বৃক্ষ ডাল সাজিয়েছে ঘুরে ফিরে চক্রাকারে
কতো ভোরের আলো জানালার কাঁচ গলে আলিঙ্গনে পড়েছে ঝাঁপিয়ে...
©somewhere in net ltd.