নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়ের যমুনাতে বয়ে যায় ঢেউ
আমি তো তোমাদের ফেলে যাওয়া কেউ
দিনলিপি ছিলো যারা জীবন খাতায়
ইরেজার ঘষে কি সব মোছা যায়?
কাগজে দাগ কেটে তারা গেছে চলে
আমিওতো কত ব্যথা জমালাম ভুলে
হাজারো মুহূর্ত যেন...
আমি চাই তোমার আর আমার আবার দেখা হোক
যেমন করে আকাশ ঝেপে বার বার বৃষ্টি ঝরে
তেমন করে মাঝে মাঝে ভিজিয়ে দিয়ে যেও।
যেমন করে বছর শেষে আবার নতুন বছর আসে
তেমন করেই নাহয়...
এই পৃথিবী এই মাটি পরে
এত আলো সবই তোমার তরে
দিলাম সপে মাগো।
তুমি ছাড়া এত রস রূপ
পৃথিবীর আলোছায়া ধূপ
কখনো পেতাম নাকো।
একটু যদি চোখের আড়ালল হও
একটু যদি দূরে কোথাও রও
তোমায় ছাড়া ভালো লাগে...
আমি চির নির্জলা নিস্ফলা এক বৃক্ষ
বোশেখের ঝড়ে ভেঙে পড়ি বারবার
কি দারুণ যন্ত্রণা বজ্রাঘাতে
ক্ষতবিক্ষত দেহ,পুড়ে ছারখার।
সবুজ স্বপ্ন আকা, প্রজাপতি রঙ মাখা
রঙিন পল্লবে জেগেছিলো কুঁড়ি
ঝরা ফুলে আঙিনা হয়ে গেছে সমাধি
ডালপালা মেলে...
বরষা তুমি আমার হয়ে বোলো তারি কানে কানে
এমনি করে বাদলা ধারায় ঝরবে কি সে আমার সনে?
শুনতে কি পায়না সে দুঃখের কালো মেঘের গর্জন?
কখনো কাঠ ফাটা রোদ্দুর, কখনো হাওয়া ভীষণ
জানি...
হে ধরিত্রী মাতা,
তোমার বুকে তুমি দিয়েছিলে আশ্রয়
ঝড় ঝঞ্ঝা সকল প্রতিকূলতায়।
বিনিময়ে তোমাকে করেছি ক্ষতবিক্ষত
একবার দুবার নয়, প্রতিদিন প্রতিনিয়ত।
তোমাকে দিয়েছি বিষাক্ত কালো ধোঁয়া
উপড়ে নিয়েছি সবুজ বনানী, শ্যামল ছায়া।
কেটেছি পাহাড় ভরেছি নদী গড়েছি...
জানো কি?
এই পাথরেরও প্রাণ ছিলো,হাসি ছিলো গান ছিলো
ছিলো কত মধুর কলরব।
রঙিন জীবন ছিলো,যাদু ছিলো মায়া ছিলো
ছিলো কত না দেখা অনুভব।
এই পাথরেও ফুল ফুটত,ঝর্ণার জলে স্নান জুটত
চারপাশে ছিলো সবুজ সঙ্গী।
আকাশ...
আমার প্রতিটি বিকেল জানে
কে ছিলি তুই,কি ছিলি আমার
এখনো আছিস একই রকম।
আমিতো ছিলাম ব্যথার গানে
তুই এসে সুর বদলে দিলি
এখন আবার নতুন জখম।
মায়ার ঘরে বন্দী হয়ে
তাসের দেওয়াল ভাঙবে বলে
দরজা ভেঙেই চলে গেলি।
এতই...
আমি বার বার তোমার কাছে ফিরে আসবো।
যদি ঢেউয়ের গর্জন শুনতে শুনতে সমুদ্রের বিশালতায় হারিয়ে যাই,তবু ফিরে আসবো;
তোমার হৃদয় সমুদ্রের গর্জন আমি কিভাবে উপেক্ষা করতে পারি বলো?
যদি আকাশের নীলিমায় মন হারিয়ে...
চৈত্রের শেষ দুপুরের নির্জনতা,
খুব কাছ থেকে ফিরে যাওয়া বিকেল,
সকল সংশয় ও শেষ হতে পারত
যদি তুমি চাইতে।
বসন্তের শেষ রোদের আলোয়
পাশাপাশি হেটে চলা পথে,
দুটি হাত একসাথে বাধা থাকতে পারত
যদি তুমি চাইতে।
চৈত্রের সংক্রান্তির...
মন মাঝিরে তোর বৈঠা বেয়ে
যাস কোন উজানে,
মোরে কি নিবি তোর সনে?
যদি ভাটির সময় আসিস ফিরে
নিয়ে যাস সঙ্গে করে,
নইলে আর খুঁজে পাবিনা মোরে, ও মাঝিরে।
বাঁকা হাসির মত পাল ধরিস ভালো করে...
আমিই সেই মহাসমুদ্র
যার গর্ভে লুকানো হাজারো রতন
যার কান্নার জলেই ওঠে ঢেউ
যার যন্ত্রণার চিৎকারে ওঠে গর্জন।
চন্দ্রপক্ষে যার বুকে আসে খুশির জোয়ার
আবার ভাটির টানে নেমে আসে স্তব্ধতা
ফুরায় না সেখানে লোনা অশ্রু...
রাত বারোটা, তুমি আসতে
ভালোবাসতাম সংগোপনে,
ফেলে ব্যস্ততা কত কথা
কানে চেপে রাখা মুঠোফোনে।
রাত একটা, আমি কাঁদতাম
তুমি কাঁদতে,
সব অভিমান ভুলে যেতাম
তারপর তুমি ঘুমোতে।
ভোর ছয়টা, ঘন কুয়াশা
আমি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে,
তুমি আসতে, পাশাপাশি
কাছে টানতাম হাত...
শত সহস্র ফাগুন মাস আখি সিক্ত হয়েছে জলে
প্রিয়,জন্মেছি বহুবার শুধু তোমায় পাবো বলে।
জানো কি তোমারে দেখিগো যত
চোখের তৃষ্ণা বাড়ে তত,
আছে যেন কি মায়া জড়ানো তোমার মাঝারে
মনে হয় যেন জনম জনম...
আমি ফিরিয়ে দিয়েছি সিউলের হাতছানি,
কর্ণাটকের কৃষ্ণা কাবেরীর ছোঁয়া।
ফিরিয়ে দিয়েছি নিকোটিনের রেস্তোরায়
থলি ভরা স্বর্ণমুদ্রার কোয়া।
আমি নিইনি প্রস্ফুটিত ফুলের তোড়া,
জানি তুমিও ফুটবে একদিন।
হয়েছি তোমার ঘ্রাণেই আকুল,
প্রেম তো হয়না ব্যাথাহীন।
মোহরের গালিচা ছড়িয়ে রাখা
সুখ...
©somewhere in net ltd.