| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাসুদ রানা শাহীন
এক পশলা বিশুদ্ধ আনন্দ পেলে লক্ষ জনম এমনিতেই পাড়ি দিতে পারি।এই আনন্দ খোঁজাতেই আমার আনন্দ
ভেবেছিলাম
সমূলে চিৎকার দিয়ে নিজের ভালোবাসাটা জানান দেবো
একদিন এই পৃথিবী তুমুল বিষ্ময়ে দেখবে দুটি মনের নৈস্বর্গিক উষ্ণতা
ভেবেছিলাম
দু জন মিলে সমুদ্রের নি: শব্দ থেরাপি নেবো
তাঁর সাথে আমার আর সমুদ্র...
বীর ক্ষয়ে যায় না
বীর ফেরে যুগে যুগে
মায়ের নিরাপদ কোলে থেকে বেড়িয়ে পড়ে
গণগনে রোদেলা কন্ঠে
উত্তাল মিছিলের প্রথম সারিতে
খোলা বুকের বিদ্ধ বুলেটে
বীর ডরে না
বীর ফেরে পদদলিত করে
অনিশ্চয়তার প্রহেলিকা
অস্পষ্টতার কুহেলিকা
অনিয়মের ঝঞ্ঝা।
বীর মরে...
একটি ফুলকে বাঁচাবে বলে হাতে রাইফেল নিয়ে যে তরুণের দল
মায়ের আঁচল ছাড়লো
বউয়ের মেহেদী রাংগা হাত ছাড়লো
কোলের শিশুর মায়া ছাড়লো
ঘর ছাড়লো
উঠোন ছাড়লো
নাড়ীপোতা মাটি ছাড়লো
সেই যুদ্ধ এখনো শেষ হয় নি।
একটি...
[
সবটা প্রকাশ করতে নেই
কিছু মুহূর্ত গোপনই থাক
নিজের মানসিক শান্তিটা নিজের কাছেই গুছিয়ে থাক।
হ্নদয়ের সবটা সঞ্চয় ঢেলে দিতে নেই
কিছু কথা অব্যক্তই থাক
ভেতরে পুষে রাখা আগ্নেয় ইমোশনগুলো কৌটা...
চলে যাচ্ছি কিন্তু যাচ্ছি না
আমি আছি তোমার নিজস্ব জগতেই
থাকবো তোমার নীরব নিউরন হয়ে
আমি না হয় মরে গিয়ে স্মৃতির কুড়ানো নুড়ি হয়ে রবো
মন চাইলে আমাকে খুঁজে নিও কবিতার গাঢ় উত্তেজনায়।
চলে...
শুধু পেট ভরে খেতে পারলেই সব ক্ষুধা মিটে যায় না
এক প্যাকেট বিরিয়ানি আর এক খিলি পান চিবালেই ষোলকলা পূর্ণ হয় না
আশি বছরে পঁচিশ হাজার বই গিললেই জ্ঞানী হয়...
ভয় না পেয়ে প্রশ্ন করাই বেড়ে উঠা
প্রশ্ন করতে শিখে যাওয়াটাই এগিয়ে যাওয়া
প্রশ্ন করবো নিজেকে, প্রশ্ন করবো বড়দের
প্রশ্নের কড়া নজরদারিতে বাদ যাবে না একটি শিশু ও
এই শীতেই প্রশ্ন করতে...
এমন একটা সময় পেলাম
নগরের রোদে ঘামে চাপে ধূলোপড়া পাতা হয়ে গেলাম
লোক মুখে শুনি
শয়তানের কাছে মানুষের আত্মা বেঁচে দেয়া হয়েছে
সংক্ষিপ্ত ও ঝড়ো ইনিংসে সাফল্যের ফসল ঘরে উঠাতে চায়...
তুমি আমার প্রানসখী
আমার হ্নদয় রাগিনী
তুমি আমার প্রানসখী
আমার প্রেমের রজনী।
আপন করে খুঁজি তোরে
জনম জনম সাধনায়
মনের ঘরে রাখি তোরে
জীবন-মরন যাতনায়।
এমন করে ভালোবেসে
চাই যে তোমায় বারে বার
মনের...
এই বাংলার কলাপাতা সবুজে আমি হেঁটেছি প্রাণ ছুটিয়ে
বাংলার ঝিরিঝিরি বাতাসে সেরেছি সময়ের দীর্ঘ রুপালি স্নান
বাংলা আমার কৃষাণি মায়ের নাম
বাংলা আমার সন্তানের নাভীমূলের নাম
শত বছরের হৃদয় আর্তি ছেকে এই বাংলা আমায়...
দুনিয়ার সমস্ত উত্তাপ উৎসব সমস্ত আয়োজন সাঙ্গ করে আমার শেষ আশ্রয় হয়েছিলো কুটিপাড়ার কবরস্থানের ওই শান্ত স্নিগ্ধ নরম মাটিতে।
দিন শেষে তবু এই কবরটা ছিলো।
দুনিয়ার সমস্ত হাসি-কান্না,পাপ-পূণ্য,
যুদ্ধ -সংগ্রামের দৈনন্দিন পাট চুকিয়ে...
আজ কোন বক্তৃতা দেবো না আপনাদের সামনে
মাউথপিসের পেট থেকে আজ কথার কোন আগুন ঝরবে না
অফুরান কথার মালা গাঁথতে যাওয়াটা আজ শুধুই বোকামি হবে।
আজ শুধু স্বল্পদৈর্ঘ্য কথা হবে
শুধু কবিতার ভাষায়...
হুটহাট অন্যের ইনবক্সে ঝুঁকে পড়ার অভ্যেসটা এখনো রপ্ত করা হয়ে ওঠে নি
চাঁপা-চামিলীর গন্ধমাখা গোধূলি কখন যে বিদায় নিয়েছে!
আমি এখনো হৃদয়ের গোপন ভাষা বুঝি না
আমি তো নিষ্ঠুর অবহেলা হজম করতেই ব্যস্ত...
আরো কিছু লাগবে তোমাদের?
আর কি চাই!
এলিসি প্রাসাদ?
কয়েক হাজার নিরাপত্তাপ্রহরী?
দুনিয়ার সবচেয়ে দামী পান্না?
সব নাও তোমাদের মন যা চায়
সব নাও।
আমার যা আছে তোমরা সবটা নিয়ে যাও
যশ,খ্যাতি,প্রতিপত্তি
যদি কিছু থেকে থাকে সব...
শব্দ দুষণে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে?
চার দেয়ালে জীবনটা জাহান্নাম হয়ে গেছে?
নিজেকে কেবলই আগাছা মনে হচ্ছে?
তাহলে বেড়িয়ে পড়ুন দু চোখ যেদিকে যায়
মানুষের আবার মানচিত্র কীসের ?
কাউকে না বলে হঠাৎ দূরে কোথাও...
©somewhere in net ltd.