![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের একজন সাধারণ মানুষ। পরের ধনে পোদ্দারি করে জীবিকা নির্বাহ করি। আর সময় পেলে শব্দ নিয়ে খেলি । অন্তরের লালিত বাক্য জননী জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।
ফিসফিসিয়ে বললো হাওয়া
বাইরে যাবে কবি?
হাতছানি দেয় গভীর রাতের
অবাক করা ছবি।
ঘরের মোহে রইলে পড়ে
থাকলো পড়ে ধরা,
তাইতো তোমার কাব্যে এমন
ফসলপোড়া খরা।
বাইরে এসো বাইরে এসো
ছিহ্ন করো মোহ,
জাগাও তোমার মনের মাঝে
নতুন দিনের দ্রোহ।
প্রসার করো...
কিছুতেই মেনে নিতে পারে না মন
বেদনায় বিষণ্ন সারাক্ষণ,
প্রবোধ মানে না চোখের জল
গাল বেয়ে বুকে পড়ে অবিরল।
এ তোমার কেমন যাওয়া?
যেতে তো চাওনি তুমি।
ঢের ঢের আলো ছড়াতে ছিল বাকি
তবুও যেতে হলো অনন্তে...
এপিঠ
পাশে বসে আছ তাই
কত ভাল লাগে,
কত মধুর ভাবনা আসে
স্বপ্ন হাজার জাগে।
ওপিঠ
পাশে বসে আছি তবু
নেই বসে পাশে,
বাস করে কে মন-ঘরে
আমি দূর প্রবাসে।
সারাক্ষণ তোর সঙ্গ পেতে
খুব ইচ্ছে করে সখি,
পুষিয়ে দেব,গেল ক\'দিন
যেটুক দিলাম ফাঁকি।
আহা, কাঁদিস কেন?
কোন কারণে চক্ষু টলমল?
কে বকেছে পরাণ তোরে
কে মেরেছে? বল?
মুখটা এমন ভার কেন তোর
কেন এত কান্নাকাটি?
একটুখানি হাস্ না পরাণ
মোছ...
ও চাঁদ তুমি মেঘের আড়ালে লুকিয়ো না
আলো ছড়াও অবিরল,
তুমি আড়াল হলে আমি দিকভ্রান্ত হব
আঁধারে ঢেকে যাবো
মুখ থুবড়ে পড়বো পথের উপর।
ও চাঁদ ঘন-কালো মেঘে ঢাকা পড়ো না
আমাকে আঁধারে রেখো না,
ঢাকা পড়লে...
কলাপাতা রঙের বাইকটা আর দেখি না,
এই পথে কতবার দেখেছি-
কখনো তার আরোহীকে দেখিনি এখানে
হয়তো ছিল আশে পাশে
গোপনে চোখ রেখেছে আমার ওপর।
টিএসসির এই সড়ক দ্বীপ
অথবা লাইব্রেরি গেটের পাশে
কতজন আসবে যাবে কত...
কোন খেয়ালে খেলতে এসে
হঠাৎ কখন গেলে ফেঁসে
এখন তোমার কাজল চোখে নিত্য জলের খেলা,
এমন করে ভাবছিলে কি
করছিলে যা সবই মেকি
ভুলগুলো সব ফুল হবে কি ভেবে কাটাও বেলা।
মাততে গিয়ে খুনসুটিতে
ঢুকলে সোজা মন-কুঠিতে
ফেরার...
কষ্টেরা ভিড় করে আঙ্গিনায়
সুখ এই দিকে ফিরে না তাকায়
যায় যায় ক্ষণ যায় ধীর লয়ে
নীরবতা ভাঙ্গে পাছে থাকি ভয়ে।।
সম্মুখে পথ কোথা জানা নাই
হৃদয়ের কোণে খুঁজি কিছু ঠাঁই
শঙ্কাতে কাঁপে বুক ধুক ধুক
কোথা...
বুঝি না হেয়ালী তব
জাগে ভয় নব নব
কাঁপে বুক দুরু দুরু
জানি না কিসের শুরু
খাঁচা ছেড়ে প্রাণ-পাখি উড়ে যেতে চায়,
ভাবনায় কত কি যে
নোনা জলে বুক ভেজে
না জানি কি হল তার
সইতে পারি না...
শুকতারা তোমার ভাবনায়
সুতীব্র সুখের শ্রাবণ-ধারা
বয়ে চলে আমার ধমনিতে।
উত্তাল সমুদ্রে তরী বেয়ে
চলেছি আমি-
ঝড়-ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ সময়ে
অথবা মাতাল স্রোতের টানে
পথ হারালেও নির্ভয়ে থাকি
আমার অস্তিত্বে আছ বলে।
তোমার ভালবাসার আলোয়
স্নান করে সিক্ত আমি
শিহরিত হই ক্ষণে...
জনম ভরে খুঁজছো যারে
পাওনি তারে তোমার দ্বারে
ভেবেছিলে হয়তো পাবে
আমার মাঝে সেই মহাজন,
পাওনি তারে তাইতো এখন
গগনফাঁটা এমন রোদন।
আমার চলার পথের উপর
নাইতো কোন ফুল বিছানো,
তবে কেন চলতে গিয়ে
হুমড়ি খেয়ে রোজ...
তুমি আমার এই আঙ্গিনায়
আর এস না,
নূপুর পায়ে ছন্দ তুলে
নীরবতা নাশ কোরো না।
তুমি আমার এই মরুতে
হঠাৎ খানিক বৃষ্টি নিয়ে
আর এস না,
মনের ভুলে
যেটুক ভালবেসেছিলে
আর বেসো না।
দোহাই তোমার
এই স্বপ্ন ঘোরে
আর এস না,
মাতাল নাচে
সুর...
তোর আলুথালু বসন কেন
রুক্ষ কেন কেশ?
তোর হৃদয়ের রুধির ধারা...
জ্বলছি ক্রোধে
জ্বলছি ক্ষোভে
জ্বলছি দুঃখে...
©somewhere in net ltd.