নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কমলাপুর রেলস্টেশনে এক পিলিয়নকে নামিয়ে বাইকটা ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। গন্তব্য তেজগাঁও। মাঝবয়সী এক ভদ্র লোক এসে বলল, রাইড শেয়ার দেই কিনা? হ্যাঁ সূচক সম্মতি দিয়ে ইশারা দিলাম বসার জন্য।
- ভাই...
হয়তো সেটা মানবিক প্রেম ছিল, নয়তো সাত্ত্বিক কিংবা নারী পুরুষের গোপন প্রেম!
হাজারো প্রেমের উঠোনে আজ মেঘের ঘনঘটা।
বিশ্বাস-অবিশ্বাসের পালাবদলে;
খেয়ে দেয়ার উৎসবে মাতে লাল শামুক!
আমিও ভাসি
না চাইলেও ভাসি,
তুমিও ভাসো
এভাবেই জলের টানে ভেসে...
(১)
\'
সুখতলার মত ক্ষয়ে যাওয়া জীবনে
সৌন্দর্যের পূজা হলেও মানবিকতার পূজা হয়না,যা হয় তা স্রেফ করুণা।
ভেতরের রঙচটা কলিজায় পচন ধরলে খোদার কী দোষ?
আলখাল্লা টাইপের ঢিলেঢালা গেঞ্জি আর ঢিলেঢালা প্যান্টে থাকে কোটি টাকার...
শীত এসে গেলে,
উষ্ণতা হতে চাওয়া তোমার মন ঠিকই ঝরে গেছে-
মাঘ পেরিয়ে কোন এক ফাল্গুনি হাওয়াতে।
আমিও আজও ঠিক একই রকম থেকে গেলাম,
আসবে বলে, আসলেনা না তবু, যদি আসো এই অপেক্ষাতে।
সেদিন খেতে গিয়ে ফুটপাতে,
শূন্য পকেট তবু বারো টাকা বারো আনা নিয়ে-
দাঁড়িয়েছিলাম অবাক চাহনি আর জীর্ণশীর্ন হয়ে।
ত্যাল মাখা কাউয়া কালো চুল আর চিংড়ির ঘ্রাণে কাছে ঘেঁষি আরও-
খুব নিকট তার থেকেও অধিকতর...
একটা দীর্ঘ শীতের রাত,
শীতের শরীরে ভর করে এগিয়ে যায় উষ্ণতা!
গুটিসুটি মেরে নিরব দুনিয়া,
উষ্ণতা খুঁজে পেলে বুক-
তোমার জমিনে গাঙচিল উড়ে অহেতুক।
শীতের মধ্যরাতে গোপন কপাট খুলো,
তারপর বন্ধ করো চোখ;
বেড়িয়ে পড়ুক ব্যক্তিগত...
এই যে দেখো আবার এলাম শালিক পাখি হয়ে।
কথা ছিল ঢেঁকিশাকের মতো কুকড়ে গেলে কভু
ফিরে আসব পটল গাছের ফুল হয়ে।
কচু ফুলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা হলে আমার উঠোন-
তোমার উঠোনে আসব আবার ফিরে।
এলাম তো...
চতুর্দিক হইতে ধেয়ে আসা বিষমাখা তীর যেইমাত্র শুভাশিস চ্যাটার্জীর বক্ষ ভেদিয়া বাহির হইয়া গেল ঠিক সেই লহমায় শ্যামদাস ভাবিয়াছিল অদ্য বুঝি আর রক্ষা নাই। অদ্যাপি বিষফোঁড়াটার ব্যাপক বাড় বাড়িয়া গিয়াছে।...
সবেমাত্র রাত এগারোটা। ব্যাচেলর লাইফে এতক্ষণে যদিও একপ্রহরের ঘুম শেষে দ্বিপ্রহরে পদার্পণ করতাম। প্রকৃতিতে শীতকাল বিরাজ করছে। যদিও বেশ কয়েকদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহের দাপটটা একটুই বেশিই অবলোকন হচ্ছে। আমাদের গ্রামের বাড়িটা...
শান্ত হলে আমার উঠোন
উইপোকা খায় রোদ
ঘুণে ধরা হলুদ বিকেল
হারায় বিবেকবোধ।
মধ্যপথে ডাকলে শকুন
বাদুড় হয়ে ঝুলি
উর্ধ্বাকাশে রঙের খেলা
নিত্য ধরায় দুলি
ভাঙলে আমার মনের দুয়ার
তোমার মুখে ইস
ফড়িং ডানায় উড়ছে পিরিত
আমার মুখে বিষ।
★
অলিতে গলিতে যে ফুল ফুটে আছে তার জৌলুস আর ঘ্রাণের মাদকতায় বিভোর হয়ে দাম চুকালাম আশি টাকা, ফেরার পথে লক্ষ্মীপেঁচার হাসি দেখে ভাবলাম ঠকলাম নাতো!
★
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে দেখলাম কাকাতুয়াটা এখনো...
ছাল নাই কুত্তার বাঘা তার নাম
ভাব আছে দেখি
নেতা সেই নাকি?
জ্বী দাদা ভাই দেখিতে অসাম।
খায় কি গো সে
শুয়ে নাকি বসে?
নাকি দাঁড়িয়েই সাড়ে তার কাম
সেই জাত দাদা
এযে শুধু ধাঁ ধাঁ!
উত্তর খুঁজে পেতে...
অনাদিকালের পথিককে হাসিমুখে দেখতে চেয়ে,
হাহাকারের জলে ভাসিয়ে দিলাম নিজের সুখ।
আপন ভুবনে পর করে দিলে নিজের শেকড়-
পাপী বলে সম্বোধন করে মহাকাল!
চোখের জল দেখা গেলেও দেখা কি যায় বলো হৃদয় নিংড়ানো কষ্টের...
বইসা থাকো বিদেশ বিভূই ফাল পারো নীল পাড়ায়
হ্যান করিতাম ত্যান করিতাম বাল ফালাতাম খাঁড়ায়
বুঝছি বাপু পারবে তুমি ঠিকমতো না দাঁড়ায়
গুজব গুলোই বিবেকটারে খুব করে আজ নাড়ায়।
হাং বুঝো না সাং বুঝো...
©somewhere in net ltd.