![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তন্দ্রাকুমারী একটি কাল্পনিক চরিত্র যার সন্ধানে আছি নিশিদিন!!
তোমার কোমল হাসি বয়ে আনে বাতাস,
আমি জেগে ওঠি, স্মৃতির পাখনা মেলে,
তোমার চুলের গন্ধে মাতাল আকাশগঙ্গা;
আমার বুকে পড়ে চাঁদের শীতল আলো।
ধূলিমাটির এই পৃথিবীতে আছে যত পতঙ্গ,
তোমার সম্মানে ওরা নাকারা বাজায় কিংবা...
আমার দিকে এ রকম তাকিও না তুমি,
মৃত্যুর মতো গোপন ইঙ্গিতে।
যদি তুমি চলে যাও অনন্তে,
তখন পৃথিবীর সব নারীকেই ভয় পাব আমি;
যদি তুমি নিরুৎসাহে তাকাও আমার দিকে,
আমি পুড়ে মরবো আগুনে, পৃথিবীও পুড়ে...
আমি তোমাকে নিয়ে এত স্বপ্ন দেখেছি,
এখন আর তোমাকে বাস্তব মনে হয় না।
এত বেশি স্বপ্ন আমি তোমায় নিয়ে দেখি,
এখন আমি সর্বক্ষণই শুধু ঘুমিয়ে থাকি।
তোমার চোখ আমাকে দেখে না কখনো,
তোমার কান আমাকে...
কখনো কখনো সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায় মন,
দেহের সীমারেখা ভেদ করে আমি যেন বেরিয়ে যাই—
এই দেহের কারাগারে বন্দি আমি কতকাল?
এই মনের উঁচু প্রাচীর ভেঙে মুক্তির অপেক্ষায়!
হঠাৎ যদি অন্ধ হয়ে যাই—অন্ধকারে...
রাত নিঝুম। নিঃশব্দ। গ্রামের শেষ প্রান্তে ভাঙাচোরা একটি বাড়ি। নিরবে দাঁড়িয়ে আছে। পাশেই এক প্রাচীন বটগাছ। হাজার বছরের পুরনো। গাছের শাখাগুলো ঝরে পড়া শতাব্দীর সাক্ষী। অদ্ভুত এক শক্তি নীরবে বয়ে...
রাত পোহায়নি, দিন শুরু হয়নি। খাটের উপর শুয়ে আছি চিৎ হয়ে। ঘরে কারেন্ট নেই, অন্ধকার ঘর। গরমে ঘর্মাক্ত আমার শরীর। সাদা দু\'টি পায়ের কথা মনে পড়ছে। আধো ঘুম আধো...
তুমি বলো, সত্যের চেয়ে তৃপ্তি কিছুতে নেই
অথচ দাবার বোর্ড সম্পূর্ণ সাদা হয়ে গেলে
খেলবে কিভাবে মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ড কিংবা হাত-
আলোই যদি সব, তবে অন্ধকারে স্বপ্ন দেখা কেন?
চলো আবার প্রথম থেকে সব...
ভাগ্যের চাকার ঘূর্ণনে সে এক খেলার পুতুল,
মুখে তার কখনো মধু,
কখনো বা নির্গত হয় তিক্ত ধূম্র।
তার অভ্যন্তরে এক নিবিড় অন্ধকার,
বহির্দেশে আরেক অন্ধকারের দৃঢ় প্রাচীর।
সে ভালোবাসে না তার নারীকে,
বসন্তে বসন্তে করে...
আমারও বাবা ছিল, মা ছিল
তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পর যার যার সংসার
আমাকে নেয় নি কেউ-আমি তাই টোকাই
আমি সারাদিন সারারাত নেশা করি
ভিক্ষা করে বেড়াই।
আমার রুক্ষ চুল কপালের উপর বেয়ে পড়ে
মাঝে মাঝে দমকা...
অব্যবহৃত ব্লেড
মনে হয় ঠান্ডা মেজাজ
কিন্তু বুকে অনন্ত রক্তের ক্ষুধা।
নক্ষত্ররা বসে ভাবে,
সংগীতকে কিভাবে জবাই করা হচ্ছে
যে সংগীতের ধমনী হালের বলদের মত শুকনো
১৯ বছরের যুবতীর মত সে নেচে চলে
যার সাদা ওড়নায়...
আমি বুঝতে পারি না তুমি আসলে কোথায়?
তোমার চোখে কিংবা মিষ্টি কথায় তুমি নেই
তোমার হাতের পায়ের আঙ্গুলে তুমি নেই
তোমার দুধে আলতা গায়ের রঙে তুমি নেই।
আমার গ্লাসে যে মিষ্টি জল-সেখানে তুমি নেই
আমার...
পৃথিবীর সব আগাছায় ছিটকে আসে নক্ষত্রের ক্রোধ
ঘোড়া দিঘির কালো জলে পাক খায় কাক
গোলাপের ভালোবাসা শূন্য ডালে কাঁদে
হরিণ শাবকেরা না খেয়ে ঘুমায় অসীম আকাশে।
তেলাপোকা নারিকেল তেলে ডুবে মিশে যায়...
যে কথা বুকে আনে বেদনার ঢেউ
যে কথা মন দিয়ে শোনে না কেউ
যে কথা একা ঝরে ঝড়ের রাতে
যে কথা লেখা নেই পূর্ণিমার চাঁদে
যে কথা কেউতো বলে না...
বিষম পথ শরতের মত হাসে।
নদী ও রোদে ভাঙনের বেগ আসে।
আস্তিনে আতরের ঘ্রাণ, স্বাতি নক্ষত্রের বীজ।
পলি মাটি নাচে অন্ধকারে,
অলিতে গলিতে ধোঁয়ার উৎসব।
বিধুর বাঁশি জ্বালিয়ে দেয় নীল গ্রহের দ্রোহ।
সন্ধ্যার পাখি ঘামে লজ্জায়...
তোমার উপর যে বা যারা ক্রাশ খায় বিরতিহীন
তাদের আত্মায় বসবাসকারী স্রষ্টার শপথ করছি
তুমি সুন্দরের নিটোল মূর্তি, হৃদয়ের ব্যথার ওষুধ।
তোমার শরীরের মানচিত্রে প্রবাহিত রক্ত-নদী পথে
যেসব জলদস্যুরা আক্রমণ করে দিনে কিংবা...
©somewhere in net ltd.