নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
চৌদ্দ
অমল আর আশালতার সম্পর্ক মেনে না নিয়ে জগদীশ দাস আশালতার জন্য অন্যত্র পাত্র খুঁজতে শুরু করলে উভয় সংকটে পড়ে আশালতা। জগদীশ গোঁয়ার ধরনের মানুষ, পরিবারের কারো কথাই তিনি তোয়াক্কা করেন...
তেরো
‘তুই এট্টু বসে জিরে, আমি মাটি খুঁড়ি।’ বিলাসের উদ্দেশে বলে উঠে দাঁড়ায় অমল।
বিলাস কোমরের গামছা খুলে মুখ এবং শরীরের ঘাম মুছতে মুছতে ঘাসের ওপর বসে পড়ে, অমল কোদাল...
বারো
কোদাল কোপাতে কোপাতে হাঁফিয়ে ওঠে বিলাস, ঘামে ভিজে যায় ওর মাথার চুল-সারা শরীর, মাথার ঘাম কপাল বেয়ে নেমে আসে নাকের ডগায় আর ফোঁটা ফোঁটা ঘাম ঝরে পড়ে মাটিতে। অমল শোয়া...
এগারো
জামালপুর শ্মশানের বয়স কত, কে বা কারা কবে প্রতিষ্ঠা করেছিল, সেই ইতিহাস আজ আর এই অঞ্চলের কেউই যথাযথভাবে বলতে পারবে না; বহুকাল আগে থেকেই এই অঞ্চলের, অর্থাৎ আশপাশের অনেকগুলো গ্রামের...
দশ
মেহগনি বাগান থেকে বেরিয়ে রুক্ষ মাটির ডেলার জমিটুকু পেরিয়ে নিচু ভূমির ধানক্ষেতের ভেতরের আলপথ ধরে ওরা তিনজন যখন শ্মশানের সীমানায় পা রাখে তখন চন্দনা নদীর ওপাড়ের গাছপালার মাথার দিকে ঝুঁকে...
আট
ওরা তিনজনই নেশায় বুঁদ হয়ে কথা বলতে থাকে। পরিমল বলে, ‘শালার বুড়ো মানুষ না জোয়ান মানুষ মরছে কিডা জানে! বুড়ো হলি তো তাড়াতাড়ি পুড়ত।
বিলাস বলে, ‘সুজনের বাবার মড়া...
সাত
রাস্তার ধারে মাত্র কয়েকটা বাড়ি, বাড়িগুলো পিছনে ফেলে রাস্তা থেকে নেমে ওরা মাঠের ভেতর দিয়ে হেঁটে শ্মশানের দিকে এগোতে থাকে, এখান থেকে ওরা জ্বলন্ত চিতা স্পষ্ট দেখতে পায়, দাউ দাউ...
ছয়
বেশ কিছুক্ষণ দৌড়নোর পর পাকা রাস্তার কাছাকাছি এসে আবার হাঁটতে থাকে ওরা তিনজন, ওদের ডানদিকে গাছপালা-ঝোপঝাড়ের পরেই চন্দনা নদী, বামদিকে রাস্তার পাশে যাদবপুর কালী মন্দির, মন্দির চত্ত্বরে বিশাল অশ্বত্থগাছ। পাকা...
বন্ধুর মুখে সব শুনে ব্যথিত হন তেজরাজ, কিন্তু এত সহজে দমে যাবার পাত্র তিনি নন, আখড়ায় আসা তিনি বন্ধ করেন না, বরং একদিন সাহস করে সরাসরি কথা বলেন দেবী বৈষ্ণবীর...
পাঁচ
রাস্তার দু-পাশে বড় বড় গাছ আর কিছু দূর পর পর গৃহস্থবাড়ি, অন্ধকারে ওরা তিনজন দ্রুত পা চালায়। স’মিলের শ্রমিক সাধনের বাড়ির পিছন দিয়ে যাবার সময় ওদের কানে ভেসে আসে নারী...
সোনার বালাজোড়া খুঁজে না পেয়ে একসময় রণে ভঙ্গ দেন যতীন ডুবুরি, আর তার অভিজ্ঞতা থেকে এই সিদ্ধান্ত দেন যে বালাজোড়া নদীতে পড়েনি, নদীতে পড়লে তিনি পেতেনই।
অভিজ্ঞ যতীন ডুবুরির এই...
চার
অতুলদের বাড়ি অতিক্রম করে কিছুদূর এগিয়ে ওরা তিনজন ডানদিকের একটা সরু পথ ধরে, পথের ডান দিকে একটা পুরোনো পোড়ো বাড়ি, লোকে বলে জর্জবাড়ি, বাড়িটার দেয়ালের নানা জায়গা থেকে ইট খসে...
ওরা তিনজন যখন রাস্তার পাশের পুরোনো দিনের ওয়াল করা ঘরটার খুব কাছে এসে পড়ে তখন অতুলের একদা চর্চিত সুরেলা গলার গান থেমে যায়, আর যাত্রার সংলাপ বলার ঢঙে আবেগঘন কণ্ঠে...
তিন
বাঁশঝাড়ের নিচ দিয়ে যাবার সময় ওরা তিনজন প্রায় কেউ কারো শরীর দেখতে পায় না, এমন জমাট অন্ধকার! ইট বিছানো রাস্তার দু-পাশের কয়েক একর জমি জুড়ে বাঁশঝাড়, দু-পাশের ঝাড়ের বাঁশ রাস্তার...
দুই
মাঠের শেষ প্রান্তের আলপথ ছেড়ে ওরা একটা পুকুরের পাড়ে উঠে পূর্বদিকে এগোয়, পরিমল অতিক্রম করে গেলেও কড়ইগাছের তলায় বাঁশের চটার বেড়া দিয়ে ঘেরা একটা কবরের পাশে দাঁড়িয়ে পড়ে অমল। অমলের...
©somewhere in net ltd.