নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
বারো
মুনিকুমার ঋষ্যশৃঙ্গকে বিভ্রান্ত-মোহাবিষ্ট করার পর কৌশিকী পারের এক জন্মনের ঘাটে একনাগাড়ে তিনদিন অতিবাহিত করে গতকাল সন্ধ্যায় গণিকাদের তরণী নোঙর করেছে ত্রিযোজনব্যাপী পর্বতের সবচেয়ে নিকটবর্তী স্থানে। জন্মনের অস্থায়ী হাট থেকে প্রয়োজনীয়...
এগারো
মহর্ষি বিভাণ্ডক একা একা দিকভ্রান্তের ন্যায় অরণ্যে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, গত দু-দিনও তিনি এমনিভাবে হেঁটে অরণ্য চষে বেড়িয়েছেন সেই নারীর খোঁজে যে তাঁর একমাত্র পুত্রকে পথভ্রষ্ট করতে আশ্রমে...
দশ
ভোরবেলায় স্বপ্ন দেখে যখন শবরীর ঘুম ভাঙলো তখন কৌশিকীর বক্ষ থেকে অন্ধকার মুছে গেছে, অরণ্যে পাখিরা কিচির-মিচির করছে, পাশে উমা তখনো ঘুমোচ্ছে। শবরী শয্যায় উঠে বসে বাতায়নের বাইরে তাকিয়ে ভাবতে...
নয়
তরণী এখন গঙ্গা আর কৌশিকী নদীর মোহনায়; উত্তরদিক থেকে কৌশিকী এসে মিশেছে গঙ্গায়, আর গঙ্গা এখান থেকে এঁকে-বেঁকে পূর্বদিকের ভাটির রাজ্য বঙ্গের মধ্য দিয়ে গিয়ে লীন হয়েছে সমুদ্রে। রঘু তরণী...
আট
শ্যাম নিষাদপুত্র, চম্পানগরী থেকে দুই ক্রোশ পূর্বে গঙ্গাপারের এক নিষাদ জন্মনে তার নিবাস, অন্য দাঁড়িদেরও তাই। এখানে আসবার পথে তারা দূর থেকে নিজেদের জন্মন্ দেখে চোখের শান্তি পেলেও ক্ষণকালের জন্য...
সাত
বাতায়নের ধারে বসে গঙ্গার বুকে জেগে ওঠা ধূসর বালুচরের ওপর দিয়ে দূরের জন্মনের দিকে তাকিয়ে আছে শবরী। ঐসব জন্মনে কারা থাকে? তারা দেখতে কেমন? কেমন তাদের জীবনযাপন? নানান রকম কৌতুহলী...
ছয়
পূর্ব-দিগন্ত রক্তিমরূপ ধারণ করেছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো দিগন্তের বৃক্ষরাজির আড়াল থেকে উঁকি দেবে সূর্য। চম্পানগরীর বৃক্ষতল কিংবা গৃহের আড়াল-আবডালের আবছায়া আঁধার ক্রমশ উবে যাচ্ছে। কোনো কোনো গৃহ থেকে ভেসে আসছে...
পাঁচ
অপরাহ্নে রাজকুমারী শান্তা যখন শুনলো যে রাজ্যের খরা নিবারণের নিমিত্তে ইন্দ্রদেবকে সন্তুষ্ট করে বৃষ্টি কামনায় শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী রাজপুরোহিতের পরামর্শে একদল গণিকাকে পাঠানো হচ্ছে এক বনবাসী মুনিকুমারকে হরণ করে নিয়ে...
চার
পুরোনো কালের ত্রিমুখী একতলা প্রাসাদ, প্রাসাদের সামনের তিনদিকেই অলিন্দসদৃশ বাঁধানো বেদি, উপরে কোনো ছাউনি নেই, বেদিতে উঠার জন্য বেদির দু-পাশে দুটো সিঁড়ি। যে-কোনো কক্ষ থেকে বেরিয়ে বেদি পেরিয়ে আঙিনায়...
তিন
রাজ্যে অনাবৃষ্টি, অনাবাদ আর দুর্ভিক্ষের এই কালবেলায় আজকাল রাজা লোমপাদের দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত অতিবাহিত হচ্ছে। তিনি স্নানাহার করছেন, স্ত্রী-সঙ্গম করছেন, রাজসভায় যাচ্ছেন; কিন্তু কিছুতেই সুখ খুঁজে পাচ্ছেন...
দুই
অঙ্গরাজ্যের এই বিপর্যয়ের মধ্যেও ঐতিহ্য মেনে এবারও চম্পানগরীতে হচ্ছে সমন উৎসব। নগরীর পূর্বদিকে গঙ্গাপাড়ের বিশাল উন্মুক্ত মাঠে প্রতিবছরই সমন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সারা অঙ্গরাজ্য থেকে সুদক্ষ শস্ত্রজীবী, অশ্বারোহী, ক্রীড়াবিদ, রথী,...
‘নাগরী’ উপন্যাসের আখ্যান মৌলিক নয়, পৌরাণিক ঋষ্যশৃঙ্গ’র আখ্যান অবলম্বনে রচিত। মৌলিক আখ্যানকে ভিত্তি করে রচিত হলেও আখ্যান বিন্যাসে এসেছে বিস্তর পরিবর্তন। ‘নাগরী’র মধ্যে মূল আখ্যানের প্রচলিত ধর্মীয় ও অলৌকিক ঘটনা...
তেরো
প্রাণ প্রাচুর্যে শোভিত সত্যিকারের ছায়াময়-মায়াময় পাহাড়-অরণ্য ছেড়ে পাঁচদিন পর সকালবেলায় পা রাখি ধাতু-কংক্রিটের নিষ্ঠুর জঙ্গল ঢাকা শহরে! সূর্য উঠেছে কি ওঠেনি, তা বোঝার উপায় আছে এই শহরে? তবে চারদিক...
বারো
ঘুম ভাঙে নরখেলেই্মদার ডাকে। চোখ মেলে দেখি খোলা জানালা দিয়ে হুড়মুড়িয়ে ঢুকছে মেঘ! ওরা তিনজন এখনো ঘুমাচ্ছে। আমি গায়ের কম্বল সরিয়ে উঠে দরজা খুলতেই নরখেলেই্মদা বলে, ‘দাদা রেডি হন,...
কিছুক্ষণ পর চায়ের বিল মিটিয়ে আমরাও উঠে নিচের দিকে পা বাড়াই। নরখেলেই্মদা আমাদের থাকার জায়গা ঠিক করে একটা কাঠের দোতলায়, আর খাওয়ার ব্যবস্থা অন্য এক জায়গায়। সে আমাদের ব্যাগ দুটো...
©somewhere in net ltd.