নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
পেন্ডুলাম পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হবে নৃপতি বেণ এবং তাঁর সময়কাল নিয়ে লেখা উপন্যাস- দেবদ্রোহ। আগামী শুক্রবার কিংবা তার আগেই অমর একুশে বইমেলায় চলে আসবে।
প্রচ্ছদশিল্পী: মিথুন রশীদ
পেন্ডুলাম পাবলিশার্স
স্টল: ৫৪২-৫৪৩
একদিন বিজ্ঞান ক্লাসে স্যার বললেন-
‘তোমরা যে প্রায়ই রাতেরবেলা আকাশ থেকে আলো ঝরে পড়তে দ্যাখো
লোকে যাকে তারা খসে পড়া বলে, আসলে তা উল্কাপিণ্ড।
উল্কাপিণ্ড হচ্ছে গ্রহাণু কিংবা ধুমকেতুর অংশ, যা মহাকাশে পরিভ্রমণ...
যেন বহু শতাব্দী একে অন্যের হাতের উষ্ণতা
আর শরীরের ঘ্রাণ নিতে নিতে পথ চলেছি দুজন,
কুরুক্ষেত্রে তুমি ছিলে কুরু সৈন্যদের মনোরঞ্জনে নিয়োজিত নৃত্যশিল্পী
আর আমি অন্ধ মৃদঙ্গবাদক।
কলিঙ্গযুদ্ধে সম্রাট অশোকের ক্রুরতায় ব্যথিত হয়ে
পরিব্রাজকের...
গোধূলির পরের অন্ধকারে
ধু ধু মাঠে, সরু নদীর কিনারে,
ঝাঁক ঝাঁক মশার হুল
আর একটা শিয়ালের লোলুপ দৃষ্টি উপক্ষো করে
যে যুগল ঠোঁটে ঠোঁট রেখে-
পার করে দিতে চায় সপ্ত সপ্তর্ষিকাল।
রক্ষণশীল রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী আইন...
সাক্ষী থাকে কাঁশবন
সাক্ষী থাকে ছোট নদী
শুকনো পাতায় আঁকে বটগাছ
তোমার-আমার প্রেমের কোলাজ!
ঢাকা।
০৬.০২.২০২৩
সামনের চারটে দাঁত ভাঙা, ভাঙা চোয়াল, ধুলোমলিন চুল
অত্যাধিক নেশায় ধূসর ঠোঁটের কোনায় ঘা,
ময়লা-দূর্গন্ধযুক্ত শরীরের ধর্ষক মজনু-
কোনো নারীকে আদর করলেও অশ্লীল লাগে!
তেমনই অশ্লীল লাগে রাজনীতিকের হাতে
বছর বছর...
বিলের ধারের ফসলের জন্য ক্ষতিকর পোকামাকড় খাবো ব’লে
আমি যখন ডাহুক পাখি হই,
তখন লক্ষ্মীকান্ত কবিরাজ আলপথে ফাঁদ পেতে রাখে
আমার শরীর পিষে বাতের রোগীর মালিশের তেল বানাবে ব’লে!
চৈত্রের দুপুরে ক্লান্ত পথিককে...
বত্রিশ
কেশিনীর মামাতো ভ্রাতা সুনদের বিবাহ-উৎসবে যোগ দিতে বেণ, কেশিনী, মতঙ্গ আর পৃথু চারজন চারটে অশ্বে আরোহণ করে যাত্রা করে নিষাদপল্লীর উদ্দেশ্যে। বরাবরের মতো এবারও সুনীথা এবং হংসপাদাকে যেতে অনুরোধ করেন...
একত্রিশ
রাত্রে সভাগৃহে বহির্ষ্মতীর বীর যোদ্ধা ও ঘনিষ্ঠ সখাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নৃপতি বেণ খুঁটিতে হেলান দিয়ে জলভরা উদাসীন চোখে বলেন, ‘সঞ্জয়।’
হাত...
ত্রিশ
বেণ নৃপতি হবার পর ব্রহ্মাবর্তের আর্যরা একবার মাত্র অনার্যদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে, তাও দেবপতি ইন্দ্রের নির্দেশে, বানরদের সঙ্গে। আর বেণ স্বাধীনতা ঘোষণার পরে অনার্যদের সঙ্গে কোনো যুদ্ধ হয়নি,...
উনত্রিশ
বসন্ত-পূর্ণিমার দিন বর্ণিল পুষ্পসজ্জায় দেবায়ণীর আশ্রম যেন হয়ে ওঠে পুষ্পকুঞ্জ! নানা ধরনের, নানা বর্ণের পুষ্প দিয়ে আশ্রম সজ্জিত করে কন্যারা, তাদেরকে সহযোগিতা করে অদূরের কিরাতপল্লীর কিরাতরা। বৃন্দা কিরাত সর্দার খিমবুঙকে...
আটাশ
ডানায় গাঢ় নীল রঙের মাঝে সাদার ছিটা দেওয়া বেশ বড় আকৃতির দুটো প্রজাপতি শুন্যে উড়তে উড়তে কখনো একটি আরেকটির কাছে আসে আবার কখনো দূরে সরে যায়, একটি উড়ে গিয়ে লতা...
সাতাশ
নৃপতি বেণের শান্তি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার পর ব্রহ্মাবর্তের অনার্যদের জীবনে স্বস্তি আসে, আর তাঁর স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকে গত কয়েক বৎসর অনার্যদের জীবনে অপার সুখের সুবাতাস বইছে, এমন শান্তিময় নিশ্চিন্ত...
ছাব্বিশ
অপরাহ্ণে ঝরনার কাছে পাথরের ওপর উপবেশন করে উদাসীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঋষি দেবায়ণীর হৃদ চরাচরে হাহাকার জাগানিয়া বাতাস বয়ে যায় আর সে-চরাচরের কোথাও এতটুকু রঙের ছিটেফোঁটাও যেন অবশিষ্ট নেই;...
পঁচিশ
দুজন নতুন মানুষের আগমনে বাটী পূর্বের চেয়ে অধিক কোলাহলপূর্ণ হবার পরিবর্তে আরো অধিক শান্ত হয়ে ওঠে অঙ্গ নিরুদ্দেশ হওয়ায়। অঙ্গ কোথায় আছেন তা কেউ জানে না, বাটীর কাউকে কিছু বলেও...
©somewhere in net ltd.