নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
শেষ পর্ব
নিত্যদিনের মতোই সূর্য উঠেছে অগ্নিচক্ষু মেলে, বিছিয়েছে রৌদ্রজাল, তবে উত্তাপ এখনো বাড়ে নি। পান্থশালার চাতালের পূর্বপাশের বকুলবৃক্ষটি মাতৃস্নেহের মতো ছায়া দিয়ে রেখেছে শ্যাম আর সুকেতুকে। ঘুম ভেঙে গেল শ্যামের,...
ঊনিশ
নিত্যদিনের মতোই শুকতারা ডুবে গেছে, ভোরের আলোয় উবে যাচ্ছে অন্ধকার, বকুলবৃক্ষে কয়েকটি পাখি কলকাকলি করছে, শবরী গৃহের ছাদে মাদুরের ওপর শুয়ে আছে অনন্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে। সারারাত্রি একটুও ঘুমোয় নি...
আঠারো
বিবাহের পর মুনিকুমার ঋষ্যশৃঙ্গ এবং রাজকুমারী শান্তা তিনরাত্রি উপরতি বা পরিহার অনুষ্ঠান পালন করেছে। এই তিনরাত্রি তারা যৌন সংসর্গ পরিহার করে মেঝের ওপর শয়ন করেছে। আজ পুষ্পশয্যার রাত্রি, আজ তারা...
সতের
চম্পানগরী এখন উৎসবমুখর, নিভু নিভু হয়ে জ্বলতে থাকা মানুষের আশার প্রদীপটি হঠাৎ দপ করে জ্বলে উঠে ঔজ্জ্বল্য ছড়াতে শুরু করেছে গণিকারা মুনিকুমার ঋষ্যশৃঙ্গকে হরণ করে নিয়ে আসায়; একে তো মুনিকুমার...
ষোল
রৌদ্রজ্জ্বল দ্বিপ্রহরে তরণী ভেসে চলেছে চম্পানগরীর দিকে, আর মাত্র দুই ক্রোশ পথ পাড়ি দিলেই চম্পানগরী। রঘুর নির্দেশে এরই মধ্যে মাস্তুলে অঙ্গরাজ্যের ধ্বজার নিচে আরও একটি বর্ণিল ধ্বজা উড়িয়েছে সুকেতু। গণিকারা...
পনের
জন্মনের হাটের ঘাটে রঘু তরণী নোঙর করলো মধ্যাহ্নের পর পর। মধ্যাহ্নভোজনের পর দাঁড়িদের একটু বিশ্রাম প্রয়োজন, আজ যাত্রা করলে চম্পানগরীতে পৌঁছতে রাত্রি হয়ে যাবে। তাই রাত্রি এখানে অতিবাহিত করে কাল...
চৌদ্দ
এখন দিবসের প্রথম প্রহর। ঋষ্যশৃঙ্গ তুলসীতলা থেকে অনেকটা দূরত্বে নিমীলিত চোখে ধ্যান করছে, সম্মুখে প্রজ্বলিত অগ্নি। ঘৃতস্নাত চন্দন কাষ্ঠ জ্বলছে বাতাসে সুবাস ছড়িয়ে। মহর্ষি বিভাণ্ডক আশ্রমে নেই, তিনি ফল এবং...
তেরো
গণিকারা মুনিকুমার ঋষ্যশৃঙ্গকে হরণের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার সঙ্গে সঙ্গেই রাজবাড়ীতে ব্রাহ্মণদের সন্তুষ্টির জন্য যজ্ঞের আয়োজন শুরু হয়েছিল। রাজবাড়ীর কর্মচারীবৃন্দ রাজ্যের দিকে দিকে তরণী এবং রথারোহণে ছুটে গিয়েছিলেন ব্রাহ্মণদেরকে নিমন্ত্রণপূর্বক...
বারো
মুনিকুমার ঋষ্যশৃঙ্গকে বিভ্রান্ত-মোহাবিষ্ট করার পর কৌশিকী পারের এক জন্মনের ঘাটে একনাগাড়ে তিনদিন অতিবাহিত করে গতকাল সন্ধ্যায় গণিকাদের তরণী নোঙর করেছে ত্রিযোজনব্যাপী পর্বতের সবচেয়ে নিকটবর্তী স্থানে। জন্মনের অস্থায়ী হাট থেকে প্রয়োজনীয়...
এগারো
মহর্ষি বিভাণ্ডক একা একা দিকভ্রান্তের ন্যায় অরণ্যে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, গত দু-দিনও তিনি এমনিভাবে হেঁটে অরণ্য চষে বেড়িয়েছেন সেই নারীর খোঁজে যে তাঁর একমাত্র পুত্রকে পথভ্রষ্ট করতে আশ্রমে...
দশ
ভোরবেলায় স্বপ্ন দেখে যখন শবরীর ঘুম ভাঙলো তখন কৌশিকীর বক্ষ থেকে অন্ধকার মুছে গেছে, অরণ্যে পাখিরা কিচির-মিচির করছে, পাশে উমা তখনো ঘুমোচ্ছে। শবরী শয্যায় উঠে বসে বাতায়নের বাইরে তাকিয়ে ভাবতে...
নয়
তরণী এখন গঙ্গা আর কৌশিকী নদীর মোহনায়; উত্তরদিক থেকে কৌশিকী এসে মিশেছে গঙ্গায়, আর গঙ্গা এখান থেকে এঁকে-বেঁকে পূর্বদিকের ভাটির রাজ্য বঙ্গের মধ্য দিয়ে গিয়ে লীন হয়েছে সমুদ্রে। রঘু তরণী...
আট
শ্যাম নিষাদপুত্র, চম্পানগরী থেকে দুই ক্রোশ পূর্বে গঙ্গাপারের এক নিষাদ জন্মনে তার নিবাস, অন্য দাঁড়িদেরও তাই। এখানে আসবার পথে তারা দূর থেকে নিজেদের জন্মন্ দেখে চোখের শান্তি পেলেও ক্ষণকালের জন্য...
সাত
বাতায়নের ধারে বসে গঙ্গার বুকে জেগে ওঠা ধূসর বালুচরের ওপর দিয়ে দূরের জন্মনের দিকে তাকিয়ে আছে শবরী। ঐসব জন্মনে কারা থাকে? তারা দেখতে কেমন? কেমন তাদের জীবনযাপন? নানান রকম কৌতুহলী...
ছয়
পূর্ব-দিগন্ত রক্তিমরূপ ধারণ করেছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো দিগন্তের বৃক্ষরাজির আড়াল থেকে উঁকি দেবে সূর্য। চম্পানগরীর বৃক্ষতল কিংবা গৃহের আড়াল-আবডালের আবছায়া আঁধার ক্রমশ উবে যাচ্ছে। কোনো কোনো গৃহ থেকে ভেসে আসছে...
©somewhere in net ltd.