নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন পরীক্ষার্থী...
সমুদ্রের সঙ্গে রয়েছে আড়ি
হৃদয়ে বেড়েছে জল
আঁড়ালে ভেসেছে বুক
খবর রেখেছে শুধু টুকরো নীল
নিঃসঙ্গতা নিষ্পাপ
উদারতা সঙ্গীহীন।
জমানো সুখে আগুন লেগেছে
পুড়েছে দুঃখগুলো
আমার নেই কিছু
না সুখ, না দুঃখ!
শুকনো মুখে চেয়ে থাকি...
সমুদ্রে যেমন জলের অভাব দেখা দেয় না তেমনি ব্লগেরও কখনো কবির অভাব হয় না। তবে এটা সত্য যে সতেরো কোটি মানুষের দেশে আধা কোটি কবি নেহাত কমই! এসব...
হয়তো আমি সূর্যহীন দিনের প্রভাত
হয়তো আমি বোবা বিহঙের কন্ঠস্বর
হয়তো আমি পাতাহীন বৃক্ষের শিকড়
হয়তো আমি উচ্চতাহীন পাহাড়ের শৃঙ্গ
হয়তো আমি ঢেউহীন জলধির কিনার
হয়তো আম বালুহীন মরুদ্যানের ঝড়
হয়তো আমি সুখী বালকের লুকানো...
অভ্যস্ত রাত জেগে থাকে অস্থির
ফিরে আসে বক্ষের জমানো কথারা
ভিড় ঠেলে ভিড়ে... চারপাশজুড়ে
যেন কথাদের শেষ নেই!
নৃত্যগীতে, ফিসফিস সুরে
রিনিঝিনি বৃষ্টির মত ওরা ঘিরে থাকে!
নিউরনে উড়ে বেড়ায় বাজপাখি
যেন পালকে লেগেছে আগুন
হৃদয় নেই ঘরে......
ঊষার দুয়ারে জ্যোৎস্না এলে
কেটে যায় মগ্ন রাত
সে গাঙচিল
উড়ে যায় সামুদ্রিক নেশায়।
শপথ রাখার দিন শেষে
ফিরে আসে শুষ্ক প্রভাত...
বিলুপ্ত রাত্রি, বিলুপ্ত সে!
মুঠোয় ভরা নোনা জল
ঝরে পড়া মুহূর্তগুলো
দূর্গম ঘোলাটে ঠিকানায়....
ডাকে সে, এসো ফেলে...
প্রণয় তোমার দীর্ঘ হলো
অনুভবে কেটেছে প্রহর
আকাশ দিয়েছে মেঘ
রাত্রি দিলো আঁধার
সে দিয়েছে এক বুক নিঃশ্বাস...
ঠিকানাহীন একগুচ্ছ চিঠি
পথিক হাঁটে থলেভর্তি কাঁধে
দৃষ্টিভরা তার মরুভূমি
শুকনো চোখে তীব্র সমুদ্র....
জানালায় উড়ে ফুলভর্তি ওড়না
দেয়াল ঘেঁষে উঠছে প্রহর
তোমার...
আঁধার কেটে তুমি
নিয়মতান্ত্রিক কঠোরতায়
আগলে রাখা তোমায়
ছায়ামেঘে উড়ে যায় সন্ধ্যা
উচ্ছৃঙ্খল সময় যাপন
ভেবে তুমি আপন
ঘিরে থাকা আঙুল ।
চোখের সীমানা পেরিয়ে দীর্ঘ তুমি
ভারাক্রান্ত নিঃশ্বাস তোমায় ছুতে চাইলে
যেন হোঁচট খেয়ে সরে পড়ো তুমি
গড়পড়তায়...
রাত্রির সাথে বসে আছি আমি, রাত্রিও বসে আছে আমার সাথে! একটি অবস্থান- সামনে সমুদ্র, পেঁছনে শৃঙ্গ, ডানে জঙ্গল, বামে মরুভূমি, উপরে আকাশ, নিচে মৃত্তিকা একই বর্তিকায় আবদ্ধ । চারপাশে...
দুঃখগুলো হারিয়ে যাচ্ছে,
হতাশাগুলো মিলিয়ে যাচ্ছে
দীর্ঘঃশ্বাসগুলো পুড়ে যাচ্ছে
দুঃস্বপ্নগুলো গুটিয়ে নিয়েছে নিজেকে
অপ্রাপ্তিগুলো পড়ছে না মনে
আফসোসগুলো বুক ছিঁড়ছে না
বিষণ্ণতাগুলোর খোঁজ মিলছে না
ব্যার্থতাগুলো পীড়া দিচ্ছে না
একাকীত্বের প্রহরগুলো ছেড়ে গেছে কবে!
অস্থিরতাগুলো নিজেদের গুছিয়ে...
হৃদয়ের সন্নিকটে বসত করে আকাঙ্ক্ষা
চক্ষে ভাসে ডুবুডুবু স্বপ্নতরী
হৃদয় দেখে একটি ভাবলেশহীন সমুদ্র...
ঘূর্ণায়মান জলরাশি
লেপটে থাকা ফেনা
কূলহারা গাংচিল
নিঃশ্বাসে সুবাতাস
একটি নীল আকাশ
অদৃশ্য এক পথ
চেয়ে থাকা পথিক...
বুক ধুরুধুরু, ভ্রূ কুঁচকানো ।
দূর্গম শাদা খাম...
ছিঁড়ে...
কবিতা লেখার মত যথেষ্ট পরিণত হাত আমার নেই, মস্তিষ্কও নেই । বিপরীত অর্থে, কবিতা না লিখলে ভাতে মরার ব্যাপারও নেই, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি রুখে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটে না...
বৈশাখ যখন দরজার কপাট কাঁপিয়ে ভারী গলায় বলে উঠে, তুমি ঝড়!
হৃদয়ে বাজে তখন ফ্যাকাসে আকাশের বজ্রপাত ধ্বনি
বৃষ্টিস্নাত রাত্রির আম ঝরা ঝুম ঝুম সুর....
ভরদুপুরে কাঁঠালি রৌদ্রের আঁটিফাটা ঘ্রাণ
বেপরোয়া বালকদের...
কীভাবে লিখলে তবে সেই গম্ভীর রাত্রির
সুনির্দিষ্ট ব্যথাগুলোকে ব্যাখ্যা করা যাবে?
রক্ত, বুলেট অথবা কলো রাত নিয়ে হয়ে গেছে শত ব্যবচ্ছেদ
অজস্র গল্প কবিতা, প্রবন্ধে জমাট বাঁধানো লাল হয়ে আছে তরতাজা!
রেখে আসা...
খোকার মুখের বুঝতে না পারা প্রথম বুলি
একটি বাংলা শব্দ
খোকা শুনে এসেছে কতকথা জন্মের পূর্বে
মাতৃগর্ভে গুটিসুটি হয়ে বসে ছিলো
তারও বেশ ইচ্ছে হয়েছিলো কিছু বলার
সেই ইচ্ছেটুকু ছিলো বাংলাভাষা।
সে কানপেতে ছিলো-
বৃদ্ধ,...
প্রিয় ফাল্গুন !
তুমি রাজ বসন্তের প্রথম গুনগুন
তোমাকে শুকোতে থাকা শিশিরের-
উষ্ণ শুভেচ্ছা এবং স্বাগতম...
এবং ভালবাসা-
সদ্য নেমে আসা নরম রৌদ্রের
যৌবন ফিরে পাওয়া বৃক্ষের
দখিনা হাওয়ার উন্মাতাল নৃত্যের
পাখপাখালির রিনিঝিনি সুরের
সাতরঙা সতেজ ফুলের...
তোমার...
©somewhere in net ltd.