নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন পরীক্ষার্থী...
আমার এই বক্ষজ্বলা রাত্রিতে নীরবে বয়ে চলে বিস্বাদের মৃত্যু, শুধু সংগোপনে রয়ে যায় হৃদয়ের চিরজীবী দীর্ঘশ্বাসগুলো । অজস্র তারকাপুঞ্জ পেরিয়ে আকাশ, বাতাস, পর্বত, মৃত্তিকা পুড়ে পুড়ে যে শীতল জল...
রাত্রিত্ব মুছে গেলে দিন আসে না, শূন্যতা আসে । শূন্যতাকে দেখা যায় না, শুধু অনুভব করা যায়, ঠিক আত্মার মত । আত্মাও একটা বিশাল শূন্যতা । এটা দেহের বাইরে...
প্রথমত, আমি আমার বিষণ্ণতার সময়গুলো কাটাচ্ছি একাকি । শুধু রাত্রি জানে তার নিরপরাধ বুকে কতশত ক্ষত ! কেউ একজন কিংবা ওরা ছিলো হৃদয়ের কার্ণিশে ঝুলে থাকা সুখ নিদ্রাকে ভেঙ্গে...
মা বলে, খোকা যুদ্ধে যা, অস্ত্র ধর
খোকা বলে, আমি যদি না ফিরি মা?
মা অশ্রুসিক্ত নয়নে বলে, আমি ভেবে নেবো তুই স্বাধীনতা
খোকা বলে, তোমার কথা মনে পড়লে?
মা খোকার মাথায় হাত...
সাড়ে পাঁচজন লেখক গেল দাওয়াত খেতে এক ভক্তের নিমন্ত্রণে তার বাড়িতে। সাড়ে পাঁচজন বললাম কারণ তাদের মধ্যে একজন এখনো পুরোপুরি লেখক হয়ে উঠে নি। টুকটাক ছড়া, কবিতা লিখছে। বিবিধ...
এ যেন নিশীথ পূর্ণিমায় জন্ম নেয়া কোন ফুল !
নিষ্পাপ চোখে ছড়ায় অচেনা খুশবু
গুটি গুটি পায়ে পুরুষের রঙ ঝরে পড়ে
মৃত্তিকার ছাপে লেগে থাকে নিশ্ছিদ্র স্থিরতা
জন্মের সংবাদে ঘোষিত হয়-
নিকটে উদ্দেশ্য...
সময়ের সংকীর্ণতায় ক্ষণিকের সন্ধ্যা
আষ্টেপৃষ্ঠে ঠিক যেন- আঁকাবাঁকা নদীর মত...
দ্বিধান্বিত নিঃশ্বাসে নিজেকে রাখে লুকিয়ে
স্নিগ্ধ ভোর নিদ্রাহীন ফুটে থাকে আঁখিতে তার
ওষ্ঠ-অধরে যেন বন গোলাপের অতৃপ্ত শিহরণ ।
আঁড়ালে পুষে রাখে খরস্রোতা...
ভাবছি অনেকদিন ধরে, অনেকদিন... একটা গল্প লিখবো । কবিতায় আর হৃদয় ভরছে না। তাই বিয়োগাত্বকভাবে ভেবে চলেছি... যাবতীয় আনকোরা কাব্যিক ঘ্রাণমাখা শব্দ বের করে দেয়ার একটি অ-পাহারাদার সুযোগ খুঁজছি...
আমি কী হারিয়ে যাচ্ছি ? দিনের পর দিন বাড়ছে দেহ ভস্মের ঘ্রাণ। বৃষ্টির জলে আঁকাবাঁকা পথে ভেসে যায় সদ্য ঝরে পড়া ফুল। আমি তার পথ ধরে মিশে যাই জলস্রোতে...
একজন লেখকের সম্পদ কী ? এমন প্রশ্ন যদি কোন লেখককে করা হয়, তিনি হয়তো বলবেন \'আমার লেখাগুলো\' । তবে আমার কাছে মনে হয় একজন লেখকের সম্পদ হচ্ছে তাঁর লেখার...
এই ব্লগ নিয়ে আমার কিছু ভাবনা আছে । ভাবনাগুলো হয়তোবা এলোমেলো, হয়তোবা আবেগীয় । এই ব্যাপারগুলোতে আমি নিশ্চিত নই । মাঝে মাঝে মনে হয় লিখি, মাঝে মাঝে মনে হয়...
ফুলগুলো ঝরে গেল- বেশি তো হয়নি ফুটেছিল !
ক্ষণজন্মা এই ফুলের যেন পাপড়ি ছিল না
কিন্তু অফুরান নেশামাখা ঘ্রাণ ছিল-
এখনো খুব খেয়ালে পঞ্চেন্দ্রিয়ের শ্রম ।
এতো কীসের প্রেম হয়েছে এদের নেশায় ?
যেন...
অতঃপর কোন এক নিমগ্ন অরণ্যে জেগে উঠলে কিছু জোনাক জড়িয়ে আঁধার সাজলো না পাওয়া অজানা অনুভবের সুখে । সাজিয়ে বৃক্ষরাজি বললো, সুস্বাগতম ! তারা কপোত-কপোতি রূপে নৃত্য করলে অবাক...
সেই দুর্গম পাহাড় । থোকা-থোকা ক্ষত নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা । নীরব রাত্রি । পিনকি জল গড়িয়ে পড়া । সে গুমোট শব্দ ! নিস্তব্ধ প্রাচীন । নীরব সুর । নিত্য...
অথচ দেখো, কী আশ্চর্য !
ওদেরকে কাছে পাওয়ার জন্য কত ব্যাকুল আমি,
চারপাশে ঘুরি নির্লজ্জ- একটু স্পর্শ, একটু উষ্ণ নিঃশ্বাস...
অথচ, কেউ যেন দেখতে চায় না আমাকে,
ছুঁতে চায় না আমাকে, জড়িয়ে নেয়...
©somewhere in net ltd.