![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনের বাগিচা পায়ে দলে হালের অবার্চীন, মুখোশের অন্তরালে তারা মরুয়তে দীন
পরদিন খুব সকালেই চাচাতো ভাই আরিফ এবং রুমমেট আবুলকে নিয়ে নার্সের বাড়িতে উপস্থিত হলো রুদ্র। সুন্দরি নার্সের নাম তাহমিনা। এক ছেলের জননি। ছেলের বয়স চার বছর। স্বামি বাড়িতে নেই, সকালে...
চন্দ্রকে কিডন্যাপের কথা বাড়ির মেয়েরাও জেনে গেছে। তাদের শোক আরো ভারি হয়ে উঠেছে। কমবেশি সবাই শারিরিক এবং মানুষিকভাবে ভিষন দুর্বল হয়ে পড়েছে। তারপরেও তারা বাড়ির পুরুষদের জন্য রান্না করছেন, জোর...
পাথুরে মেঝেতে নেমে এলো রুদ্র। সিড়ি যেখানে শেষ হয়েছে সেটা ছোট খাটো একটা রুমের সমান। তবে চতুর্ভুজ নয়, পুরোপুরি গোলাকার। দেয়ালে লাইটের আলো ফেললো ও। গোলাকার দেয়ালটা পাথরের তৈরি। পুরো...
জঙ্গলের কালি মন্দির। গুপ্ত গুহায় ঢুকবে আজ রুদ্র। সাথে আছে ওর রুম মেট আবুল।
দুপুরের খাবারের পরে জঙ্গলে আসার আগে কয়েক জনকে কিছু দায়িত্ব ভাগ করে দেয় রুদ্র। মামাতো ভাই আরশাদকে...
মেলা কমিটির সভাপতি রাজেন্দ্র ঠাকুরের বাড়ি মেলা থেকে একটু দুরে। চুনসুরকির পুরনো দোতালা বাড়ি। বাড়ির উঠোনে শান বাধানো একটি তুলশি গাছ। মেলার জায়গাটা ওনাদেরই। মেলার মন্দিরটাও ওনাদের তত্বাবধানে। এই এলাকার...
ঠাকুর পাড়া মাঠের মাঝে বিশাল একটি বট গাছ, শত বছরের পুরনো। বট গাছটির অনেক ঝুরিও বড় কান্ডে পরিনত হয়েছে। মেলার সময় বট গাছের চতুর্দিকে বিভিন্ন দোকান বসে। আর মাঠের দক্ষিনে...
সারা রাত ঘুমাতে পারে নি রুদ্র। চন্দ্র হারিয়ে যাওয়ায় ওর জগতটাই কেন যেন উল্টে গেছে। ঘুমাতে পারছে না, খেতে পারছে না, কোন কিছু করতেও পারছে না। নিজেকে জড় পদার্থ মনে...
চন্দ্র হারিয়ে যাওয়ার পরে এখন পর্যন্ত কারো পেটে দানাপানি পড়ে নি। ফাহিমের স্ত্রি লুবনা রাতে চুলা জালালো। আজ রাতে অন্তত সবাইকে কিছু খাওয়ানো দরকার। আবুলকে নিয়ে কাচারি ঘরে ঢুকলো রুদ্র।...
ভুমিকা
প্রচন্ড ক্ষমতাশালি বোরহান উদ্দিনের প্রান প্রিয় একমাত্র নাতনি চন্দ্র। যে বংশের প্রান প্রদিপ, পূর্নিমার জ্যোৎস্নার মতোই যার অপুর্ব চেহারা। বংশের অলিখিত নিয়ম মেনে এক দিন বাল্যকালে ফুফাতো ভাই রুদ্রের সাথে...
কত ফুল যে খুলিছে দুয়ার,
রুপের ডালা মেলেছে প্রিয়ার।
আকাশের গায়ে আতশের খেলা,
জমেছে গীতালির মেলা।
আনন্দ উল্লাসের জোয়ার
পড়ে গেল পাড়ায় পাড়ায়,
বাসর সোহাগের আলিঙ্গনে
ওগো হৃদয় জুড়ে যায়।।
প্রণয়ের পরশে হৃদয় গাঁথি,
বাসরে অপেক্ষায় চন্দ্রমুখী।
বাসর ঘরের ফুলেল...
মুর্তি সরে গিয়ে রুদ্র আর আবুলের সামনে যে গোপন পথ উন্মুক্ত হয়েছে তার দিকে চরম উত্তেজিত ভাবে তাকিয়ে থাকলো আবুল। ও এতোটাই উত্তেজিত হয়ে গেছে যে মুখ দিয়ে কোন কথা...
আবুলকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো রুদ্র। ওর উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে অনেকটা দুরের সেই জঙ্গল, যে জঙ্গলে প্রায় তিন বছর আগে চন্দ্রকে মারার ভয়ে লুকিয়ে ছিলো ও। অনেকটা মেঠো পথ হাটার পরে...
রুদ্র বাড়ি আসতেই সবাই ওকে ঘিরে ধরলো। আগে বাড়ি আসলে ওকে পেয়ে সবাই খুশিতে মেতে উঠতো। কিন্তু আজ সবাই যেন আড়ষ্ঠ হয়ে গেছে। কেউ কিছু বলছে না। পুরো বাড়ি শোকে...
বড় ভাই রুমনের কাছে চন্দ্রের হারিয়ে যাওয়ার খবরটা রুদ্রকে প্রচন্ড আঘাত দেয়। ওর সামনের পুরো পৃথিবি হঠাত করেই যেন ঝাকি দিয়ে উঠে। এমন একটা খবরের জন্য ও মোটেও প্রস্তুত ছিলো...
রুদ্রের লাটাইয়ের আঘাতে চন্দ্র যখন চিতকার করে মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় তখন সবাই ঘুড়ি ফেলে ছুটে আসে। আর রুদ্র ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। চন্দ্রকে ধরাধরি করে সবাই বাড়িতে নিয়ে...
©somewhere in net ltd.