নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামহোয়্যারইন শুরু থেকে লেখালেখি করছিলাম হঠাৎ আইডি বন্ধ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন করে আইডি খুলে লেখালেখি শুরু করলাম সবার প্রতি কৃষ্ণচূড়া শুভেচ্ছা রইল
এক করোনা এখন ক্ষমতাধর চোখে
তাসের খেলা টিংকা!
মৃত্যু এখন মশা মাছি পিপড়ার মতো
আতঙ্কের সাথে যুদ্ধ
আর রক্তাক্ত চিন্তার সাথে বসবাস
মহামারী কবিতার চমক
টিকা এখন সোনার হরিণ পুজ খেলার
সেরে সর্বনাশ করোনা;
তুমি কখন এলে কখন...
কেউ মেঘ হতে চায় বৃষ্টি
কেউ আকাশ নীলে তার-
দক্ষিণা হিমেল হাওয়া বাতাস
হৈমবতী এমন কি বনলতাসেন
অথচ আমার কোন সংজ্ঞা নেই
যেটুকু গন্ধ আছে মাটিময় মাটি;
কেউ প্রজাপতি ডানায় উড়তে চায়
ময়ূরী পেখম তুলা বাহারি রঙ-
টুনটুনি...
কলমের কালি আর চলে না
রঙ- ঢং- গন্ধ- স্বাদ নাকি নষ্ট
বর্ণকে আর সাজসজ্জা রূপে
সাজাতে পারছে না;
তবে কি দুর্বল হলো কলম?
না এমন ভাবনা ভাবছে না;
ভয় সংশয় হাত, পা, মন...
ঐ আকাশ ভাবলেই চাঁদ হাসে
বৃষ্টি ভাবলে মেঘ-
মাটি ভাবলেই ঘাসফুল দেয় দুল
যত ফড়িং যায় উড়;
দৃশ্যবিরল কি সুন্দর জানালাটার
পাশে টুনটুনি গান গায়!
ভোর দুপুর রঙিন নাটাই ঘুড়ি উড়াই
তবুও ভাবলে কোথায়
যাই হারিয়ে, খুঁজি ফিরি...
ভাবনার অজানতে দূরের চাঁদকে
এত বেশি ভালবাসতে নেই!
মাঝে মাঝে অপরাধি মনে হবে
জলের মতো ভাল না বাসলে
সে ভালবাসার কোন অর্থবহ হয় না;
ভাল লাগার মানে কিন্ত ভালবাসা নয়
আটার মতো লেগে থাকতে হয়
নিঘুম স্বপ্ন...
রসুন মরিচ মাখানো ভাতে
বুঝালে গোলাপ ফুটত-
কিন্তু অনুরাগি ভাবনায়--
বুঝলে কই?
কাউনের ভাত মাখা
এখন আর খাওয়া হয় না;
মল মলা গন্ধ স্বাদ বাতাসে পাই না
ফসলি আবাদ বুঝি মরে গেছে;
মাটির অঙ্গে বালুচর পরেছে।
বড় সাধ জাগে
তবুও...
সমুদ্রে মিশে যাচ্ছে কান্নার চোখে নিনাদ
অট্টালিকার ছাঁদে সুখের চাদর শুকায় রোজ!
অথচ মাটির গন্ধ মৃত- দূর্বাঘাসে মরীচিকা রোদ
চারপাশ বাতাসহীন উঠনের চিলাকুটা
তারপরও বৃষ্টির শব্দ জোয়ারের ঢেউ;
এতো প্রকৃতিময় প্রেম যেনো কালো মেঘের ছায়া,
বজ্রপাত...
একটা নিষ্পাপ চুমুর জন্য
কবিতা কতখানি অপেক্ষা পূর্ণিমা রাত
কিংবা নির্জন ঠোঁটের বাগ!
কবিতা বুঝতেই পারল না নিশিস্বাদ;
অথচ কোনদিন ভাবতে পারেনি
ইচ্ছা ডাঙ্গার স্বপ্নও দেখেনি
কবিতাকে আলিঙ্গন করব-
তারপরও প্রণয় বাশি বেজেই গেছে
আজও নিস্ফল শুধু ঘৃণার...
কাঁঠাল ঠোঁট থাকতেই অন্যের ভেড়া
ঠোঁটে হাসতে চাও-
আসমানে সাদা মেঘ ভাসাও
অথচ উঠন জুড়ে বৃষ্টি ঝরাও;
আম রসাল কথা বল
কিন্তু কলা চিন না!
এভাবেই ত জ্যৈষ্ঠ মাস চলেই গেলো
নৌকায় খোজ বর্ষার কদম...
গোপন ভাবনার পিচে ললাট দেহে
আষাঢ় শুধু চমকে যায়- চমকে যায়
রঙধনুর বৈকালি সাতটি রঙ অথচ
কামচক্ষু রুপালিময় ঠোঁট নতুন হয়-
হাসিটার দৌড় কামচক্ষু রূপালিময়;
এক চিমটি মেঘের ছোঁয়ায়-
শ্রাবণ হতে চাই না- না- চাই...
কবিতার ভাব মুখর আজ মৃত প্রায়!
চোখের কালোকেশি মেঘে আষাঢ়ের ঘনঘাটা-
অথচ কবিতার চঞ্চলতা নেই- আকাশে ঘুড়িও নেই;
কদম ফুলের মিষ্টি হাসি ছড়িয়ে গেলো কোথাও?
বিস্মৃতির পথে, রক্তাক্ত কাটায় থুবরে খেয়েছে।
অতঃপর আষাঢ়ের গায়ে জ্বর...
এ নর্দমা বীজের জন্য
মা মাটির কত অপবাদ শুনতে হচ্ছে
এমন কি অশ্লীলিন গল্প রোজ রোজ
কানের পর্দা ফেটে যাচ্ছে;
এ নর্দমার ক্ষমা যোগ্যহীন
প্রতিনিয়ত কালো মেঘ জমে হয় বৃষ্টি
ফসলের মাঠে অগাছার মত পরিস্থিতি
তবুও মা...
অভিমানি রাগ, করতে পারে আত্মহত্যা;
এই সংকটময় সময়ে বড় অভাগা কপাল-
আর কত সময় অতিবাহিত হলে
চৌদ্দ কলার স্বাদ পূর্ণ হবে অথচ
অবোঝ মন প্রতিনিয়ত হাঁটছে আত্মহত্যা
এভাবে চলে যাচ্ছে-চলে গেলো তাজা প্রাণ;
তবুও থামছে না...
সেই দিন জানালা খোলা ছিল
চাঁদের হাসিটা বেশ লাগছিল!
অথচ রাস্তার ধূলি ঠোঁটের সাথে লাগেনি
দূর্বা ঘাস অভিমানি বেশছিল;
বৈকালি হাওয়া ফাল্গুনে আগুন জ্বলছিল
এতো দিনেও বুঝার সময় হলো না
আর- যাচ্ছে কেটে দিন রাত...
মন বড় বে-খুশি, বৈকালি উঠন-
যখন তখন ব্রেকহীন কথা বলি;
নদী দেখেও ভাবি না কতখানি জল
ঢেউয়ে ভাঙ্গে কতখানি মাটির ফল।
ধর্মকর্ম ভুলেই গেছি সব- মুখে শুধু
স্বপ্ন ডাঙ্গার বালুচরে প্রণয়ের হাসি!
বনোহাঁস উড়ছে দিগন্তর দিয়ে...
©somewhere in net ltd.