নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামহোয়্যারইন শুরু থেকে লেখালেখি করছিলাম হঠাৎ আইডি বন্ধ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন করে আইডি খুলে লেখালেখি শুরু করলাম সবার প্রতি কৃষ্ণচূড়া শুভেচ্ছা রইল
নিঃশ্বাসের সাথে দেহের প্রেম রহ রহ!
চলছে দেখো মাঠে ঘাটে হাঁট বাজারে
রাগ অনুরাগে আকাশ বেজায় কালো;
চারিধারে ঘোর বর্ষায়, নয়ণ ভেজে আইল
হেঁটে হেঁটে চলে যাই! সাদা মেঘে কাল।
তবুও তরুলতা পশু পাখি কথা...
দিনের জ্ঞান আলো আগলা রাখিস
রাতের জ্ঞান কালো গোপন ভাবিস-
মনোচক্ষু বিবেক একটু খুঁলে দেখিস
চাঁদ, তারা তরুলতা দেখছে সবই;
তাই বুঝি জ্ঞানী গুণীজন ভেবে কয়
অতিচালাকে দাদা ভাই গলায় দড়ি-
আর নয় নয় জ্ঞান শূন্যতায়...
ঐ আকাশ হেঁটে যায় মাথার উপরে-
তাই মাঝে মাঝে মনে হয় ভেঙে পরে;
অথচ বাতাস কে খুব ছুঁতে ইচ্ছে করে!
কিন্তু বাতাসের ঠিকানা এতটুকু জানা নেই
তবুও কেনো বার বার বাতাস পাঁজর ভেঙে
এই ঘোর...
একটা সোজাসুজি নিয়মে এসে দাঁড়িয়েছি-
কোন মেঘ নেই- তবুও গড় গড়িয়ে বৃষ্টি;
হাজার কোটি বাঁধ দিলেও, বাধা মানছে না;
নিয়তির নোনাটে ঘ্রাণের স্বাদ, জীবন সংসার
এতটাই সত্য! মিথ্যার কোন ছায়া নেই-
ভেঙে পরতে পরতেই মেনে...
আমাকে বট ছায়া ভাবিস না
আমি তো বাঁশ ঝাড়ের একটা বাঁশ মাত্র!
ভুলও আর মিষ্টি খেজুর দেখিস না
আমি খেজুর গাছের ডাল মাত্র;
আমাকে পূর্ণিমার রাত অনুভব করিস না
দিগন্ত জুড়ে তারা নক্ষত্র দিকে হেঁটে...
পাগলা হাসি বড্ড সাদা মুখে খাঁটি
একটু হলোও সবাই জীবনটাকে
একটা লাল সালু ভাবি আর ভাবি!
আসলে কি জীবন পানি এরকম?
সময় বড় নড়ভর- ভাবাই যায় না
ঘড়ির কাটা কখন উল্টে যায়।
তবুও ভাবি একটা কিছু...
দৃষ্টিগোচর কিছু চাওয়া পাওয়ার
জন্য উন্মাদ! বয়ে চলছে মহাসাগর;
দর্শণে ঝরবে ঝর্ণার আইল পাথর;
দৃষ্টি পলক তুমি স্থির হও! যেমনটি চাঁদ,
সূর্য, নীলাকাশ ঠিক ফাল্গুন বেলা-
হেমন্তের গল্প! তেমনী শীতল হাওয়া হোক
অম্লান- ক্ষীণ তৃপ্তির গভীরে...
এলোমেলো হচ্ছে কবিতার দেহ মন অগ্রভাগ
সোজা লাইনে দাঁড়াবার মন মানসিকতা নেই!
অথচ কত নিয়মকানুন জেনেও অবুঝ
পাথরের মতো হেঁটে যায়- সোনালি মাঠ!
রাস্তাগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন মোড় বাঁলিশ
তবুও ঘুমাতে কষ্ট, কুমরে ব্যথা হয় রোজ-...
বহমান নদীর গতিপথ দেখতে চাই
এখনো দুচোখ অন্ধ করিনি বলে-
বসন্ত খুঁজি! আপন আঙিনায়
কিংবা রোদলা বারান্দায়!
অথচ নদী হেঁটে যায় ঘোর বর্ষায়;
এতটুকু বর্ষা চাই না- চাই না-
বিষন্ন সহ্য করতে পারি না;
তবুও হাঁটতে চাই...
অর্থ ছাড়া কবিতার হাত পা চোখ মুখ
দেহের রূপ লাবণ্য গঠন হয় না-
চুল খসে যাওয়া ভাবনাগুলো ছাড়াও
কবিতা দুচোখে দেখাই যায় না;
গভীর থেকে সেই চিন্তা রস আনতে হবে
না হলে কবিতাকে স্পর্শও করা...
কত ছবি রঙতুলি ভাবতেই অবাক
শুধু শুধু্ই আমাকে সাগর বানানও !
যখন ঢেউ তুলি- ভাঙ্গি মাটির ঘর বাড়ি
তখন কোথায় হারিয়ে যাই!
সে বলে উঠে ভাবনার চোরাবালি প্রান্তর-
অথচ হাঁটু পানি থৈ...
যখন হরিণ চোখে কবিতাকে দেখি!
ঘরের মধ্যে থেকে সত্য বাহির হয়ে আছে;
তখন প্রেম নিবেদন করতে পারি না-
কারণ আবেগময় দৃষ্টি নীরব হয়ে যায়, ভাবনাগুলো-
অথচ কবিতা বিরক্ত সরে ঘৃণা মনে
বৌভাতের ডালি সাজানো মেঘ...
মনের চারিত্রিক কে তাহলে জীবন বলো-
এই জীবনের মানে খুঁজতে হলে-
নিজেকেই জলছবি ভাবতে হবে!
চায়ের চুমুকে আনতে পারো খানিটা তৃপ্তি
প্রাগৈতিহাসিক আলোকিত করতে হবে দৃষ্টি
তাহলেই কিছুটা জীবন মানে খুঁজতে পারো।
মৃত্যুর স্বাদ নিতে...
আমি দেখছি আর দেখছি
লোমগুলো ঝরে যাচ্ছে
মাংসের দুর্গন্ধে- বাতাস
আকাশ ভারি হচ্ছে;
তারাগুলো ছুটে যাচ্ছে-
কোন অজানা দেশ।
অথচ ধূসর মৃত্তিকা চুপ চুপ
অনলে পুড়াচ্ছে দেহ মন
অনাগত ভবিষৎ, অতীত
বর্তমান শুধুই কি আহত!
আমি কি চন্দন কাট?
নাকি শুধুই...
সোনা ফসলের দিনগুলি
হারিয়ে যাচ্ছে কেমন করে জানি?
বৈকালি কিংবা সন্ধ্যার তারাগুণানো
রাত ফুরানো মধ্যভাগে চাঁদনি!
ভাবতেই- দীর্ঘশ্বাসে ঘাম ঝরে যায়-
বলো ! কেমন ছিল- কেমন ছিল;
যত দুষ্টুমি কথার বাঁকে প্রণয়ের
আভাস রঙিন স্বপ্ন...
©somewhere in net ltd.