নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামহোয়্যারইন শুরু থেকে লেখালেখি করছিলাম হঠাৎ আইডি বন্ধ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন করে আইডি খুলে লেখালেখি শুরু করলাম সবার প্রতি কৃষ্ণচূড়া শুভেচ্ছা রইল
সময়ের স্রোতে দু’চোখে এখন বিভীষিকাময়!
রাত নেই দুপুর নেই সব ক্ষেত্রেই মন জঙ্গল ভরা
তবু ক্ষণে ক্ষণে পথ চলা হাজার বছর পর
স্বপ্নে দেখা পৃথিবী আমার রূপ লাবণ্য যেনো ধূসর ময়
আতঙ্কিত সোনালি ভোরের...
এক গন্ধহীন ফুলের রক্ত নাই
তবুও মশা রক্ত খাচ্ছে বেশ;
মৌমাছিদের কি হবে এই গভীর রাত!
তারা খসে যাচ্ছে জানি না কার উঠনে
বাতাসের বুকে নিঃশ্বাসের ছুঁয়া নাই-
অথচ ফুল সুবাস দিচ্ছে- দক্ষিণা জানালায়
আশা টুকু...
নির্বোধ ভাবনাগুলো
মেলেছে রক্তের ডানা;
স্বপ্নগুলো জঙ্গিবাদ নিরাশা-
অথচ দেয়ালের ইতিহাস
নির্বোধ বাসনা! রাতের দৃষ্টিপাত-
চলছে খারা দুপুর আয়না
তবুও ভাঙ্গার সাহসটুকু গঞ্জনা-
অথচ ঢেউ তোলা থামে না...
রৌদ্রোজ্জ্বল আজ কবিতার হাসি
পাচ্ছে- কারণ মাটির খোলস খুলে গেছে!
কিছু দুর্গন্ধ পাচ্ছে বাতাস- তবে
আকাশে মেঘলা মেঘলা বৃষ্টির ছড়াছড়ি;
এক কবিতার হাসি পাচ্ছে! সত্যই
পেট ভরে হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল হাসছে।
আমি কিন্তু মুচকি হাসছি...
মনটা কি রেডিও টেলিভিশন
যখন- তখন খারাপ হবে-
ব্যাটারি, বিদ্যুৎ না থাকলে চলবে না?
মনটা তাও হতে পারে!
মনটা কি ফুলের মতো;
এই ফুটবে এই পাপড়ি ঝরবে
সমস্ত গন্ধ লুটাবে?
এমনটা হলে তো রক্তক্ষরণ হবে বার- বার;
এখন...
হায়নার মতো সবাই যদি
হিংস্র হয়ে যাই এখনি!
ছেলে বলে তাতে কার কি?
সত্যই ভাববার বিষয়;
মায়াময় হরিণের মতো
সহজ সরল মন থাকাটাই বুঝি হয় পাপ-
যত খারাপ লোকের মুখে মুখে তাই শুনি...
বাস্তবতা শিকড় বড়ই নিঠুর নির্দয়
তাই বুঝার মতো মন হয়ে উঠে না কার;
চার দেয়ালে যতোই শ্বেত পাথর দিয়ে গড় প্রসাদ
বাস্তবতার শিকড়ে ভাঙ্গবেই একদিন;
কিছু বলার ক্ষমতা থাকবে না চারপাশ নীরব নিস্তব্ধ
সময়ে অহমিকা...
ভাব এখন একটাই স্লো পয়জনিং!
দু’হাতের চাপ আকাশ দেখে বলছে
আল্লাহ, ঈশ্বর, ভগমান, খুব নারাজ;
মাটি চেয়ে চেয়ে কি জানি বুঝছে-
ধূলি বালি চোখে মুখে শুধু লাগছে!
এভাবেই যুগের পর যুগ চলছে;
যাক না কেটে কয়টা...
হেমন্তের দিনগুলো কেমন জানি
ঝড় বর্ষার মতো মনে হয়!
আমার ফাল্গুন তো আসেই না;
শুধু যুদ্ধের রক্তাক্ত শরীর-
একটু হাসতে চায় বলে এসেছে
বিজয়! লাল সবুজের বুকে!
অথচ ছয় ঋতু ঘুরে ফিরে আসে
কিন্তু আমার রক্তক্ষরণ শেষ...
একটা মৃত্যুর সংবাদ আরেকটা
মৃত্যুর স্বাদ যোগায়; অথচ অনুভব
করতে ব্যর্থ শুধু ক্ষীণ সময়ে শোকাবহ
আমার মৃত্যু এই বুঝি হয়; স্মৃতিরা
কিন্তু জলপাই কিংবা তেঁতুল স্বাদ নেবে না।
অতঃপর যে সবটুকু নিসঙ্গে করে
চলে গেলো না...
ঘানি টানার মতো রোজ
সরিষা তৈল উৎপাদন হচ্ছে খুব;
ক্ষত বিক্ষত মাটির দলা
যেদিন দুর্বলা ঘাসফুলের সাথে বাসর হবে;
সেদিন ও এতটুুকু ঘ্রাণ পাবে না
লম্বা নাকটাও আর জুরাবে না!
সমস্ত উপলদ্বি ধ্বংস হবে।
হৃদয় ঘানিতে মুক্তির...
কবিতার পংক্তি এখন মৃত্যুর পথযাত্রী-
এদিকে উঠন জুড়ে ঘাসফুলের ঠোট বাকানো হাসি;
সময়ের স্রোতে আতঙ্কিত আর আতঙ্কিত-
ফুলেল সুবাসে রাতদুপুর কান্দে আকাশ মাটি
কখন ফিরবে কবিতা আবার সোনালি দিন হবে;
প্রজাপতিরা নিঠুর ডানা বাঁধার দেয়াল...
উন্নতির স্লোগানে মাটির ময়নারা
টেবিল ভরে হরেক রকম খাদ্য খায়;
আর আসমানীদের চোখের পলক
পেট খারাপের দিকে সুধায়-
তবুও তারা কেমন করে
আসমানীদের উন্নতির গান শোনায়-
আলসার গ্যাস্ট্রিক আসমানীদের পেট পোড়ায়;
উন্নতির জোয়ারে ক্ষুর্ধাত ভাটায়-
আসমানীদের অট্রহাসি পায়!
কি...
দেহের ভিতর অন্তদণ্ড
ঝড় হাওয়া বইলে কি আর
প্রেমময় সুবাস থাকে? এক বার ভাবো
কি অনুরাগ? অদ্ভুত হাস্যকর, রূপালি কথাগুলো
শুনলে- জেনো ঝর্ণা ধারা ক্ষত বিক্ষত মিছিল-...
কোথায় এসে দাঁড়ালাম বিচ্ছিরি গন্ধ
ভাবতেই শুয়োর খাওয়া মাংস পাপের কথা মনে হয়!
বিবেক বোধ শুধু পিছু টানে শৈশব, কৈ শর চঞ্চলতা;
কবে কখন এক ধর্মান্তর হয়েছি-
সংসার ধর্ম- বড্ডই বিড়ম্বনার শিকার,
রীতিনীতি মানতেই পারছি...
©somewhere in net ltd.