নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামহোয়্যারইন শুরু থেকে লেখালেখি করছিলাম হঠাৎ আইডি বন্ধ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন করে আইডি খুলে লেখালেখি শুরু করলাম সবার প্রতি কৃষ্ণচূড়া শুভেচ্ছা রইল
সাগরের মধ্য ভাগে দাঁড়িয়ে আছি-
সময়ের বর্তমান খর স্রোতের খেলা জেনো
টক বকে জলের খই! ভেসে যাচ্ছে
অগুনতিক মুড়ির প্রাণী! মুড়ি খইয়ের সাথে
আমিও ভেসে যাচ্ছি- ভেসে যাচ্ছি-
কুল কিনারা খুঁজে পাওয়া বড়ই কঠিন;
এ অবস্থায়...
আজ কার্তিকের মন বড় আহত!
ষড়যন্ত্রকারীর হাতে ধর্ষণ কিংবা খুন
আর উসকানির মুখে ফুলোচন্দন সুবাস ছড়া আনন্দ-
ভেবো না কার্তিক তুমিও একদিন আবার আগের মতো
বনোহাঁস সাঁতার কেঁটে বেড়াবে;
আজ...
আঙুল শুধু সময়ের মুখে স্পর্শময়
বৃষ্টি এখন বোতলের মধ্যে মায়াময়!
মাটির সাথে একমুঠো মেঘ রঙ তামাশায় লিপ্ত
তবু তাদের বিবেক নেই, চোখ নেই- অন্ধ;
ঈশ্বর নাকি ডুবে যাচ্ছে জনসমুদ্রে-
উসকানি মুখ পাথরের বুকে ফুটান ফুল
গায়েবি...
স্বপ্নময় উঠন বিরক্ত কর ঠোঁট
সময়ের চঞ্চলতা ঘুমের ঘোর-
শুধু পূর্ণিমা রাত অথচ আকাশ
থেকে মাটির দূরত্ব অনেক- স্পর্শ
পরশ মেঘ বৃষ্টির হাতছানি দৌড়!
তারপরও রাত আসে- ভোর হয়-
ঝরা পাতার মতো প্রেমপত্র সীমানার
অতীত- জেনো প্রতিনিয়ত...
জেনে শুনে জোর করে গাছে
চড়তে নেই- হাব ভাব বুঝে
গাছে চড়তে হয়- ধৈর্যের গায়ে
মন হাতে রাখা ভাল, দেয়ালের
ইট সিমেন্ট পিছলে যাবে না কারণ জোর
করা বুদ্ধির অভাব জেনো মাটির সুখ
অথচ মই খুঁজতে...
নদীর উপর দিয়ে রোজ হেঁটে গেছি
অগোচরে কখনো এ্যাপেল ভাবিনি-
কমলালেবু তো দূরের কথা; খানিকটা
চিরতা ভেবেছি- কিছুটা সময় ধরে,
তবে মগডালে চরার খুব ইচ্ছাছিল
কিন্তু পা পিচলে গেছি- কত শত বার
আইকা ওয়ালা বাঁশ...
দুচোখে দেখি সম নিঠুর পৃথিবী আর মৃত্যু
দুজনের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই;
বই পড়া বুঝার মতো কোন পন্থা নেই
দেশ রাজ্য তাও নেই- তবু তারা
চলছে দিক দিগন্ত জুড়ে ছুঁই- ছুঁই করে
সম পাঠ শালায়...
কামুক ভাবনা না থাকলে,
কি আর সারা গাঁয়ে প্রেম হয়?
তাই তো কৃষ্ণচূড়ার প্রেম হয়নি!
রাঙিয়ে গেছে সমস্ত রাজপথ;
তবুও কামুক ভাবনা আসেনি
কত ভোর দিগন্তে ছুটে গেছে
সাদা মেঘে ঘুড়ি, শিউলি ঝরা গন্ধ
তারপরও ঘর মুখে...
একটা স্নিগ্ধ মায়া ভরা রাত-
ঘুম পারানি স্বপ্ন শুধুই স্বপ্ন
দুহাতে রাতের রত্ন ফুরায়!
রঙ করা ক্ষণ দক্ষিণা বাতাস-
উড়ে- উড়ে যায়, সোনালি দিন;
অথচ একখণ্ড দুপুরের ক্লান্তি
বিন্যাস সেজেছে অগুণতিক-
শুধু ঝরা পাপড়ির মতো!
দেখো, পরে থাকি...
সোজাসুজি- মুখোমুখি দাঁড়াই না
ইচ্ছে হলেও কথা বলতে পারি না
স্নেহ মায়া, হাতে হাত স্পর্শ ছুঁই না;
নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে-খাওয়া দাওয়াই
চলা ফিরাই সবই ঠিক আছে, অথচ
রোদেলা উজ্জ্বল প্রকৃতির ছায়াতে তোমায়
দেখতে পাই না?...
গাছের পাতাগুলো চুপ
অদ্ভুত শুধু উড়ন্ত ধূলিবালি মেঠোপথ
আর এ রাস্তার অলি গলি!
আজ কাল ডালপালা জুড়ে যা হচ্ছে
স্ববিরোধিতা ছাড়া কিছু নয়
অথচ বুঝার আত্মা মৃত প্রায়;
আপন ভাল করতে গিয়ে
বিদ্বেষী রুপ টেনে ধরছে...
পুত্তিকা দু’পায়ে হেঁটে যাচ্ছে
গন্তব্যহীন পথ- উজ্জ্বলময় চোখে
নীলিময় নীল আকাশ নাকি অন্ধকার!
তবুও পৃথিবী আলোয় আলোকিত;
বাতাসকে ধরতে চেয়েছিলাম-
অথচ দু’হাতে ফসকে গেলো;
কিছু গন্ধ বারুদ জ্বলন্তময়
আকাশ জুড়ে চাঁদ নিজেই হাসে!
তারপরও মাটির স্বাদ অপূর্ণ
ভোরের শিশির...
নৈশব্দ জীবনের বাক
নিঃশ্বাসে-নিঃশ্বাসে নদীর কিনারা!
জল স্রোতে ভাঙ্গে কিনারার চূড়া
তবু জীবন ছবি- আকাশ পারাপার!
ঐ কালো মেঘে মেঘে মন ছুঁই-
বৃষ্টি বাদল রাস্তার মোড়;
এখন এ গলি ওগলিতে নাই
বড় নিঠুর নদী! জীবন মানে
বুঝল...
একদিন হেঁটে এসেছিল
সবুজের আইল পাথার!
রোজ রোজ আনন্দ বহর হৈ হল্লার
খেলে গেছে- রঙধনু বৈকাল-
আজকাল কিছুটা হয়েছে অম্লান,
সোনালি মাঠ, পিচ ঢালা ইট পাথর
ঘিরা রাস্তার মোড়- হারিয়ে গেছে
চিকন সুরু রোদ উজ্জ্বল...
©somewhere in net ltd.