নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামহোয়্যারইন শুরু থেকে লেখালেখি করছিলাম হঠাৎ আইডি বন্ধ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন করে আইডি খুলে লেখালেখি শুরু করলাম সবার প্রতি কৃষ্ণচূড়া শুভেচ্ছা রইল
রূপালী গ্লাস চেয়ে থাকে
ঐ থৈ- থৈ জলের দিকে-
নদীর জল শুধু ঢেউ তুলে
উচ্ছলে উঠে- নতুন একটা
কিছু একটা সৃষ্টির চোখে-
রূপালী গ্লাস চেয়ে থাকে।
হঠাৎ দূর কিনেরায় ভেসে
ভেসে তুলে- কালো মেঘ!
পিছলে গেলো গ্লাসের রঙ-
মায়াবী...
রঙ করা পুতুল খুঁজে পেয়েছো!
সমস্ত স্পর্শের ফুল হয়েছে গন্ধহীন
বাতাসে বাতাসে ভেসে আসে না;
কেনো হলে জোছনাহীন আকাশ?
দল বাঁধা তারার ঝালকানি পাই না-
অন্তত অনলে জ্বলন্তময় হাত! সোনালি
মাঠ- একটি বারও খুঁজেই পাও না,
কারণ...
রাগে নাকি ফুল গুলো ঝরে যায়-
কলি হয় চুরি সন্ধ্যা দুপুর কিংবা
ঘোর স্বপ্ন মায়ায়; অথচ রাগ নদী
হয় না কখনো শুধু রক্তাক্ত মাঠ!
রাগের বাহুতলে হিংসার জন্মদিবস
অথচ শুভেচ্ছা লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি
হাতের ছুঁয়ায়...
রঙিন আকাশ তবু সেদিনের সাদা
মেঘ, আকাশে ভাসছিল না-
জেনো মাটির স্পর্শ নোনাটে ভাসছিল;
হঠাৎ কৃষ্ণচূড়া রাঙালও পথ!
ভেঙে গেলো সাজান গাছের মগডাল-
এলোমেলো হলো প্রজাপতি
খুঁজে পেলো না ফাল্গুনি; অথচ সোনালি
ঘ্রাণ পূর্ণিমা ছুঁয়ে যায়- রাত...
নিঃশ্বাসের সাথে দেহের প্রেম রহ রহ!
চলছে দেখো মাঠে ঘাটে হাঁট বাজারে
রাগ অনুরাগে আকাশ বেজায় কালো;
চারিধারে ঘোর বর্ষায়, নয়ণ ভেজে আইল
হেঁটে হেঁটে চলে যাই! সাদা মেঘে কাল।
তবুও তরুলতা পশু পাখি কথা...
দিনের জ্ঞান আলো আগলা রাখিস
রাতের জ্ঞান কালো গোপন ভাবিস-
মনোচক্ষু বিবেক একটু খুঁলে দেখিস
চাঁদ, তারা তরুলতা দেখছে সবই;
তাই বুঝি জ্ঞানী গুণীজন ভেবে কয়
অতিচালাকে দাদা ভাই গলায় দড়ি-
আর নয় নয় জ্ঞান শূন্যতায়...
ঐ আকাশ হেঁটে যায় মাথার উপরে-
তাই মাঝে মাঝে মনে হয় ভেঙে পরে;
অথচ বাতাস কে খুব ছুঁতে ইচ্ছে করে!
কিন্তু বাতাসের ঠিকানা এতটুকু জানা নেই
তবুও কেনো বার বার বাতাস পাঁজর ভেঙে
এই ঘোর...
একটা সোজাসুজি নিয়মে এসে দাঁড়িয়েছি-
কোন মেঘ নেই- তবুও গড় গড়িয়ে বৃষ্টি;
হাজার কোটি বাঁধ দিলেও, বাধা মানছে না;
নিয়তির নোনাটে ঘ্রাণের স্বাদ, জীবন সংসার
এতটাই সত্য! মিথ্যার কোন ছায়া নেই-
ভেঙে পরতে পরতেই মেনে...
আমাকে বট ছায়া ভাবিস না
আমি তো বাঁশ ঝাড়ের একটা বাঁশ মাত্র!
ভুলও আর মিষ্টি খেজুর দেখিস না
আমি খেজুর গাছের ডাল মাত্র;
আমাকে পূর্ণিমার রাত অনুভব করিস না
দিগন্ত জুড়ে তারা নক্ষত্র দিকে হেঁটে...
পাগলা হাসি বড্ড সাদা মুখে খাঁটি
একটু হলোও সবাই জীবনটাকে
একটা লাল সালু ভাবি আর ভাবি!
আসলে কি জীবন পানি এরকম?
সময় বড় নড়ভর- ভাবাই যায় না
ঘড়ির কাটা কখন উল্টে যায়।
তবুও ভাবি একটা কিছু...
দৃষ্টিগোচর কিছু চাওয়া পাওয়ার
জন্য উন্মাদ! বয়ে চলছে মহাসাগর;
দর্শণে ঝরবে ঝর্ণার আইল পাথর;
দৃষ্টি পলক তুমি স্থির হও! যেমনটি চাঁদ,
সূর্য, নীলাকাশ ঠিক ফাল্গুন বেলা-
হেমন্তের গল্প! তেমনী শীতল হাওয়া হোক
অম্লান- ক্ষীণ তৃপ্তির গভীরে...
এলোমেলো হচ্ছে কবিতার দেহ মন অগ্রভাগ
সোজা লাইনে দাঁড়াবার মন মানসিকতা নেই!
অথচ কত নিয়মকানুন জেনেও অবুঝ
পাথরের মতো হেঁটে যায়- সোনালি মাঠ!
রাস্তাগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন মোড় বাঁলিশ
তবুও ঘুমাতে কষ্ট, কুমরে ব্যথা হয় রোজ-...
বহমান নদীর গতিপথ দেখতে চাই
এখনো দুচোখ অন্ধ করিনি বলে-
বসন্ত খুঁজি! আপন আঙিনায়
কিংবা রোদলা বারান্দায়!
অথচ নদী হেঁটে যায় ঘোর বর্ষায়;
এতটুকু বর্ষা চাই না- চাই না-
বিষন্ন সহ্য করতে পারি না;
তবুও হাঁটতে চাই...
©somewhere in net ltd.