নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
ডাকবাক্সটাতে ঘুন ধরেছে বহুকাল আগে,
ঝুরঝুরে সব গুঁড়ো পড়ে থাকে তার নীচে,
তবু সেটা কিছু চিঠি আঁকড়ে রাখছে বুকে,
প্রেরকের ঠিকানা খুঁজতে যাওয়াটা মিছে।
ডাকপিয়নটার যাতায়াত আজ অনিয়মিত,
তার সাইকেলটার ক্রিং ক্রিং আর শুনিনা।
তবুও আসছে...
ঘর বাড়ী তো সবই আছে,
দারা পরিবার আছে কাছে,
ঘর সংসার চলছে ঠিকই,
হঠাৎ ভাবি, আচ্ছা একি,
আমি তো এক শরণার্থী!
হুট হুট করে চারদিকেতে
নিচ্ছে সবাই হাতটি...
তোমার নিঃশ্বাসের আওয়াজ পাওয়া যাবে,
অথচ তোমাকে দেখা যাবে না।
তোমার হৃদস্পন্দন অনুভব করা যাবে,
অথচ বুকে মাথা রেখে তা শোনা যাবে না।
তোমার ছায়া দেখা যাবে,
অথচ তোমার কায়া...
বক্ষমাঝে আছো তুমি, বক্ষভেদী দেখিতে না পাই,
হৃদস্পন্দনে বাজো তুমি, কর্ণমাঝে শুনিতে না পাই।
নিঃশ্বাসেতে আছো তুমি, প্রশ্বাসেতেও আছো,
কায়ার মাঝে আছো তুমি, ছায়ার মাঝেও আছো।
তুমি আছো বলেই আমি সবার মাঝে আছি,
তুমি বিনে...
ওহে বজ্রাহত পথিক, কান পেতে তুমি শোন,
জীবনের পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়, কখনো ছিল না।
তুমি বাক হারিয়েছো? হতচকিত, দিশেহারা?
চক্ষুস্মান হয়েও দৃষ্টিহীন? ওঠো পথিক, ওঠো।
শিরদাঁড়া সোজা কর, ঋজু মনে এগিয়ে...
সবাইকে পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের লেখাটা। আজ থেকে বছর খানেক আগে একদিন ল্যাপটপে কিছু ডাটা নিয়ে কাজ করছিলাম। কাজ করতে করতে একসময় হাঁপিয়ে উঠে কিছু ভাল...
ভাগ্যবানের মাথায় হাত বুলায়,
সুন্দরী স্ত্রী কিংবা অভিসারী প্রিয়া,
কন্ঠলগ্ন হয়ে গুন গুন করে গায়,
\'তোমায় পেয়ে ধন্য আমার হিয়া।
মেহেদী রাঙা হাত ও চুরির নিক্বণ,
সেই সাথে পরিশীলিত কন্ঠে...
অকারণে এলোমেলো...
গত কয়েকদিনে বেশ ক’জন প্রাক্তন সতীর্থ, জ্যেষ্ঠ্য-কনিষ্ঠ বন্ধু ও বন্ধুপত্নীদের গুরতর অসুস্থ হওয়া এবং পরপারে চলে যাবার মর্মান্তিক দুঃসংবাদে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে আছে। অনিবার্য মৃত্যু সম্পর্কে পবিত্র...
রুটিন বাঁধা জীবন, সেতো বন্দীত্বেরই নামান্তর!
এপারেতে দৃষ্টি উদাস,
ওপারেতে মুক্ত আকাশ,
অসীম পানে দৃষ্টি রাখি,
বৃষ্টিভেজা বৃক্ষ দেখি,
কালো কাকের চক্ষু দেখি।
মাথায় ছিল সংখ্যা যত,
হঠাৎ দেখি সংকুচিত,
শূন্য ছাড়া নেই কিছু আর,
এপার ওপার ভাবতে গিয়েই...
সুন্দর মুখের সেই মেয়েটির,
দশটি নখও ছিল অনিন্দ্যসুন্দর।
নখের পরিচর্যায় সে যে পারদর্শী,
মোহনীয় নখগুলো তার স্বাক্ষর।
তার লম্বা গ্রীবার সাথে
আঙুলগুলো যেমন মানানসই,
নখগুলোও তেমনি লম্বাটে
ঝিনুকের মত চকচকে।
শাড়ী ও অধর রঞ্জনির সাথে মিল রেখে,
নখগুলোকেও...
যখন এই মনের কোন কোণে
একটা পাথর এসে বসে, তখন-
এতটা অস্থির কেন হয়ে যাই?
শোয়া, বসা, দাঁড়ানো, ঘুমানো
কোন কিছুতেই স্থিরতা পাইনা।
শুধু ভালো লাগে,
কবিতা লিখতে, পড়তে-
গান শুনতে, শোনাতে-...
গত বুধবার সকালে ল্যাপটপে লেখালেখির কিছু কাজ করছিলাম। হঠাৎ ছোট বোনটা ফোন করে জানালো, আম্মার শরীরটা বেশী ভালো নেই, যেন ফোন করি। কয়েকদিন আগেই ফোনে আম্মার সাথে কথা বলেছিলাম, তখন...
সে বহুযুগ আগের কথা-
সেদিন যথারীতি সিগন্যাল ডাউন হয়েছিলো,
মেকানিক্যালী অপারেটেড সিগন্যাল,
লম্বা লিভারের হাতল টেনে তা নামাতে হতো।
প্ল্যাটফর্মে যাত্রী ও কুলিরা শোরগোল করছিলো,
ঘুমিয়ে থাকা কুকুরগুলো আড়মোরা ভেঙ্গে-
উঠে দাঁড়িয়েছিলো। তবু ট্রেন আসেনা,...
গায়ে জড়ানো নকশী কাঁথাটার বুননে
কতগুলো স্বপ্ন জড়িয়ে আছে কে জানে!
কতগুলো আঙুলের দু\'পিঠ আর তালুর
স্পর্শ আছে সেলাই এর প্রতিটি লাইনে।
মনের স্বপ্নমাখা ভালোবাসার ছোঁয়াগুলো
বিকিয়ে যায় হাটে সাংসারিক প্রয়োজনে!
কাঁথা মুড়ে...
©somewhere in net ltd.