![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আমার পাশেই বসেছিল লোরা লী,
হারিয়েছিল তার চোখে আমার দৃষ্টি।
কেবল ভাবাচ্ছিল আমাকে বারবার,
দেখলাম কি সঙ্কেত কোন ইশারার?
নাকি আমার চোখে সত্যিই কিছু পড়েছিল,
আর তাই চোখ দুটো শুধু পিটপিট করছিল?
কি যে এক বাতিক...
ফযরের আযান শুনে নীলার ঘুম ভাংলো। উঠি উঠি করেও অভ্যেস বশতঃ কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়েই এপাশ ওপাশ করলো। তারপর গা ঝারা দিয়ে উঠে সে বিছানার পাশে দখিনের জানালার পর্দাটা সরিয়ে দিয়ে...
করোটির ভেতরে রয়েছে এক বিষাদাশ্রম,
সেখানে গুমরে কাঁদে কত সব বিষাদের ছায়া।
অথচ মুখে আঁকা থাকে প্রসন্নতার সৌম্য ছবি
নিরন্তর বেদনার মাঝেও জ্বলে হাসির রবি।...
(আধুনিক বাংলা ভাষার বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান কবি জীবনানন্দ দাশ এর আজ ৬২তম প্রয়াণ দিবস। দু\'বছর আগে আমি তাঁকে স্মরণ করে এ কবিতাটি লিখেছিলাম।)
কতটা যন্ত্রণা ছিলো তোমার বুকে, হে কবি?
কতটা...
আজকের এই শারদীয় পূর্ণিমা দেখার প্রকৃষ্ট সময়
ঠিক মধ্যরাতের পর, একান্তে, নিরিবিলি নীরবতায়।
কিন্তু কোথায়? মাঠ ঘাট, উন্মুক্ত প্রান্তর কিংবা
তরুতলে নয়, গৃহছাদ কিংবা বারান্দার রেলিঙে নয়,
রূপোলী নদীবক্ষে নয়,...
কত পাখি ডাকে আকুলি বিকুলি, তার সাথীরে-
কত ভালবেসে, কত ভিন সুরে!
কোকিলের কুহুতান,
কিংবা বিরহিণী ডাহুকের কোয়াক কোয়াক,
অথবা অদূর জলাশয়ে জলের কাক
পানকৌড়ির ডানা ঝাপটানো ডাক,
সবই পরিচিত ভাষায়...
হে সুভাষিণী, তোমাদের হৃদয় যখন প্রেমাচ্ছন্ন থাকে,
প্রেমের জোয়ার উথলে এসে যেন কন্ঠেও ভাসে।
সাধারণ বাক্যালাপও তখন সঙ্গীতসম কানে বাজে,
কোকিলের কুহুতান শুনি কন্ঠের সকল কারুকাজে।
বিরাগী হলে তোমাদের...
বেড়াল কুকুর পোষা-
আমি কস্মিনকালেও পছন্দ করিনি।
একদিন অফিস থেকে বাসায় ফিরে দেখি,
কোথাকার কোন একটা বেড়াল ঘুরঘুর করছে,
এদিকে সেদিকে মিউ মিউ করছে।
যেই না একটু মায়ার দৃষ্টিতে তাকালাম,
অমনি সে পায়ের কাছে...
ডাকবাক্সটাতে ঘুন ধরেছে বহুকাল আগে,
ঝুরঝুরে সব গুঁড়ো পড়ে থাকে তার নীচে,
তবু সেটা কিছু চিঠি আঁকড়ে রাখছে বুকে,
প্রেরকের ঠিকানা খুঁজতে যাওয়াটা মিছে।
ডাকপিয়নটার যাতায়াত আজ অনিয়মিত,
তার সাইকেলটার ক্রিং ক্রিং আর শুনিনা।
তবুও আসছে...
ঘর বাড়ী তো সবই আছে,
দারা পরিবার আছে কাছে,
ঘর সংসার চলছে ঠিকই,
হঠাৎ ভাবি, আচ্ছা একি,
আমি তো এক শরণার্থী!
হুট হুট করে চারদিকেতে
নিচ্ছে সবাই হাতটি...
তোমার নিঃশ্বাসের আওয়াজ পাওয়া যাবে,
অথচ তোমাকে দেখা যাবে না।
তোমার হৃদস্পন্দন অনুভব করা যাবে,
অথচ বুকে মাথা রেখে তা শোনা যাবে না।
তোমার ছায়া দেখা যাবে,
অথচ তোমার কায়া...
বক্ষমাঝে আছো তুমি, বক্ষভেদী দেখিতে না পাই,
হৃদস্পন্দনে বাজো তুমি, কর্ণমাঝে শুনিতে না পাই।
নিঃশ্বাসেতে আছো তুমি, প্রশ্বাসেতেও আছো,
কায়ার মাঝে আছো তুমি, ছায়ার মাঝেও আছো।
তুমি আছো বলেই আমি সবার মাঝে আছি,
তুমি বিনে...
ওহে বজ্রাহত পথিক, কান পেতে তুমি শোন,
জীবনের পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়, কখনো ছিল না।
তুমি বাক হারিয়েছো? হতচকিত, দিশেহারা?
চক্ষুস্মান হয়েও দৃষ্টিহীন? ওঠো পথিক, ওঠো।
শিরদাঁড়া সোজা কর, ঋজু মনে এগিয়ে...
সবাইকে পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের লেখাটা। আজ থেকে বছর খানেক আগে একদিন ল্যাপটপে কিছু ডাটা নিয়ে কাজ করছিলাম। কাজ করতে করতে একসময় হাঁপিয়ে উঠে কিছু ভাল...
©somewhere in net ltd.