![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ বাঁচে
মানুষ মরে
মানুষে।
মানুষ বাঁচায়
মানুষ মারে
নিমিষে।
এখানেও কাটাতার, প্রশ্নবিদ্ধ দ্বিধায় বিভক্ত ক্রোমোজম অপেক্ষায় থাকে নতুন একসময়ের,নতুন এক ধারার। নতুন দিনের সূর্য উঠবে কবে?
মানুষ ঈশ্বর
কিংবা অসূর
মাকালফল!
মানুষ অজ্ঞ
কিংবা বিজ্ঞ
বেসামাল!
তারপর লোভাতুর চোখ টলে টলে...
কি ভীষণ অসুখে পুড়ে যাচ্ছে চোখ,
পলেস্তার জুড়ে কালোর মেলায় একফোটা জল।
কালোয় মিশে গেছে বলে দেখা যায়না,
দেখা যায়না অসুখও!
পুড়ে যাওয়ার উত্তাপে গন্ধ নেই, নেই কোন ধোঁয়া
অসুখে কেবল...
বুঝলি অনিমেষ, অনেকদিন থেকেই একটা কুকুর পুষবো ভাবছি। একটা কুকুর;
সারাদিন পিছনে ঘুরঘুর করবে, টেনিস বলটা ছুড়ে মারলে কুড়িয়ে আনবে, পা চাটবে,
অপিরিচিত কাউকে দেখলেই ঘেউ ঘেউ করে হুঙ্কার ছাড়বে! মুদ্দাকথা,
প্রভুভক্ত...
সেদিন সন্ধ্যায়,
তুমি হেসে হেসে বলে যাচ্ছো ঝুড়ির সতেজ ফুলের গল্প।
তোমার চোখে তাকিয়ে দেখি, থেমে গেছে তোমার হাসি,
মুখের লাবণ্য হারিয়ে ক্রমশ ফ্যাকাশে রঙের ক্যানভাসের কোনায় জমে থাকা কালির...
তারপর, একটি তারা খসে গেল আকাশ থেকে;
এক ফোঁটা জল টুপ করে পরে গেল মেঘ থেকে,
হঠাৎ একটা বিজলী এসে শাসিয়ে গেল সবাইকে;
খানিক বাদে ধুপ করে একটা ঝড় এল সাঁ...
দিন নাই রাত নাই,
আলো নয় কালো চাই,
ধোঁয়া ধোঁয়া একরাশ মৃত্যু!
ছেড়ে দাও ছেড়ে যাই,
প্রিয় ভুলে দূরে যাই,
টুপটাপ বরষার নৃত্য!
এই আছি এই নাই,
খুঁজি কাকে কোথা যাই,
কার ঘোরে হয়ে রোজ মত্ত?
মিছেমিছি...
চৈত্রের দাবদাহে পুড়ে ছাই,পাখি
বসন্তের উন্মাদনায় মত্ত।
খেয়াল করেনি নিজের সর্বনাশ!
নিমিষেই কালো মেঘ বিড়ম্বনায়
ঝড়ো বাতাসে প্রমত্ত নৃত্যে মেতে উঠে।আর
বিজলীর তালে তালে বেজে উঠে জলের ঐকতান।
পাখি, খেয়াল করেনি নিজের সর্বনাশ!
আলো...
এই সমাজে,
চিৎকার করো না।
বরং কান্না পুষে রাখো নিভৃতে।
কিছু অভিমান জমিয়ে রাখো রাতের জন্য,
কিছু আর্তনাদ চেপে রাখো দরোজায়।
খানিকটা দীর্ঘশ্বাস আটকে রাখো চোখের ভিতর;
নিজের মতন করে ।
হায়নার দল উৎ পেতে আছে আকাশে,
বাজ...
লিখবোনা আর রাতের কথা,
চোখের গভীর নিযুত ব্যাথা।
লিখবোনা সে চোখের মায়া,
নিয়ন আলোর বিবষ ছায়া;
লিখবোনা আর চন্দ্রগ্রহণ;
গল্পগুলো কেমন কেমন !
লিখবোনা কে লুকিয়ে কাঁদে-
সুযোগ বুঝে একলা ছাদে!
আড়শিতে চোখ ডুবিয়ে ভাবে,
বদলে গেছি...
অদৃশ্য অনুভূতিটাই প্রেম যেমন তুমি চেয়ে থাকো আমার দিকে কিংবা আমি তোমার চোখে; অথচ কেউ কাউকে দেখিনি কখনো! শব্দ করে ডাকা হয়নি কোন নাম, বলা হয়নি কোন ইচ্ছার আকুলতা।এই অব্যক্ত...
রোজ সন্ধ্যে নামার লগ্নে এই শহর প্রচন্ড একাকী বোধ করে।
ক্লান্তিতে নুয়ে পরে গোধূলির লাল দিগন্তে, খানিকটা জিড়িয়ে নেয়ার ছলে-
তন্দ্রার মতন ঘুমিয়ে থাকে। দেখে বুঝা যায় না তার ।
সারাটা শহরজুড়ে...
উদবাস্তু এই ঘরহারা মানুষগু্লো হারতে হারতে হারিয়ে ফেলে নিজেকে।
ভাঙতে ভাঙতে খুইয়ে ফেলে সর্বস্ব !
দশ, বিশ, একশ;
শরীর ছিড়ে ফেলার উৎসবে আর্তনাদ চেপে রাখার যন্ত্রণা পুষে-
গিলে খায়...
চোখের সমস্ত কান্না মুছতে মুছতে রাত ঘুমিয়ে পরে।
তাকিয়ে দেখি,
পৃথিবী সূর্যকে খুঁজতে গিয়ে ফিরে এসেছে পুরনো ঠিকানায়।
ভোর হলেই সকলে হাসিমুখে বলে যায় রূপকথার সুখের ছড়া যেন,
দিনের মতই উজ্জ্বল...
*
শহরের রাত চিড়ে ছুটে চলেছে জীবন;
তার মাঝখানটায় খনেক দাঁড়িয়ে সোজা হেঁটে যাই আমি!
হয়তো এমনি করে হাঁটতে হাঁটতে একদিন বাড়ী পৌছে যাবো।
হয়তো হাঁটতে হাঁটতে একদিন ঘরের পথ ভুলে...
©somewhere in net ltd.