নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম
পোষা আকাশ ছিলো একটা আমার,
যে’দিন থেকে আকাশ চিনেছি,
সেই দিন থেকেই বুকের ভিতর
আস্ত আকাশ’টাকে পুষছিলাম।
আমি যতো বড় হই
আকাশ’টা ও ঠিক ততোটুক হয়,
আকাশ’টা বড় হয়ে ছটফট করে নিঃসঙ্গতায়,
একদিন তাকে তাই...
খুব ভোরে জেগে উঠি খালি বুকে,
বিষাদ তখনও ঘুমে।
মধ্য দুপুরে বুকে বিষাদ দাবড়ায় তার সুখে,
কবিতা তখন বিশ্রামে।
বিকেল বেলা বিষাদ দখলে নেয় সম্পূর্ণ আমায়,
শুরু হয় সুখ দুঃখের হিসাব নিকাশ।
রাতের বেলা...
‘মরন’ বন্ধুর মতো ডাকছে আমায়,
তাইতো আজকাল ভালোবাসা আর ঘৃনা
সহপাঠি হয়ে একই ক্লাশে কোচিং করতে যায়,
বিশ্বাস আর প্রতারনা রাতে একই বিছানায়
গলাগলি করে ঘুমায়,
চাঁদের আলোতে প্রেমিকের ছায়া খেয়ে ফেলে...
চলন্ত রিকশার হুড ফেলে,
যেদিন আচমকা চুম্বন দাবী করেছিলাম,
তুমি বলেছিলে,
“ইশ্”
যেদিন, একদিন, এইতো সেদিন,
খোলা রিকশায় আকাশ দেখতে দেখতে,
কাঁপা কাঁপা কন্ঠে যখন বলেছিলাম, “ভালোবাসি”
তুমি সেদিন দু’বার বলেছিলে,
“ইশ্,ইশ্”
সেই ‘ইশ্’ ছিলো আমার জীবন।
আজও...
এতো দেশের কি দরকার ছিলো,
শুধুই পৃথিবী হলে অন্তত বলতে পারতাম সবাই এক পৃথিবীর নাগরিক,
ভিসা শব্দটা অভিধান থেকে বাদ দেওয়ার ব্যাবস্থা করুন দয়া করে,
না হলে সমুদ্রে মাছের চেয়ে মানুষের লাশ ভাসবে...
একটা অসুখ আমার পিছু নিয়েছে কিছুদিন হলো,
যেখানেই যাই অসুখটা আমার পাশেই বসে থাকে বন্ধুর মতো হাতে হাত রেখে,
শুধুই মন খারাপের ছোঁয়াচে এই অসুখটা হঠাৎ করেই শুরু হলো।
অসুখটা শুরুর আগে আমার...
চায়ের কাপ’টার গায়ে তার লিপস্টিকের দাগটা এখনো রয়ে গেছে ,
হাল্কা হয়ে কমলার দিকে যাচ্ছে লাল রং এর দু’ঠোঁটের দাগটা,
তবুও প্রতিদিন সকালে নাস্তা খাওয়ার সময়
এই খালি কাপ’টাই আমার চোখের সামনে
কি...
বন্ধু, পারছি নারে ,
আমি আর পারছি নারে,
আমার হয়ে তুই কাঁন্নাটা
একটু কেঁদে দে নারে,
আমি যে একবার কাঁদতে চাই
চিৎকার করে।
আমার কাঁন্নাগুলো দাড়কাকের মতো
এক পায়ে,
ঠায় দাড়িয়ে থাকে এই বুকে...
আমি আমার মতোই একজনকে খুঁজছি,
ঠিক আমার মতই দেখতে হবে,
চোখ, মুখ, নাক, উচ্চতা, চেহারা
একেবারে সব কিছু,
শুধু বুকের ভিতরটা ছাড়া।
আমি রাতের আঁধারে আমার সব অপরাধ,ক্ষোভ, ঘৃনা, লোভ ,
ভালোবাসা, বাসনা আর নষ্ট...
প্রিয় পাঠক,
আজ আর কবিতা নয়,
যাদু দেখবেন সবাই, সত্যিকারের যাদু,
আপনাদের সবার চোখের সামনে থেকেই
আজ আস্ত একজন মানুষ গায়েব করে দিবো,
এই দেখুন আমার সামনে একজন মানুষের লাশ,
মানুষটি একজন নারী ছিলো,
ছিলো বলছি...
আমার বোধহয় হয়েছে
বুকের ভিতর এক গোপন সর্বনাশ,
চাঁদের আলো দেখলেই
উড়তে থাকে মন খারাপের বাতাস।
বৃষ্টির জল শরীরে লাগলেই
পুড়ে যায় বুকের ভিতরের আস্ত ভূমি,
আমাকে কেউ বলেনি এই সর্বনাশের
গোপন কারিগর...
একজন নারী আকাশী রং এর শাড়ী পড়ে আমাকে বলেছিলো,
“সব নারীই আকাশ হতে ভালোবাসে,
সব পুরুষ মানুষ কিন্ত্তু ঘুড়ি উড়াতে জানেনা”
আমি তাকে বলেছিলাম,
“কিছু কবি আকাশের গায়ে বাড়ী বানাতে চায়,
বৃষ্টির জলেও মাঝে মাঝে...
পরিচিত শহরটা দিনেদিন কেমন অচেনা হয়ে যাচ্ছে,
বন্ধু মানুষগুলোকেও অ-বন্ধু মনে হয় আজকাল,
যে পুর্নিমার চাঁদ বুকে নিলে বুকে আরাম পেতাম,
সেই চাঁদের আলোতেই এখন বুক ঝলসে যায় রাত হলেই,
ঘুমকাতুর অপবাদ নিয়ে বড়...
যখনই আপনি আপনার নামে জনগনের স্লোগান শুনবেন,
আপনি নেশাগ্রস্ত হয়ে যাবেনই এক সময়,
এই নেশা কোনো ফেক্ট্ররীতে তৈরী হয়না,
তৈরী হয় জনতার বিশ্বাসে,
জনতার স্লোগানে,
আর সাধারন জনতার চেয়ে উঁচুতে
কোনো মঞ্চের মাইকে।
যখনই মানুষ নেশাগ্রস্ত...
কবি’র একটা আকাশ হলেই চলে,
আকাশ না হলে বড়োজোর সমুদ্র,
যদি তাও কপালে না জুটে তবে একটা নদী,
অথবা জলে টইটুম্বুর একটা দিঘী পেলেই হয়।
প্রেমিকের বুকে শুধুই একটা
লাল ফড়িং ক্লান্তহীন উড়ে,
দিন...
©somewhere in net ltd.