নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম
ভাংগা রাস্তায় সাইকেল চালাতে চালাতে একটি বারান্দার দিকে তাকিয়ে
অন্যমনস্ক ভাবে প্রায়ই রাস্তায় পরে যাই,
আবার উঠে দাড়াই,
কিশোর থেকে যুবক হয়ে যাই দিনকে দিন।
তুমি,
কোনদিন যদি এক মূহুর্তের জন্যও
৮০ নং দক্ষিন...
ডাক্তার সাহেব বাচ্চা’র মা’কে বললেন,
“জোর করে খাওয়াবেন না,
ক্ষিধে লাগলে এমনি খাবে,
আপনার বেবী সম্পূর্ন সুস্হ আছে”
মা বললেন,
“খেতে চায়না একদমই,
আমার খুব কষ্ট লাগে,
তবুও একটা ঔষুধ দিন।”
কবিরাজ সাহেব বাচ্চা’র মা’কে বললেন,
“বাচ্চা’টার শরীরে ভাইটামিনের...
ব্যাংকের ম্যানেজার যখন আমাকে বললো,
-“নিয়মনুযায়ী আপনার লোনের জন্য উপযুক্ত দামী সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হবে”
আমি তখন তোমার লেখা প্রথম প্রেমের চিঠি’টি দেখিয়ে বললাম,
-“ আমি জানতাম আপনি এমন কিছু চাইতেই পারেন,
তাই...
তোমাকেই বলছি,
তোমাদের নতুন দোতলা বাসায় কেমন লাগছে?
দখিনের বাতাস কি তোমার শরীরে মাখে?
দুপুরে য়খন তোমার ভাতঘুমের ইচ্ছে জাগে,
বেয়াড়া সূর্য্য’টা ঘরে উঁকি দেয়নাতো অযথাই?
দিলে আমাকে বলবে,
সূর্য্যের চোখ বেঁধে রাখব কালো কাপড়ে,
যখনই...
কবি, কি খুঁজছো আকাশের দিকে তাকিয়ে?
- নদী খুঁজছি,
আকাশে’র গায়ে কিসের নদী!!
- আমার হারিয়ে যাওয়া বিষাদের নদী,
নদী’তো আকাশে থাকেনা?
যা মনে হয় বললেই হলো!
সব কবি’রা কি তোমার মত বানিয়ে বলে?
- আমার ভিতরের...
পিছে ফিরে তাকালে?
না বোধহয় ভুল দেখেছি!
তোমার অতীতের চোখের দৃষ্টি
দীর্ঘশ্বাস ফেলে রাস্তায় এখনো পড়ে আছে।
তুমি চলেই যাচ্ছ!!
পিছু নিয়েছে তোমার ছায়া,
আবারও ভুল দেখিনিতো!
ছায়ার কাঁধে হাত রেখেছে
বিষন্ন কিছু মায়া,
তোমারই মায়া।
আমাকে ছেড়ে যাবার সে...
হুলিয়া ঘুরছে শহরময়
খুঁজছে কিছু মানুষকে।
এজন পুরুষ মানুষ বলেছিলো,
“আমি বোধহয় একজন ধর্মহীন ও রাষ্ট্রহীন মানুষ,
সকল ধর্মগ্রন্থ ও সংবিধানেই গরম ভাতের সম অধিকারের কথা আছে জানতাম,
আমার যদি ধর্ম ও রাষ্ট্র থাকতো...
হাইকোর্টের বারান্দায় শুয়ে থাকা
ক্ষুধার্ত কুকুর’টি একদিন স্বপ্ন দেখে,
এই শহর সম্পূর্ন কুকুরের
দখলে থাকবে সব সময়,
মানুষ আর কুকুরের জন্য আইন সমান হবে,
রাতে সবাই একসাথে পেট ভরে খাবে।
পরদিন, মহামান্য আদালত বললেন,
“হাইকোর্টের বারান্দায় জীবিত...
অনেকদিন তোমাকে লিখি না,
তুমিও কিন্ত্তু লিখনা বহুদিন,
একটি অভিমানের চিঠি পাঠাবো তোমারই ঠিকানায়,
এখনো লিখিনি সেই চিঠি।
তাই একটি পোষ্টবক্স খুঁজছি হন্য হয়ে কিছুদিন যাবত।
আমি একটি জীবিত পোষ্টবক্স খুঁজছি ,
শহরের সমস্ত পোষ্টবক্স গুলো...
কানা বক
——————
একটা বিষাদ বারান্দায় ‘কানা বক” এর মতো এক পায়ে দাড়িয়ে,
ঠোঁটে বিষন্নতার চিঠি,
তাকাচ্ছে এদিক ওদিক আমারই খোঁজে,
‘একলা আমি’ লুকাই অন্ধকারে বিষাদের ভয়ে,
‘একলা একটা বিষাদ’ তবুও বিষন্নতার চিঠি দেয় আমায়...
একটা ‘অব্যবহৃত ভালোবাসা’ পড়েছিলো
আমার আলমারির ড্রয়ারে,
নেপথালিনের সাথে মাখামাখি করে,
যেদিন আমার বিষন্ন ছায়া’টা অচল নোটের মত তার জানালায় পড়েছিলো,
তখনই মনে পড়লো ‘অব্যবহৃত ভালোবাসা’টার কথা ,
আমি দৌড়ে গিয়ে ‘অব্যবহ্রত ভালোবাসা’টা...
একজন আমার ঠোঁট ছুঁয়ে বলেছিলে,
“ভালোবাসি”।
আমি আয়নায় তাকাইনি অনেকদিন বিশ্বাসে,
ঘুমিয়ে ছিলাম,
চোখ খুলে দেখি
পুড়ে গিয়েছিলো সব
ভিতরে বাহিরে,
জমেছে শুধু হাহাকার।
আরেকজন আমার হাহাকার ছুয়ে বলেছিলো
“ ভালো থেকো”
যে আমার ঠোঁট ছুঁয়ে ছিলো,
সে হাহাকার...
একটা জোনাকি পোকা কিলবিল করে আমার এই বুকে,
জোনাকির চোখে জ্বলে আমারই নষ্ট সময়,
অপেক্ষায় আছি,
তীব্র অপেক্ষায়,
তাই বুকের দরজা খুলে রাখি একজন মানুষের জন্য,
কোন একদিন আমাকে হুট করে ডেকে বলবে,
“চারিদিকে এতো অসময়,
চলো...
পোষা আকাশ ছিলো একটা আমার,
যে’দিন থেকে আকাশ চিনেছি,
সেই দিন থেকেই বুকের ভিতর
আস্ত আকাশ’টাকে পুষছিলাম।
আমি যতো বড় হই
আকাশ’টা ও ঠিক ততোটুক হয়,
আকাশ’টা বড় হয়ে ছটফট করে নিঃসঙ্গতায়,
একদিন তাকে তাই...
খুব ভোরে জেগে উঠি খালি বুকে,
বিষাদ তখনও ঘুমে।
মধ্য দুপুরে বুকে বিষাদ দাবড়ায় তার সুখে,
কবিতা তখন বিশ্রামে।
বিকেল বেলা বিষাদ দখলে নেয় সম্পূর্ণ আমায়,
শুরু হয় সুখ দুঃখের হিসাব নিকাশ।
রাতের বেলা...
©somewhere in net ltd.