![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির অভ্যাস শৈশব থেকেই। কবিতা ও ছোট গল্প লিখতে ভালবাসি।নিজের মতামতের উপর আস্থা থাকলেও অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা জানাতে পিছুপা হইনা ।
অভ্যাস ছিল অগোছালো,
নির্ঘুম রাতে একাকী গান শুনা।
উদ্ভ্রান্তের মত ছিল প্রতিটি আগামীকাল।
হঠাৎ সব পাল্টে গেল,
অগোছালো জীবন মেতে উঠলো পরিপাটি হবার নেশায়।
নির্ঘুম রাত খুজে পেল স্বপ্নের সিড়ি,
দু চোখ জুড়ে নেমে এলো ঘুমের...
প্রশান্তির পরশ দিলে কি এমন ক্ষতি ছিল,
অভুক্ত শরীর কেঁপে কেঁপে উঠে,
বহুবার করেছি বায়না একটু চোখ বুজবো বলে,
হন্যে হয়ে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত কায়।
সকালের শুভ্র বদনে দুপুর শেষে নীলাভ ছায়ার খেলা,
পরিপাটি চুলে...
ছন্নছাড়া জীবনটা বেশ টানছে আমায়,
পেছন থেকে সামনে এসে কে বা থামায়?
বুট স্যুট আর মর্যাদার ওই আসন যত,
পারবে কি আর সুখ বিলাতে তোমার মত?
যাইহোক,, এসব কথা ছন্দের ঘোরে বেশ ভাল লাগলেও...
বেশ পাল্টে গেছি,
উল্টো পথে ধেঁয়ে ফের ঘুরে আসি না।
ভাবতে পারো আগের মত ভালবাসি না।
বেশ পাল্টে গেছি,
উদগ্রীব হওয়ার সময় এখন বড্ড কম,
ছাউনিতে দাড়িয়ে পথ পাহারার সময় আর নেই।
বেশ পাল্টে গেছি,
স্পর্শের...
ক্ষনিকের সফরে স্বপ্নের পাল তুলেছি,
ভাঙা হাল হাকিয়ে ঢেউয়ের গর্জন ভেঙেছি।
সা সা শব্দে স্রোত বহে ওই,
সাথে আসা মাল্লারা চলে গেল কই?
একা বেয়ে চলেছি পারের আশায়,
পথ চেনা বড় দায় ঘোর কুয়াশায়।
মাঝে মাঝে...
আকস্মিক স্পর্শের স্বাধ বেশ ঘন।
হতচকিত হই, বিমূঢ় হই। তবু এক চিলতে হাসি ফুটিয়ে পথচলি সঙ্গী হয়ে।
তপ্ত বালু, ছড়ানো ছেটানো ঘাঁসের থোবড়া বিমোহিত করে তারে।
দিকবিদিক ছুটোছুটি শেষে ফিরে আসো এ তটে,...
কুহুডাকে আড়মোড়া ছাড়ে গানের সঞ্চারী,
করুণার সুরে বিদীর্ণ, বিবর্ণ এ পরাণ।
যন্ত্রের হাকডাক আর নভোঃ ভাঙা কর্কশ চিৎকারে মিলিয়ে যায় নিশাচর!
দূূর থেকে ভেঁসে আসা বাতাসের অার্তনাদে ভারি হয় বুক,
নীলাভ রঙে বেদনার নয়নজোড়া...
ঝরা পাতার শব্দে শুনি পদধ্বনি
লু হাওয়ায় ভেসে যাওয়া নিঃশ্বাসের শব্দে কান পেতে আছি,
এই বুঝি ডাক আসলো ফিরে যাওয়ার।
টলমলে জলের পাড় ছোয়ার আকুতি দেখি,
নীড়হারা পাখির ডানায় রঙের যে আল্পনা,
সেথায় এঁকে চলি...
কোথায় তুই?
বৃষ্টির নুপুর পায়ে চলে যায় নন্দীবালা,
চোখের পলকে মিশে যায় লোক সমাগমে।
টের পেলাম সে তো বৃষ্টি ভেঁজা পাখি,
থেমে গেলে বৃষ্টির গান উড়ে যাবে সে দুরান্তে।
কোথায় তুই?
বৃষ্টির ঝাপটায় আধো ছোঁয়া মুখখানি...
সাত সকালে কথা বলার আর ইস্যূ না পেয়ে প্রজাপতি গান শোনালো!
আড়মোড়া ভেঁঙে চোখ কচলাতে কচলাতে সাভাবিক হই।
গান শুনবো বলে সে কি তাড়াহুড়ো,
বুকের ভেতরে কেঁপে কেঁপে হৃদপিন্ড জানিয়ে দিয়েছিলো আমার অপারগতার...
আমি একটু কমই বুঝি
তবু এটা বুঝি হলো কিছু লুট।
যু্ক্তির ভিড়ে তর্ক কমই খুজি
লাত্থি মারি সামনে আসলে ঝুট।
কৃষক মজুর মেহনতির ঘাম ঝরানো আয়
জমা হয়ে গড়ে বিশাল ব্যালেন্স লুটেপুটে কে খায়?
দুর পরবাসে...
উদার হবো, কূয়ো থেকে বের হয়ে সাগরের বুকে দেবো চিত সাঁতার!
নীল ঝরা ঠাঠা রোদে নোনা জ্বলে নেবো চিনচিনে ব্যথা। হাত পা ছেড়ে ঝাপাঝাপি হবে নীরব!
জাহাজের কালো তেল জ্বালানোর নেশায় দুহাতে...
খুব কাছে গিয়ে হয়নি পাওয়া,
তবু তোর কাছে ফিরে ফিরে যাওয়া।
এক পলকে মন ভরে না,
অবুঝ মনের শত বায়না।
প্রতীক্ষার ওই প্রহর শেষে,
হারিয়ে যাবো ঠিক নিমেষে।
দেখবে তুমি খেয়াল করে,
মিশে আছি তোমার তরে।
সেই দিনের...
বৃষ্টি চাই
এক পশলা বৃষ্টির আদুরে আস্ফালন দেখতে চাই,
এলোমেলো বাতাসের ঝাপটায় বৃষ্টি হবে ফোয়ারা,
ছোট্ট ছাতার নীল ডানা মেতে উঠবে টাপুর-টুপুর আওয়াজে,
না ভেজার কৃত্রিম চেষ্টা হবে ম্লান,
আমি তুমি ও বৃষ্টি এক বৃন্তে...
বহুবার চেয়েছিলাম তুমি একবার বলো "তোমায় ভালবাসি"।
ঘুম পাড়িয়ে দেয়ার সময় যখন দেখলে আমি ঘুমিয়ে গেছি,
তখন মিনমিন করে একবার বলেছিলে "আই লাভ ইউ".
ঘুমের ভান করে সেদিন তোমার মুখ থেকে শুনা...
©somewhere in net ltd.