![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার হাতের দিকে বাড়ানো তোমার হাত। হাতের ভেতরে শিখা, শত্রুতার এমন রূপ! কামনা বিভীষিকা
সবুজের বৈভবে হঠাৎ হরিৎ
বল্কল নিয়ে এলে
মনে হয় এইসব বৃক্ষের বিকেল
অনেক আগেই
লিখা হয়েছিল পৃথিবীর আয়ুর সাথে
পৃথিবীতে
আমার অগ্নির রঙে
আর তার সাবলীল ঢেউ
বাতাসে বাতাসে
ভেসে ভেসে ভালবেসে উঠে গিয়েছিল
আকাশের ওপারে মেঘে
ঝরোঝরো চোখে...
পাহাড় ও বৃক্ষরাজির শরীর ঘেঁষে
স্বতঃস্ফূর্ত
অপার সব ইচ্ছেরা যখন
বহমান
তখন এপার বা ওপার বলতে
কিছুই থাকার কথা ছিল না আমাদের
অথচ বলছি
ওপারে পানি আছে আর
এপার বিরান
অথবা বলছি ইচ্ছেরা আমার
শুধুই...
জানি -
মলাট উল্টালেই বেরিয়ে আসবে আজ
নামের সমস্ত শরীর
(সেই মুখ সেই নাম
যার কাছে রেখেছিলে অন্তর্গত প্রণাম)
কিছুই বুঝবে না তুমি
কেবল ঘ্রাণে ঘ্রাণে মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে
হয়ে যাবে মাতাল ও বধির
মলাট উল্টালেই...
যতটুকু অগ্নি পেলে অন্ধকারেও চোখ ছলছল করে
ততটুকু সীমায় তাকে বাঁধি
বেঁধে রাখি
নিভৃতে
মনেরই আনাচে
মন খারাপের সন্ধ্যেগুলোয়
টলোমলো জলে
ভেসে যাবার দূর দূরতায়
প্রকৌশল আঁকি
ততটুকু দৃষ্টি পেলে দৃশ্যের পর দৃশ্য - আর কি
১৩.০৫.২০১৭;...
অপূর্ণ থেকে লাভ কি
মুখোমুখি
একেবারে মিটিয়ে দেয়ার নাম-ই-তো বোঝাপড়া
বুঝে
তলিয়ে যাওয়া
১২.০৫.২০১৭; উত্তরা
অনবদ্য কোলাহলের ভেতর দিয়ে
সূর্যের মাথা গোঁজার সময় গুণে
যখন আমি বেরোই
তুমি তখন একলা ঘরে
শেষ সময়টুকু পার কোরছো
তোমার চোখের অন্ধকারের সেইসব
নির্বিকার নিঃশব্দে
আর আমার ফিরে আসার শ্রান্ত পিচ-ঢালা পথ
আবর্তনের মধ্য...
প্রত্যেকটি দিন চলে যাচ্ছে আমার
ঘুমের ভেতর
নির্দিষ্ট গন্তব্যে
প্রত্যেকটি রাত...
(মন ছুটেছে মেঘের ভেলায় / অন্ধকারে অবহেলায়..)
মেঘের ভেলায়
অন্ধকারে
ছুটে যাওয়া তোমার মন
আমার মনের দৃষ্টিকে
...
দীর্ঘতম চির প্রতীক্ষা-পথে
এনেছি প্লাবন এবার
আমাকে ধন্য বল কৃতজ্ঞ হ
ওহে নির্বোধ (অবুঝের দল)
মরে যা -
মরে গিয়ে ভেসে ওঠ
...
আমি যখন পাহাড়ের কথা বলছি
স্বপ্নচূড়ার কথা বলছি
বৃক্ষদের কথা আর পাখিদের কথা বলছি
তুমি তখন সম্পূর্ণ ডুবে আছ তোমার অবগাহন-মন্ত্রে
বিড়বিড় করে আউড়ে যাচ্ছ সেইসব শব্দাবলির ওম
যার গর্ভে নিয়ত বিলীন হচ্ছে আমাদের
বহমান ব্রহ্মপুত্রের...
থেকে থেকে দিনগুলো শুধু শূন্যে যায়
আর আমার গড়ে ওঠা নিঃশব্দ-পাহাড় আমাকে
এমন উচ্চতায় আসীন করে
যেখান থেকে আমি আর কিছুই
দেখতে পাই না
যতই আমার দূরদর্শী দৃষ্টি নিবদ্ধ করি না কেন
অক্ষরগুলো...
(যে জ্বলে তাকে জ্বলতে দাও -
বেরিয়ে আসতে দাও তার ভেতরের প্রাণান্ত উদগিরণ)
আমি জানি
তুমি যাকে চেনো তাকে তো চেনোই আর যাকে চেনোনি এখনও
সে তুমি অন্য তুমি
সে আগুন অন্য আগুন
আমাদের ছায়ার শরীর...
চোখের পেছনে চোখে
যদি আজ ব্যথার বৃষ্টির ভেতর
জাগে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ
যদি আজ ঘণ হয়ে নামে ভীষণ বৈশাখী ঝড়
কি করে ফেলবে নোঙর -
হে অগ্নি আমার
মনের ভেতরে মনে
জলজ হৃদয়-প্রাঙ্গণ তোমার
চেয়ে...
অমি সেই বিকেল বিন্দুর বিচ্ছুরিত আলোয়
যখন ঘণ হয়ে দাঁড়াই তোমার
প্রত্যাবর্তন পথে
এক পলক দেখে
স্থির বলে তখন কেউ হয়তো আমাকে চিহ্নিত
করতে পারতো
বলতে পারতো এখানে পাহারা বসাতে
আমরা...
জানি সহজ ছিল না তবু
এক পা দু পা ক’রে এগিয়ে গিয়েছি
মনের পরতে
এক পরাক্রান্ত ঈশ্বরের অনস্তিত্বের কাছে
জানিয়ে দিয়েছি তাকে
বলেছি অগ্নির নাম
যে আমার আশ্চর্য আলো অপার প্রেম
যদি সে...
©somewhere in net ltd.