![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার হাতের দিকে বাড়ানো তোমার হাত। হাতের ভেতরে শিখা, শত্রুতার এমন রূপ! কামনা বিভীষিকা
কি দ্যাখো
ভেতরের আগুনটা তো ফিকে হয়ে গেছে
সেই কবে
অথচ ভাঙা আয়নায় নিজেকে দেখার কী
এক অদ্ভুত প্রণয় নিয়ে
বসে আছো -
...
রাত নামলেই তুমি
থমকে গিয়ে মাটিতে নিষেধ
গাড়ছো
আর আমার উদ্ভ্রান্ত চোখ
ব্যথার বৃষ্টির ভেতর
অন্ধকার অন্তরীক্ষ থেকে বলছে
তোমাকে দেখবে
সম্পূর্ণ রূপে
এপার থেকে ঘুরে
ওপারে
আর তার শরীরকে নুইয়ে...
তোমার সমস্ত উচ্চারণই আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনে গেছি এদ্দিন
আমার শব্দের করতলে দ্যাখো সেইসব কথার কারুকার্যে আঁকা
প্রত্যেকটি পথের পদক্ষেপের সেইসব স্বপ্ন-গল্পের ইশতেহার লিখা
এখন আমি এই হাত দিয়ে আর যা-ই স্পর্শ...
1.
পুরো কাকতালীয় নয়
মনে মনে চেয়েওছিলাম দেখা হোক
দেখি
চোখের ভেতর থেকে দৃষ্টিকে বাড়িয়ে
সম্পূর্ণভাবে দেখি
2.
আর তুমি এলে
পা-এ পা-এ পেরিয়েও গেলে
খুব কাছ থেকে - অন্তরালে
3.
আর আমি
অন্তরাত্মার সেই আর্তনাদ-টিকে...
আরো বেশি প্রেম যেন মৃত্যু-মুখরে শূন্যে উড়ে যেতে গিয়ে চলে যাচ্ছে
আজ (সেইসব চোখের গভীরে আমাদের অন্তিম দৃষ্টির জলরাশি হয়ে)
আমাদের প্রাত্যহিক প্রলয় ও দূরতায় - যেন সব গন্ধময় জীবনের বর্ণাঢ্য
পথ-কাল...
অন্তর্জালে বাঁধা পড়ে আছে সমূহ শব্দের দ্যুতি এখন গ্রহনের কাল এক
মহারাত্রির পথ আমার দুয়ারে আমি তার আহবান জানি শব্দে নৈঃশব্দে
আমি তার অন্যতম অন্ধকারে অন্তর্গত মহাকাশ জানি এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে
মর্ম বেদনার...
চোখের গভীরে তোমার কেঁপে ওঠে দূর বিস্তৃত অভীষ্ট গন্তব্য আমার
যেখানে জলের কোনও ছায়া নেই ( ছায়া হতে নেই কোনও কায়ারও )
কেবল হৃদয়ে রক্তের রূপ উছলে ওঠা বানে ক্রমাগত ডেকে...
কৃতজ্ঞতা স্বীকার : সোনিয়া আকন্দ (পেন্সিল স্কেচ : ‘আর্তনাদ’)
অন্তর্গত প্রলয় ও সৌন্দর্যে পুড়ছে হৃদয় তাই প্রণয় ক্যানভাসে লিখেছি
অগ্নির নাম আর তুমি অন্তরাত্মায় এসে এঁকে দিলে আর্তনাদ তোমার
কি...
একেবারে শূন্য থেকে হঠাৎ উদয় হয়েছি আজ এই শতাব্দীর অপার প্রান্তরে
এখানে কেবল তোমার কাছেই পৌঁছোনোর ইচ্ছেয় দৃষ্টিকে করেছি প্রসারিত
প্রলম্বিত করেছি হাত যদি আজ বন্ধুতার নিরবচ্ছিন্ন আশা দেখতে পাও এতে
যদি মনে...
যে করেই হোক আমাকে স্পন্দিত করো তোমার হৃদয়ের উষ্ণতায় আজ
আলোড়ন তোলো আমাকে জাগাও এই ধরিত্রীর বিস্তীর্ণ প্রান্তরে তোমার
দৃষ্টিকে ফেরাও দ্যাখো সহস্র বছরের পর আরও একবার আমাদের সেই
প্রাচীন প্রণয়ের...
আগুন আমাকে ঝলসাতে পারবে না কেন জানো কারণ আমি নিজেই
আগুন অনন্তের গহীন থেকে প্রসারিত করেছি আমার উদগ্রীব শিখা
প্রকাশিত করেছি অগুনিত স্ফুলিঙ্গ পাতাল গর্ভ থেকে উৎক্ষিপ্ত করেছি
লাভা প্রণয়-অগ্নি অন্তরীক্ষে তুমি...
কৃতজ্ঞতা স্বীকার : নুদরাত নিসা (উড়ো চিঠি)
চোখের ভেতর অন্ধকার আকাশ আমার আমি তার দশ দিগন্ত
হাতরে বেড়াই যদি সে আসে প্রকট হয় ঈশান মেঘের ঘণঘটায়
যদি তার হৃদয় জমে থাকা...
দিনের পর দিন সম্পূর্ণ অবিশ্বাস্য হয়ে উঠছ তুমি বিস্ময়কর
তোমাকে রোধ করা আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে এখন
কি করব কোথায় যাব কার শরণাপন্ন হব কিচ্ছু কিনারা করতে
পারছি না...
অঝোর বৃষ্টিতে ঝরে যাচ্ছে আমাদের সিটি মেট্রোপলিটন
মেঘের কান্নার রঙে অপ্রস্তুত কংক্রিট দালান রাজপথ
তুমি আজ ফিরে যেও হে প্রেমময়ী আমার রাঙা হতে
হতে ফিরে যেও আমাদের প্রভাত থেকে দূরে অনেকটা...
পতনের পথ সবচে সহজ পতন মানে পচন বলে ছুড়ে
দিচ্ছ আজ ঘৃণা অবজ্ঞা এবং শ্লেষ যেন তার দীর্ঘশ্বাস
হঠাৎই আগুন হয়ে ঝলসায় যেন অগ্নোৎপাতে হাজার
বছর পেরিয়ে জেগে ওঠে ভিসুভিয়াস যেন এই শহরে
আমাদের...
©somewhere in net ltd.