![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার হাতের দিকে বাড়ানো তোমার হাত। হাতের ভেতরে শিখা, শত্রুতার এমন রূপ! কামনা বিভীষিকা
০৪.
প্লাবন এসে ভরে দিয়েছে আমার দুঃখ
ঘর মাঠপ্রান্তর ফসল ও
ক্ষেত
আমি এখন তাকিয়ে আছি নির্নিমেষ নক্ষত্রে
আমার পাশে আমার
প্রেত
ও পাহাড়- ও বাঁধ- ওহ্ প্লাবন তিনি কি বোঝেন না আমার অগ্নির মন
০৫.
মাটিকে ভেঙে...
০১.
পায়ের উপর পড়ে যাওয়া মুখ
দু’হাতে জড়িয়ে
তুলি
এক হাত শংকর নারায়ণ
আর এক হাত
আমি
বাকিটা তুমি যা বোঝো- হে অগ্নি
০২.
মাঝ থেকে একটা পাতা ঝরে গেছে
একটা পৃষ্ঠা ছিঁড়ে গেছে
বুকের
সেখানে সেই মুখ- সেইসব হাত তুলে...
পানিও নেমে যায়-
বুক থেকে
পথে
তারপর আরো নীচে.. আরও
যেভাবে তলিয়ে গেছে পরিশেষ তোমার
মাছের চোখের মতো চোখে
চেয়ে থাকি
প্রিয় পৃথিবীর মায়ার বিষাদে
তলে-
তলানিতে
জানি এ-ও নেমে যাবে- নেমে যায়- কোনও এক শতাব্দীর পর
চোখ থেকে
চোখের আধার...
কে একজন ওপার থেকে আওয়াজ দিলো আর আমি
দাঁড়িয়ে গেলাম বেদনার ভেতর
আত্ম-ক্ষরণের মুখে যন্ত্রণার সম্ভাব্য স্খলনের ভেতর
যেন
একটা ব্যাখ্যার খোঁজে আমাকে রাস্তায় উঠতে হবে এখন-
যেন আমার পা আর-একটি পায়ের দিকে এগিয়ে...
এই শহরে
পানির নিচে রাস্তা ভালো
সেই রাস্তায় এখন সব উঠতি বয়সেরা ডোবে
অথচ দ্যাখো
আমি কিছু লিখতে গিয়ে
পড়েছি এমন যে মেঘ-বৃষ্টির ক্ষোভে..
এ মনে যা-ই ছাপো না কেনো- যেন সব- সমস্তই-...
রোজ রাতে
ঘুমানোর আগে
একটা পোকার দিকে তাকিয়ে অজান্তে আমার গা শিউরে
ওঠে
কেন যেন ঘেন্নায় ও ক্রোধে মনের আকৃতি বিকৃত হয়
-আমি তলিয়ে দেখি না
অথচ সিদ্দিকুরকে টিয়ারশেল-এ অবলীলায় অন্ধ ক’রে দিল...
অথচ তার কোনো দোষ ছিল না
অন্য একটি ফুলের ভার শরীরে বয়ে যাচ্ছিলো
সৌন্দর্যের মৌলিক দ্যুতিকে ছাড়িয়ে
পার্থিব স্বার্থ সংশ্লিষ্ট
নির্মমতায়
তাকে তোমরা ভুল বলেছ
তাকে তোমরা মিথ্যে বলেছ
অন্ততঃ তার চোখ দুটো...
আরও একটি ফুল দূর থেকে- থেকে থেকে
চোখ মেলে অন্তর্জালে
কাছে গিয়ে দেখি
কোনো দোষ নেই
মাটির পাহাড় তার- নদী আছে স্রোত নেই
আমি তাকে বলি
নুড়ি ও পাথরে খোদাই একটি নদের বহতার কথা...
একটি ফুলের বিচ্ছিন্নতায় আমি সজাগ হই
একটি ফুলের আচ্ছন্নতায় আমি তখন জাগি
একটি ফুলের দূরত্বের পথ-
আমি তাকে বুঝতে চেষ্টা করি
আমি তাকে বুঝি
আমি তাকে জানতেও চাই
আমি তাকে লিখি.. আর লিখি.....
রাতের জোয়ারে পৃথিবীতে আমাদের এই মেট্রোপলিটনের
মস্তিষ্কের ভেতর রক্তক্ষরণের মতো
সংক্রমিত হয় কিছু অংক ও শব্দেরা
যাদের আমি লিপিবদ্ধ করি কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায়
আর
উপনীত সিদ্ধান্তে
যেগুলো নিম্নরূপ:-
০১. লোডশেডিং
‘গণিত কষিয়া এটি প্রমাণ...
৩. বিবিধ
পুরোনো কায়দায় ফেলে এসছি পা-
পাএ পাএ পদচিহ্নে আঁকা
পথ-নকশায়
লিখে দিয়েছেন তিনি
লিখে লিখে দিয়েছেন পথ-নির্দেশনা :-
কীভাবে কী এবং কেন
তারপর আরও-
রয়ে গেছে পরিশেষ অধিদপ্তর প্রকৌশল তাঁর
এইভাবে
এভাবেই
কী নিঃছিদ্র আশ্চর্য...
২. অবকাঠামো
জলের কাঁটা ও মনের কাঁটা
দুই কাঁটার মুহূর্তগুলো যখন এক হয়-
সমর্পিত হয়
অভিলম্বে
ঈশ্বর জানেন আমার মৃত্যু হয় তখন
যেহেতু
বৃষ্টির ভেতর একটা তাড়া থাকে
যা আমি অতিক্রম করে...
১. সেতু ও সড়ক
জীবনের খুব কাছ থেকে শুরু হয়ে
একটা সড়ক আমাদের পরিকল্পনায় উড়াল দেবে বলে
ঈশ্বর তা
লিখেছিলেন তাঁর
দাপ্তরিক কাগজ ও খাতায়
তারপর সেটি সিগনেচার ও সিল-গালার মাধ্যমে প্রেরণ...
পাঠ-০৩: আত্ম-ধ্যান
তারপর সবকিছু- সম্পূর্ণ তোমার হাতে
তুমি চাইলেই-
যেখানে পজ আছে- যেইসব স্থানে-
আমার পাঠের ভেতর যেখানে প্রবাহিত হচ্ছে মন্দ
আত্মার মান ও
মনন
সেইসব সম্ভাবনায় রোপণ করতে পারো তুমি- চাইলেই-
এইসব শব্দ-ভ্রূণ...
পাঠ-০২: শব্দ-ভ্রূণ
আর অল্প কিছুক্ষণ পর জেগে উঠবে সব রাতের শব্দেরা
জেগে উঠবে নারী ও নক্ষত্রেরা
যাদের কণ্ঠে আমার মন্দের পাঠ-
(যদি চাও) অল্প কিছুক্ষণ পর জেগে উঠতে পারো তুমিও
বসতে...
©somewhere in net ltd.