![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
করিম মিয়া বাজার থেকে
আনলো কিনে একটা জামা
খোকার
সেই জামাটা খোকার গায়ে
অনেক আঁটোসাঁটো
করিম মিয়া খোকার চেয়ে
একটুখানি খাটো
অবশেষে করিম মিয়া
সেই জামাটা নিজেই পরে নিল
আদতে যে আগে থেকেই
এই জামাটা করিম মিয়ার
মনে ধরেছিল
খোকার...
একটা দড়ির দুদিক থেকে দশটি গাধা টানছিল
সবার মাথায় টাক ছিল আর খাট্ট ওদের কান ছিল
একটি আবাল ঘোড়ায় চড়ে শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছিল
মগডালে এক বানর বসে ধুমছে তামাক খাচ্ছিল
চায়ের কাপে বাচাল বাবা...
যেদিকে তাকাই শব্দরা ওড়ে
ছড়ার কণারা ঝাঁকে ঝাঁকে
পাহাড়ের খাঁজে আকাশে ভূ-তলে
মেঘ ও নদীর বাঁকে বাঁকে
আমাদের গাঁয়ে তোমার শহরে
বাগানে, বাড়ির ছাদটাতে
ছড়ারা বিষম কুসুম ফোটায়
চাঁদ ঝলমল রাতটাতে
ফসলের মাঠে ঢেউয়ের বাতাসে
পাখিদের গানে গাছে গাছে
লাঙল...
তুমি কি তোমার ভুল আজও বোঝো নি?
আমি তো অভিশাপে পুড়ে পুড়ে
এতোটা জীবন ধরে ক্ষয় হয়েছি
হায়
আর কতকাল বলো
আসামি করে তুমি রাখবে আমায়
আসামি করে তুমি রাখবে আমায়
হায়
এ কী...
তালগাছে এক ষাঁড় উঠেছে
চিকন একটা মই বেয়ে
পাগলা খাঁসি খাচ্ছে খাবি
বিন্নি ধানের খই খেয়ে
বেজির সাথে লড়াই করে
বাঘটা ভীষণ হাঁপাচ্ছে
কানের ভেতর ডেঙ্গু মশা
সিংহটা তাই লাফাচ্ছে
মাকড়সাকে খামচি দিয়ে
পালাচ্ছিল টিকটিকি
আঁঠার জালে আটকে...
এক যে ছিল সুবোধ বালক
জমিদারের নাতি
শ্বশুর বাড়ি আসতে-যেতে
তার ছিল এক হাতি
হাতির পিঠে চড়তো নাতি
দাদুর কোলে বসে
দুলকি তালে যেতে যেতে
ঘুম দিত খুব কষে
শ্বশুর বাড়ি গিয়ে নাতি
কী খেতো তা জানো?
ঝালমুড়ি আর মাঠা...
কাল
বাজার থেকে নছর মামা
আনলো কিনে একটা জামা
লাল
আজ
প্যাকেট খুলে সেই জামাটার
খুললো মামা ভাঁজ
সেই জামাটা গায়ে দিয়ে
আয়নাতে সে দাঁড়ায়
তারপরে সে ধপাস করে
মাটির উপর সটান পড়ে
রাগের চোটে কিড়মিড়িয়ে
দাঁত খিঁচিয়ে মুখ খিঁচিয়ে
সবটুকু জ্ঞান হারায়
কী...
যত বড়ো কথা নয় তত বড়ো মুখ
মিছরির ছুরি মেরে পায় ভারি সুখ
অতিবড়ো বুক তার এতটুকু পাটা
তাস খেলে মাথা টাক নাকখানি ফাটা
আশ্বিনে আসে শীত মাঘে তার শেষ
আচারের সাথে মেখে খায় সন্দেশ
কারো...
হয়ত তুমি আদর করে
সোহামণির গাল দিয়েছ চুমি
অমনি দেখো দুর্মুখেরা
রটিয়ে দিল রগ কেটেছ তুমি
আলতো করে হয়ত দিলে
নরম হাতে একটুখানি চড়
অমনি তোমার পদ চলে যায়
হঠাৎ তখন সব হয়ে যায় পর
হয়ত তুমি...
যখন তোমার ভাল্লাগে না
তখন তুমি করবে কী?
খামচে ধরে বেজির দু পা
কুস্তি খানিক লড়বে কি?
রাতদুপুরে লাগলে খিদে
লাউ দিয়ে স্যুপ রাঁধবে কি?
লাত্থি মেরে ইটের দেয়াল
গানের সুরে কাঁদবে কি?
অন্ধকারে একলা ঘরে
পোজ দেবে...
স্কুলকলেজে বাংলায় প্রায়ই একটি প্রশ্ন থাকতো - ‘অমুক’ গল্পটি নিজের ভাষায় লেখো। একবার আমাদের এক শিক্ষক পাঠ্যবইয়ের একটা কবিতাকে নিজের শব্দে পুনর্লিখন করতে বলেছিলেন। কয়েকটা ছেলেমেয়ে বেশ ভালোই লিখেছিল, তবে...
তখন আমার অল্প বয়স, কতই বা আর হবে
মা-চাচি আর খালা-ফুপুর কোল ছেড়েছি সবে
তখন আমি তোমার মতো ছোট্ট ছিলাম কী যে
গেরাম ভরে ঘুরে বেড়াই বাবার কাঁধে চড়ে
সকালবেলা বিছনাখানি থাকতো রোজই ভিজে
ওসব...
এখনো নদীপারে ঝড় বয়ে যায়
সেই ঝড়ে তুমি আজও দাঁড়িয়ে আছো
কী করে ভুলবো তোমায় ঝড়ে-পড়া দুখিনি মেয়ে
বলো গো আমায়
নদী বয়ে যেতে যেতে
সাগরে মেশে
তোমাকে জীবন যেন
একটি খাঁচায় বেঁধে রেখেছে
আগুনের দেয়াল ঘেরা...
কোনো কোনো সকালে ম্যাজিক থাকে,
চারদিক কেন এত ভালো লাগে জানি না। একদঙ্গল ঢেউ
উথলে ওঠে বুক থেকে। বিপুল চাঙ্গা একটা বাতাসের ঝাপটা
সুড়সুড় ঢুকে পড়ে নাকের গভীরে
অদ্ভুত একটা গন্ধ...
প্রতিটা গভীর রাতে, যখন অতলান্ত নিদ্রায় ডুবে গেছি-
বহূদূর আসমান থেকে
ভেসে আসা সুরের মতো বেজে ওঠে এক মহীয়সী কণ্ঠ : ‘জাগো’।
আধো নিমীলিত চোখে ঘুমের জড়তা; আঁধারের ছায়ায়
কেউ কি বসে...
©somewhere in net ltd.