নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
এক যে ছিল সুবোধ বালক
জমিদারের নাতি
শ্বশুর বাড়ি আসতে-যেতে
তার ছিল এক হাতি
হাতির পিঠে চড়তো নাতি
দাদুর কোলে বসে
দুলকি তালে যেতে যেতে
ঘুম দিত খুব কষে
শ্বশুর বাড়ি গিয়ে নাতি
কী খেতো তা জানো?
ঝালমুড়ি আর মাঠা...
কাল
বাজার থেকে নছর মামা
আনলো কিনে একটা জামা
লাল
আজ
প্যাকেট খুলে সেই জামাটার
খুললো মামা ভাঁজ
সেই জামাটা গায়ে দিয়ে
আয়নাতে সে দাঁড়ায়
তারপরে সে ধপাস করে
মাটির উপর সটান পড়ে
রাগের চোটে কিড়মিড়িয়ে
দাঁত খিঁচিয়ে মুখ খিঁচিয়ে
সবটুকু জ্ঞান হারায়
কী...
যত বড়ো কথা নয় তত বড়ো মুখ
মিছরির ছুরি মেরে পায় ভারি সুখ
অতিবড়ো বুক তার এতটুকু পাটা
তাস খেলে মাথা টাক নাকখানি ফাটা
আশ্বিনে আসে শীত মাঘে তার শেষ
আচারের সাথে মেখে খায় সন্দেশ
কারো...
হয়ত তুমি আদর করে
সোহামণির গাল দিয়েছ চুমি
অমনি দেখো দুর্মুখেরা
রটিয়ে দিল রগ কেটেছ তুমি
আলতো করে হয়ত দিলে
নরম হাতে একটুখানি চড়
অমনি তোমার পদ চলে যায়
হঠাৎ তখন সব হয়ে যায় পর
হয়ত তুমি...
যখন তোমার ভাল্লাগে না
তখন তুমি করবে কী?
খামচে ধরে বেজির দু পা
কুস্তি খানিক লড়বে কি?
রাতদুপুরে লাগলে খিদে
লাউ দিয়ে স্যুপ রাঁধবে কি?
লাত্থি মেরে ইটের দেয়াল
গানের সুরে কাঁদবে কি?
অন্ধকারে একলা ঘরে
পোজ দেবে...
স্কুলকলেজে বাংলায় প্রায়ই একটি প্রশ্ন থাকতো - ‘অমুক’ গল্পটি নিজের ভাষায় লেখো। একবার আমাদের এক শিক্ষক পাঠ্যবইয়ের একটা কবিতাকে নিজের শব্দে পুনর্লিখন করতে বলেছিলেন। কয়েকটা ছেলেমেয়ে বেশ ভালোই লিখেছিল, তবে...
তখন আমার অল্প বয়স, কতই বা আর হবে
মা-চাচি আর খালা-ফুপুর কোল ছেড়েছি সবে
তখন আমি তোমার মতো ছোট্ট ছিলাম কী যে
গেরাম ভরে ঘুরে বেড়াই বাবার কাঁধে চড়ে
সকালবেলা বিছনাখানি থাকতো রোজই ভিজে
ওসব...
এখনো নদীপারে ঝড় বয়ে যায়
সেই ঝড়ে তুমি আজও দাঁড়িয়ে আছো
কী করে ভুলবো তোমায় ঝড়ে-পড়া দুখিনি মেয়ে
বলো গো আমায়
নদী বয়ে যেতে যেতে
সাগরে মেশে
তোমাকে জীবন যেন
একটি খাঁচায় বেঁধে রেখেছে
আগুনের দেয়াল ঘেরা...
কোনো কোনো সকালে ম্যাজিক থাকে,
চারদিক কেন এত ভালো লাগে জানি না। একদঙ্গল ঢেউ
উথলে ওঠে বুক থেকে। বিপুল চাঙ্গা একটা বাতাসের ঝাপটা
সুড়সুড় ঢুকে পড়ে নাকের গভীরে
অদ্ভুত একটা গন্ধ...
প্রতিটা গভীর রাতে, যখন অতলান্ত নিদ্রায় ডুবে গেছি-
বহূদূর আসমান থেকে
ভেসে আসা সুরের মতো বেজে ওঠে এক মহীয়সী কণ্ঠ : ‘জাগো’।
আধো নিমীলিত চোখে ঘুমের জড়তা; আঁধারের ছায়ায়
কেউ কি বসে...
একটা নিহত দিনের সবটুকু মায়া মাটির আধারে গেঁথে রেখে
ক্ষয়িষ্ণু স্মৃতির বুকে লুটিয়ে পড়ে দিশেহারা চোখ
ক্ষুব্ধবাক পিঁপড়ের রাশি চঞ্চলতা ভুলে গিয়ে খুবলে খায়
দুর্বৃত্ত ঘাস। একজোড়া সংশপ্তক কাক আচানক ডানা ভেঙে
মাটিতে ঝরে...
আগামী ০৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে আমেরিকার ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৫৯তম নির্বাচনের আগে এ নিয়ে একটা পোস্ট লিখেছিলাম। এ নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে আমার আদৌ কোনো ধারণা ছিল না, কিন্তু...
একদিন পেছন থেকে হঠাৎ দু’হাতে আমার চোখ বন্ধ করে কে যেন বলে উঠলো, ‘বল তো, কে আমি?’ আমি তার চোখ ছাড়িয়ে উলটো ঘুরতেই একফালি হাসি উড়িয়ে সে বললো, ‘আমি তোর...
আজ তোমাকে এমন কোথাও নিয়ে যাব যেখানে কেউ নেই
এ এক নির্জন রঙ্গশালা, যেখানে যাচ্ছেতাই করা যায়
কড়া পাহারা, কারো চোখরাঙানি, নিয়ম-শৃঙ্খল নেই,
নেই কোনো নিষেধাজ্ঞা
যা খুশি ভাবতে পারায় কোনো পাপ নেই
বসন-ভূষণ...
২০০৮ সালের দিকে যখন প্রথম ‘গল্পকণিকা’ লিখি, তখন এর সাইজ ছিল এক লাইন। এরপর এক লাইন থেকে দেড় লাইন, তিন লাইন, এক প্যারাগ্রাফ। সর্বোচ্চ ৩ অনুচ্ছেদের গল্পকণিকা লিখেছিলাম সেই সময়ে।
সম্প্রতি...
©somewhere in net ltd.