নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অসাধারণ মানুষগুলো সাধারণ হয়, অতিসাধারণ মানুষগুলো মানুষ হ্য়, মানুষ হতে হলে সাধারণ হতে হয়। হাফেজ আহমেদ
হে তোমরা যারা দল্টা কলেজের ছাত্র-শিক্ষক,
মনে রেখো আমিও এই জননীর এক অধম সন্তান!
এই শ্রাবণের দিঘির মত একদিন আমিও ছিলাম টিনএজার
যার সচ্ছ জলে আমি পদ্ম...
যাদের টাকায় চলছে এদেশ
চলছে সবার চাকরি
গর্দভেরাই তাদের পিছে
কটুক্তিতে আর কী!
সরকারি সব শিক্ষালয়ে
পড়াশোনা শেষ করে
সরকারেরই আমলা হলে
লাখটাকা ফের ঘুষ ভরে।
সরকারী যে এত খরচ
দিচ্ছে কারা নিচ্ছে কে?
মাস শেষে তোর...
শোকের ছায়া মস্ত ভারী
স্তব্ধ করে মন
হৃদয় বেয়ে নীরব ধারায়
জলের কী কম্পন!
কাঁপছে দু\'হাত কাঁপছে শরীর
দ্বন্দ্বে দুটি পা
কাঁপা ঠোঁটে নীরব চোটের
ছন্দে গভীর ঘা।
বুকে নিরাশা চোখে কুয়াশা
কান ভেদে যার...
সত্যরা সব গুমরে কাঁদে
মাথার উপর অন্ধকার
মিথ্যারা সব উল্লাসে আজ
বিবেকের যে বন্ধ দ্বার।
কাকগুলো সব ধবধবে আজ
বক গুলো সব কালো,
দিনের গায়ে অন্ধকার আর
রাতের গায়ে আলো।
নীরব কিছু প্রশ্ন জাগে
নীরব কিছু কথা
নিজের...
বিজলী তুফান বর্ষা শেষে
ভাদ্র-আশ্বিন মাসে
ডাঙার জলে ডিঙির উপর
শরৎ রানী হাসে।
মাঠের পরে মাঠ পেরিয়ে
আমন ক্ষেতের ধুম
শরৎ এলেই কৃষাণ ক্রোড়ে
নরম নরম ঘুম।
শরৎ এলে শুভ্র মেঘের
ইচ্ছে মতন ঢং
এই শরতে পদ্ম...
আকাশের গর্জনে কম্পিত সমুদ্র
জলধির উত্তাল উন্মাদনায় বীভৎস চিৎকার
আষাঢ়ের সন্ধ্যা পেরিয়ে এলো দ্বিপ্রহর রজনী
অথচ এখানেই থেমে গেছে নির্জন এ রাত।
আমি অন্ধকারে হেটে যাই দূর হতে দূর
কোথাও...
জাগো বাঙালি জাগো বাঙালি জাগতেই হবে তোমায় আজ
তুমি না জাগলে জাগবেনা দেশ জাগবেনা সমাজ।
তুমি না জাগলে ভোরের পাখি গাইবেনা আর গান
তুমি না জাগলে শাপলা শালুক করবেই অভিমান।
সেই অভিমানের আঁধার...
সভ্যতার ছায়াপথে ক্ষত বিক্ষত
শুভ্র নীহারিকার সুখ,
তারকার শরীর ঢেকে আছে রক্ত চাদর
উল্কার ভাঁজে ভাঁজে খুনের গন্ধ
বিজলির উন্মাদনায় উলঙ্গ শহর।
নক্ষত্রের থালায় ভেসে উঠে
কংকালের প্রতিচ্ছবি
অথচ কুকুরের থালায় ভরপুর সভ্যতা!
অত্যাধুনিকতার জিভ বেয়ে আসে নগ্নতার...
সূর্য কোনোদিন আলো দেয়নি
একটি সভ্যসমাজের গোড়াপত্তনে,
কালো রাত কখনো আঁধার ছড়ায়নি
সেই অসভ্য সমাজের আবর্তনে।
শুধু আমাদের চোখ
আপন আলো হারিয়েছে বারবার,
আমাদের চোখ\'ই ফের
বর্জন করেছে আঁধার।
তাই আমরা কখনো আলো দেখেছি
কখনো দেখেছি...
সুখের বন্যায় কচুরিপানার মতো ভেসেছি অনেক
দুখের সাগরে পাথরিয়ার ন্যায় ডুবেছি কতশত বার,
তবু আজও হতে পারিনি কারো
কেউ হতে পারেনি আমার।
আমি এখনো সুখের পেছনে
দুখের পদধ্বনি শুনতে পাই
এখনো দুখের পেছনে দেখি স্বর্গ...
মাঝে মাঝে কিছু ক্ষুধার্ত মানুষ দেখে
মনে পড়ে যায় দু\'হাজার এগারো\'র কথা
মনে পড়ে শহরের একটি বাড়ী ও মায়ের কথা
হৃদয় তোরণদ্বারে উঁকি দেয় কিছু প্রিয় মুখ, প্রিয় সুখ।
কলিজার পরতে পরতে চিনচিন করে...
তোমার হাতের একটি মালা
সাদা জীবন রাঙিয়ে দিলো
জানিনা সেই মালাতে কি ছিলো?
ফুল ছিলো \'কি\' ভুল ছিলো!
নাকি সবই আমার আবেগ ছিলো?
শুধু জানি
মিষ্টি কিছু জাদু ছিলো
জ্ঞানের বড়ই অভাব ছিলো
বাকিটুকু আঁধার...
ফটিক চরিত্রের পরাজয় দেখেছি
দেখেছি হাজারো ইতিহাসের নত শির
কী উন্মাদ ছিলে তুমি!
তোমার দুরন্ত শৈশব!
হাত ভেঙ্গেছিলে দুইয়ে দুইয়ে চারবার
অবশেষে অতি দুরন্তপনার দুঃস্বপ্নে নিমজ্জিত পা!
স্বপ্ন ছিলো প্রবাসের ক্লান্তিশেষে ফিরে...
উদাসীন ভাবনায় নিমগ্ন সন্ন্যাসী
ভাবনার নীলাম্বরে ভাসিয়ে দেয়
স্বপ্নের নীল নীল টুকরো।
তারপর
আশায় আশায়!
দিন কেটে যায়, রাত কেটে যায়
একটি মাহেন্দ্রক্ষণের প্রতীক্ষায়।
অথচ
স্বপ্নরা তখনো আকাশে ভাসে না
বাতাসে উড়ে না
শুধু বর্ণ হারায়,
দিনে দিনে...
নির্লিপ্ত ভাবনায় নিমগ্ন সন্ন্যাসী
ভাবনার নীলাম্বরে ভাসিয়ে দেয়
স্বপ্নের নীল নীল টুকরো।
অথচ ওরা আকাশে ভাসে না
বাতাসে উড়ে না
শুধু ফিরে ফিরে এসে দলবেঁধে ঝরেপড়ে চোখের পাতায়।
ফোঁটা ফোঁটা স্বপ্নজলে নিভে যায় স্বপ্নদ্বীপ
মেকী হয়ে...
©somewhere in net ltd.