![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের হারানো সুরের খোঁজে এঁকে যাই নৈশ্বাব্দিক অপেক্ষার ছবি। যদি কখনো ফিরে পাই বিশ্বাসের সেই পুরোনো রঙ তুলি তবে আবার আঁকতে চাই ভালোবাসার পুরনো সেই ক্যানভাসে পুরনো সেই একই ছবি -একই বিশ্বাস ।
দিন চলে যেত গতিহীন। কেঁচোর মত। সাঁকোর পাড়ের শালিক পাখিরা ছিল অর্থহীন। গাভীর মত মেঘ চড়লেও বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা ঠিকই হত। তখন আমারই কেবল সন্ধ্যা হত না। জানালার পাশে বৃষ্টির...
সকালের অবশ শরীর জেগে উঠে তোমার কথা ভেবে
মনেপড়ে সব, তোমার দেওয়া ভোরের চুম্বন প্রহর
দুপুরের উষ্ণতায় তোমার বুভুক্ষু হাতে আমার হাত
বিকেলের ঘুম শেষে লাল অস্তিনের ভিতর গোলাপবৃন্তে-
...
যেমন ছিলাম, ছিলাম। গ্রৈষ্মিক সন্ধ্যার নিস্তব্ধতায় ক্লান্ত
ঠিক তেমনি- নিরুত্তাপ, বোধহীন দুপুরের অভিভবতায় নিঃশ্রান্ত
পাখির ডাকে ছিলাম অন্তশ্চেতনা শূন্য, সারশূন্য ভ্রুক্ষেপহীন
শ্রাবণের সন্ধ্যায় ছিলাম বাসি ফুলের মত বৃন্তশূন্য, স্নিগ্ধহীন
রুক্ষ বিকেলে তুমি করলে...
পনেরর ‘পরে আমি এক পিতৃবৎ কিশোর
চালতার ডাল ভেঙেছি। রিনিদের পলাশ ডালিম সবই ছিড়েছি
পিপুলের ডালে দিয়েছি মাছরাঙার বিয়ে
তখন আমায় কেউই কিছু বলেনি।
আঠারোর ‘পরে আমি এক উন্মাদ নাস্তিক
শাস্ত্রীয় রীতি ছেড়ে পিয়েছি নিষিদ্ধ...
একদিন রজনীগন্ধার সাথে তোমার হাতে
একটি লাল গোলাপ তুলে দিলে-
হাত বাড়িয়ে নিলে ঠিকই-যেভাবে নিলে
ঠিক সেভাবেই তুলে দিলে-
ছেড়া পলিথিন হাতে কাগজের ঠোঙ্গা কুঁড়াতে আসা
হাড্ডিসাড় বালকটির হাতে।
নীরা, তুমি নিঃশব্দে চলে গেলে-জানলেনা-
জানতে...
তুমি জীবনানন্দের শিশিরের শব্দের মতন
ভেসে উঠা বাতাস
উড়ে চলে যাও ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে বহুদূরে
আর আমার ঘার্মাক্ত শরীর পিটি প্যারেড শেষে...।
নাহ, তোমাকে বলে কি লাভ?
তুমি তো একটু পরে ঠিকই...
জীবনের অনিমেষ স্বপ্নগুলো জলাবদ্ধতায় নিমগ্ন
বিশ্বাসের সব নক্ষত্র ধুমকেতু হয়ে পতিত হয়
তোমার ঢেউয়ের ভাঁজে। যেখানে জমে আছে
শিশিরে ভেজা কষ্টের বরফ-টুকরো। রাত্রির সব
ছায়ারা খুঁজে বেড়ায়-তাদের মৃতদেহগুলো
ঘুমিয়ে আছে কোন শ্মশানে। যদিও...
আমি একটি শাদা চাদর বুনছি
কার জন্য এই বুনাবুনি
--আমি জানি না।
আমার মা বাবা এখনো জীবিত
এখনো তারা হলদে পোড়া জমিতে
সবুজের নিঃশ্বাস নিতে জানে
তাই তাঁদের শাদা চাদরের প্রয়োজন নেই
বলেই আমার...
কারবালার গোধূলি বিসর্জিত তোমার রক্তে
আমি বিস্মৃত হই প্রতিবার সঙ্গমের পর
নিস্পৃহ উদাসীন আর একটি সঙ্গমের লোভে আবার শরীর জাগে
উন্মাদ হই কখন বুক ছিড়ে বের করব বালিকার প্রথম শরম
তুমি তো বারবার আমার...
নক্ষত্রের পর নক্ষত্র আকাশের নাভিতে মিলে যায়
সময় পরে থাকে যাযাবরের দেশে অঙ্কিত ত্রিমাত্রিক অক্ষরেখায়
দিন রাত হপ্তা করে এগিয়ে চলে কষ্টের অলস ঝুলবারান্দায়
মন চলে যায় দূরের আকাশের সীমানা পেড়িয়ে গভীর শূন্যতায়
সময়;...
মুছে যাওয়া গল্পের শেষ শাঁস পড়ে থাকে দ্রুহ্য শরীরে
জমে থাকে উড়াল পাখির ডানায়
শরতের কাশবন যেন উঠে আসে এক বিদীর্ণ কবিতার বাসরে
লুকিয়ে থাকে অর্বাচীন দ্রুম শিখায়
ধূসর আলোয় শাদা কামিজে হেটেচলে পৌরণিক...
আটলান্টিকের সবুজ জল কাঁদে
কাঁদে দক্ষিণের মাদাগাস্কার
যদি কখনো হারিয়ে যায় দার্ঢ্য শরীরের পেলভ রঙ
ম্যাপল পাতার সাথে ঠুকরে কাঁদে বাংলার ঊর্বশ্রী রেশম
কাঁদে উত্তরের হ্যামিশ্চায়ার
যদি কখনো হারিয়ে যায় স্থৈর্য সবুজের...
নিবির অন্ধকারে একঝাক নিস্তব্ধ বাড়ি
একঝাক নিস্তব্ধ উঠুন, ধূপময় নারী
আমাকে দেয়নিকো কখনো বেদনার আনকোড়া মাতাল হাওয়া,
...
রোদের টানে ছুটে চলে নামহীন জলজ শৈবাল
জলের ভিড়ে খোঁজে রোদমাখা শাদা নরম প্রবাল
দূরের গন্তব্যে নির্নিমেষ মেঘদের বুকে চরে আরেক
আরণ্যক গন্তব্য-যেখানে সবুজের সিঁড়িবেয়ে অনেক
প্রবাল-সবুজের অভিষেক।
নীল জলোচ্ছ্বাসের ভিতর মেতে উঠে...
একদিন গাছতলায় দাড়িয়ে
হাতে হাত চেপে শক্তি দিয়ে
চেপে ধরে চিবুকের নিচে
তোমার ওষ্ঠোধরে শক্তি...
©somewhere in net ltd.