নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মৃত আমি, তবুও আছি, কারো করুণায়, ক্রীড়কের বৈঠকখানায়
হিম রাতে পরমেশ্বর ভগবানের ভাগাড়ে
না দেখা কাব্য কুয়াশায় আচ্ছন্ন;
বিগলিত মোমবাতির আনাচে কানাচে
দেবতার শাপে ক্ষয়ে...
হয়তো ঝরে পড়েছিল সেখানে রাতে
মাটির মতো সে
মৃত কাব্যগুলো টেনে;
আচ্ছন্ন আগুন বারবার দাঁড়প্রান্তে চেয়ে
অস্থায়ী তুষারের গলে যাওয়া কিছু গন্ধে,
অগাধ তরাসে জ্বলন্ত গানের দরজায়,
সরাসরি কদর্যতায়,
যন্ত্র-সংগীতের...
যেখানে সেই ছায়ারা দুঃখ হয়ে
অমল আগুনের শুকনো আভায় গড়ে-
মোমবাতির মৃত শাখা, হয়েছিল অন্ধকার।
তারপরেও আকাশে জানতাম
বুকের তারা গলা অন্যান্য নদীরা
আকাশের কোনো দেবীর বিনুনিটার দিকে...
কানের মোড়ে মাঠের বাতাস হেঁটেছে এবং
আজকের সমস্ত ছায়া
যা নিভে ছিলো ঘরে
এই ভোরের ঘাসে
অথবা মাঝরাতে
একেবারে বোবা।
আর আমি সনে তোমারে
ছুঁয়ে, কখনই না আছি ,
করে ভয়;
এখানে...
পরিবর্তন শুকনো রঙ ছিলো,
মোমবাতি উপর
একটি পৃথিবী আর লাল পাহাড়ের মৃত্যু
সেই দিয়ে উঠতে বেঁচে ফাঁসি সূর্যের এবং
এই বিশাল শিখা আমার আজকাল দেখ
নিমেষেই অস্পষ্ট।...
ঝলমলে নির্জনতার মসৃণ গন্ধ
চিরকাল তরতাজা রেখেছে, থাক
মাটি বা পাথরে যত কিছু নাম রঙ কেটেছে
অথবা একান্ত বিন্যাস
যেখানে সময় কাব্যের আবরণ ।
উপরে এখনো...
দেবতার মতো করে সমুদ্র দেখিনি; অথবা আমি মৃত,
দেখিনি শতাব্দী পরিচিত কে হেঁটেছে।
যা ছিল সবুজ, ভীত
কখনই প্রথম এসেছে
মাটির মত ঝড়ে, আকাশে গেছে
শাখাগুলি। গানের স্থির শিকড়।
তারে পাই...
আকাশের নক্ষত্রের খাঁচার নীচে,
এখানে তোমাকে খুঁজিয়া যায়
বড় টিপ পরা এক অপেক্ষমান লজ্জাবতীর শাখা।
ক্ষেত থেকে বলেছিলো--
কি কথা শুকায়ে এক পৃথিবী হয়।
পাহাড়ের চুলে
খুব হলদে নিঃশব্দ কিছু...
চতুর চেতনায় পিষে শৈশবের যজ্ঞশালা তছনছ জানলাম।
প্রথাবদ্ধ ভগবানের নান্দনিক লেখনী
রক্তে মত্ত অমার্জিত অভিনন্দন
ভণ্ডামির সমুদ্রে আসীন
প্রতিশ্রুতিবান এক প্রখ্যাত উঠেই দেখেছেন কৌলিন্য।
ক্লেদ ও বিস্ময়ের...
তোমার কোনো রঙ ড্রয়িংরুমে পড়ে ভাবাবে অথচ
ট্রাক-ভর্তি দীর্ঘতম রাতে
আমাদের দৃষ্টির সংকীর্ণ রোদে
বোধ ও অস্থিরতার দীর্ঘস্থায়ী টিনের
কৌতূহলী কম্পনে
কমলার মতো গাদাগাদি করে
ছদ্মবেশী মৃত্যুর যন্ত্র
বসে...
জীবনের এই বিষাদের সাঁকো
আলোর প্রচ্ছদ চুষে
চিদানন্দ হাসিতে ঘরখানা লম্বা করে শায়িতা।
ইত্যকার নৈঃসঙ্গ্যের যে পশু
রবিবার ঘুটঘুটি নক্ষত্রগুলো হয়ে হয়তো
অবুঝ হাঁটে, দেয় কথা এই ধূসর...
শূন্যতাও ঘুরে-ফিরে টেনেটুনে
মাতাল রাস্তায়,
ব্যস্ত ঢেউয়ের বর্ধিষ্ণু পূর্বস্মৃতি
অথবা জমাট আলোর স্মরণ বাহুল্য জেনে
ধ্বংসহীনতার পশমি ভায়োলিন মাড়িয়ে
অদ্ভূত এই দ্বীপপুঞ্জের উপরে
শালগাছের ধূম্র ফুলের
তীব্র সাদামাটা জীবনদর্শন দেখাতে...
কখনও অনেক আলোর কতটা খুঁজে, এক
স্মৃতি সরোবরে,
বেশুমার দুপুরের উচ্ছ্বাসে,
ধস্তাধস্তির মেসে,
তোমার বহুতল দরোজার ফ্রেমে,
অনুতাপের বিদুর দুপুরে
আমি ;
মেঘহীন অগ্রহায়ণে পরা শাড়ীটা
অনুভবের কারুকাজের...
ভেজা পৃথিবীর ঘুমন্ত মায়া যত
ঘোরগ্রস্থ রোদে
অবনত অপরাধ সুখে
আফসোস ঝড়ের মুগ্ধতার কাব্যকথা
অথবা
জলের কোন মাধবী
মায়ায় রথে কাঁদে।
আমি ও ঝিনুকগুলি
প্রায়শ:
ইচ্ছাগুলোকে যাপনের
মুগ্ধতায় মরে হয়তো
কথার...
অবেলার ইচ্ছাগুলোকে উড়িয়ে পাঠালাম;
দয়ালু সমুদ্রে রাগের বাতিটা মৌনতায় লীন,
ব্যর্থ বিকেলে দুর্নীতি খুঁজতে থাকা তুমি
কিংবা
ঘুম চুম্বন আন্দোলনের আদালতে
অসভ্য সেই প্রমথন।
সে...
©somewhere in net ltd.