![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ফিল্ম বানাই, ছবি তুলি। বই প্রকাশিত হয়েছে ৫ টি। উপন্যাস, ছোট গল্প আর (অ)কবিতার বই। প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম 'বোধ'। ২০১৩ তে জিতেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড। স্বপ্নের সবটা জুড়ে গল্প। সেই গল্প বলতে চাই লেখায়, চলচ্চিত্রে, ছবিতে...
- এবার বলুন, আপনাকে দেখে যে আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি তার কি হবে?
-কি জানি কি হবে!
- তাই?...
আমি ভাবতাম
পথ হাঁটলেই পথ ফুরোবে
কাঁটা ডিঙ্গালেই শিশির ভেজা আস্ত গোলাপ...
কুপির আলোয় ভাত খেতে বসেছি। ডিম ভাজি আর ডাল।
সমস্যা হচ্ছে দুই ভাইয়ের জন্য ডিম মাত্র একটা। অর্ধেক-অর্ধেক। মুরগীর ডিম ছোট হওয়ার কথা। যখন খোপ থেকে নিয়ে এলাম, তখন ছিলও...
পথ মানেই পথ পেরুবার ইচ্ছে থাকে।
সদর দরোজা ডিঙ্গিয়ে পথ, পথ পেরিয়ে ধুলো, ধুলো মাড়িয়ে ক্ষেত। ক্ষেতের ধারে আলপথ।
আর থাকে বাড়ী ফেরার তাড়া।...
আমার স্বভাব মুগ্ধ হওয়া, আমি কারণে অকারণে মুগ্ধ হই।
যারা কথায় কথায় ছন্দ মিলিয়ে কবিতা বানাতে পারেন, তারা যেমন ‘স্বভাব কবি’, আমি তেমনি ‘স্বভাব মুগ্ধ’।
দুটো উদহারন দেই। সামনে আরও দেয়ার ইচ্ছে...
শেষ বিকেলে আমি দাঁড়িয়েছিলাম ধানক্ষেতের আলপথে। পেছনে ডুবে যেতে থাকা লাল সূর্য। ধবধবে সাদা পায়রাটা ঠুকরে খাচ্ছিল সোনালী ধান। তুমি তাকিয়ে ছিলে আমার চোখে। হঠাৎ হাত বাড়িয়ে তুমি অস্ফুট বললে-...
আমি সবসময়ই ব্যাকবেঞ্চার ছিলাম। আক্ষরীক এবং সর্বৈব অর্থেই ব্যাকবেঞ্চার। ক্লাশে এবং ক্লাশের বাইরেও। সবসময় নিজেকে নিয়ে চূড়ান্ত হীনমন্যতায় ভুগতাম। ব্যাপারটা এমন না যে আমার মেধা কিংবা জানাশোনাগত সীমাবদ্ধতাগুলো খুব প্রকট...
তখন বাবা চাকুরী করতেন ঢাকায়। আমরা ২ ভাই। আমি সিক্সে পড়ি আর ও থ্রিতে। রোজার মাস শুরু হতেই ২ ভাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত কম্পিটিশন। কে বেশী রোজা রাখতে পারে! আমি অবশ্য...
আমাদের ছেলেবেলায় পাঠ্য বইয়ের ছবিগুলো ছিল অসাধারণ! ছবিগুলো ছবির মতই। কি যে অসম্ভব সুন্দর! বুকের ভেতর কোথায় যেন তিরতির করে ছুঁয়ে দিত নরম বাতাস। আজকাল কারা বাচ্চাদের বইয়ের ছবি আঁকেন...
যেথায় থাকিস, ভালো থাকিস
আলোর রেখায়, হাতটা রাখিস
ভালো থাকিস...
কোথাও সত্য নেই, সত্য কোথাও নেই।
ট্রাম বাসে হুটোপুটি, বৃষ্টির লুটোপুটি। তবু রাতে ঘরে ফেরা। শুধু শুধু।
ঠিক জানি, কেউ নেই দরোজায়, কেউ নেই জানালায়।...
আমার বাবা দেখতে ছিলেন অনেকটা হলিউড অভিনেতা রাসেল ক্রো’র মত।
চওড়া কাঁধ, বিশাল বুকের ছাতি, ধবধবে ফর্সা মানুষটা যখন স্যান্ডো গেঞ্জি পড়ে হাঁটতেন তার মাসল দেখে আমার বন্ধুরা বলত, আল্লাহ, কত্ত...
আমার একটা বক ছিল, ধবধবে সাদা বক।
(এই কথা শুনে লোকগুলো হেসে উঠলো, ‘আরে ব্যাটা, কুচকুচে কালা বক হয়, এমন কথা বাপের জন্মে শুনেছে কেউ! আর বক আবার পোষা-ও যায় নাকিরে!...
অবশেষে ক্লাশ নাইনে উঠলাম।
ক্লাশে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৭৩। সেই তেয়াত্তর জনের মধ্যে আমার রোল নম্বর ৬৭! আহারে বেচারা! যদিও রোল নম্বর যতটা বলছে, ছাত্র কিন্তু আমি মোটেই ততটা খারাপ ছিলাম...
সম্ভবত ক্লাশ ফাইভে পড়ি তখন।
গ্রামে বাড়ীর পাশেই যে স্কুলটাতে পড়ি, তাহাতে সৌভাগ্যবশত মাথার উপরে টিনের চাল থাকিলেও চারিদিকে দেয়ালের কোন বালাই ছিলোনা। নিখাদ কাঁচা মাটির মেঝেতে বর্ষাকালে ব্যাঙ আর ইয়ামাহা...
©somewhere in net ltd.