![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।
ঝরা পাতার কাব্য গুলো
লকডাউনে বন্দী থেকে
বিবেকের কাঠগড়ায় যেন এসে দাঁড়ায়
মানুষ কদিন বাঁচে প্রশ্ন জাগে মনে
বেঁচে থাকার আশা তবে কী এখন দূরাশা
সুন্দর এই ভূবনে, মরিতে কে চায়!
বলো
তবুও তো...
যখন শেষ রাত, পৃথিবীটা কতই না স্নিগ্ধ,
এমন সময় খোদার রহমতের অবতীর্ণ হয়
স্রষ্টা তখন দয়াবরাবশ হয়ে ঘোষণা দিতে থাকেন, কে আছে এমন অভাবি,
কে আছে এখন সবিনয়ে প্রার্থনা রত
আমি তার অভাব...
উলুবনে মুক্ত ছড়িয়ে নেই কোন লাভ,
সময়ের অপচয় তাতে হবে শুধু সার।
উলুবন আগে তো ছিলনা এখন হয়েছে
ভালোবাসার বিনিময়ে তোমার ছলনায়
বিশ্বাসের মেরুদন্ড ভঙ্গ হয়েছে।
গোয়ালে পুড়া গরুর যেমন
বিজলীর আলোয় ভয়,
তোমার আশ্বাস বাণী...
এ যাত্রায় বেঁচে গেলে,
আমি হবো সেই চিলা ঘুড়িটা
অপার মুগ্ধতায় তুমি চেয়ে থাকো যার পানে
তোমার হাতে যার নাটাই,
কথা দিলাম তুমি যখন যেথায় চাবে
আমি উড়ে উড়ে পৌঁছে...
উঠেছে চাঁদ সুতোর মতো
অমিত এক সম্ভাবনার প্রতীক হয়ে,
আজ থেকে তাই হলো শুরু পবিত্র রমজান
আজ থেকেইই শৃঙ্খলিত ইবলিশ শয়তান ।...
তখন আমার বয়স মোটে আঠাশ,
সামনে এসে দিলো ধরা সোনার হরিণ
যেন অনন্ত এক আকাশ,
তখন আমার স্বপ্ন দেখার বয়স
চোখে আমার অনেকখানি রঙ
সামনে আমার সমৃদ্ধ এক ভবিষ্যতের হাতছানি
তখন আমি ভীষণ সুদর্শন
তখন...
কৃষকরাই শ্রেষ্ঠ সন্তান এই বিশ্ববিধাত্রীর
তাদের অন্নদানে ক্ষুধা নিবারণ এই পৃথিবীর।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিরলস পরিশ্রম
এমনি করে খাদ্য শস্য তাঁরা করেন উৎপাদন।
রোদ বৃষ্টি ঝড়ে জীবন তাদের কাটে অনাদরে
বুভূক্ষূ পৃথিবীটাই...
এতোদিন পরে তোমার উড়িবার হইলো সাধ,
আমি মেলেছি ডানা আমি থেকেছি চেয়ে নির্বাক,
অনন্ত প্রতীক্ষায়।
তুমি উড়োবে ইচ্ছে ঘুড়ি কবে মনের মতন করে
তুমি বেড়িয়ে আসবে কবে
শামুকের খোলস ছেড়ে? লজ্জাবতী লতা
তুমি স্বীকার...
সকল দেশের সেরা স্বদেশ; আমার জন্মভূমি।
সবার সেরা এ দেশের মানুষ; সহজ সরল
অতিথি পরায়ণ, জানেন অন্তর্যামী।
সবার সেরা এদেশের মাটি ,
এদেশের সোনাফলা ফসলী জমি সরস অতি
এই দেশেই বয়ে চলে সহস্র নদী,
অনন্ত...
স্নিগ্ধ সকাল ঘুম ভেঙে উঠেছি সকালে
নির্মল বাতাস ফুসফুসে নিই ভরে
আনমনে চেয়ে থাকি ঘরের বাহিরে,
বসে করিডোরে অলস শহর
কেহই যে নেই ঘরের বাহিরে।
যান্ত্রিক নগর যেন ঘুমিয়ে আছে
দুচোখে তার কর্মমুখর দিনের প্রত্যাশা,
গোটা...
আমি যেমন থাকি.
তোমরাও যেন থাকো বদ্ধঘরে
আজীবন থাকতে হবে না তো,
ভেসে যাবো স্বর্গসুখে মিলন প্রহরে।
করোনা মরণযজ্ঞ একদিন ঠিকই থেমে যাবে,
আমরা তখন আবারো ঘরের বাহির হবো
আমরা তখন যেন অগাধ বিশ্বাসে
একটি...
বারান্দায় বসে বসে উষ্ণতা শেষে বিধাতার
অপরূপ সৃষ্টি সুশীতল বৃষ্টি চেয়ে দেখি,
আহা !কি অপরূপ শোভা তার ;
তাই অবাক চেয়ে থাকি।
গায়ে এসে লাগে বৃষ্টি ভেজা হিমেল হাওয়া
এ যেন পরম আদরে...
এই দেশে এই রোগের বিস্তার সুদূর ইটালী থেকে
এই ভাইরাস এগারো বার বদলেছে তার রূপ
বহুরূপীয়া চাইনিজ ভাইরাস কোভিড নাইনটিন
যেন সাক্ষাত যমদূত
দৈবক্রমে কেউ কেউ বেঁচে যায় মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে
বাকিরা যেন...
ক্ষুধিত নারী দিতেছে চিৎকার,
করিতেছে বাতাস ভারী,
করোনা মহামারী নিতেছে প্রাণ কেড়ে
বৃদ্ধা জননী দূর বনবাসে করোনা সন্দেহে।
নিষ্ঠুর সন্তান চরম স্বার্থপর
বৃদ্ধ বাবার জানাজা দিতে হয়েছে অপারগ।
তবুও তো সন্তানের লাশ কোলে
সন্তান হারা পিতার...
রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে থাকা অযাচিত দূর্নীতি
ভোরের রবির মতো অতঃপর হলো প্রকাশিত
কোভিড নাইনটিন যেন সময়ের দর্পন
চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেল
জানি না হায় এই জাতির কি পরিণতি
কোভিড নাইনটিন মস্ত বড়ো...
©somewhere in net ltd.