নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কৃষ্ণগহ্বরে যাব না আর
আলো নেই, জীবন নেই, স্পর্শ নেই
নেই মায়া মমতার স্পন্দন।
মানুষের মাঝে হৃদয়ের লেনদেন নেই
কােনকিছু মনে রাখার তাগিদ নেই
কেবল স্বয়ং অন্ধকার।
কিছু দুঃখ
কিছু তাপ
কিছু শােক
কিছু কবিতার নির্যাস
এসব নিয়েই হৃদয়ের...
আমি আত্মমগ্ন হয়ে সবসুখ বিসর্জন দিতে পারিনি
দ্বিধাভুলে উন্মুক্ত হতে পারিনি নিবিড় বিনম্রতায়
লজ্জ্বিত হতে পারিনি
দ্বিখন্ডিত হতে পরিনি
হতবিহ্বল হতে পারিনি
জীবন খাতার প্রতিপাতায়।
আমি প্রিয়বিহনে দহন হতে পারিনি
নিঃসঙ্কোচে ভাঙতে পারিনি নিজেকে রক্তিম স্পন্দনে
অন্তরঙ্গ...
এক ঝাঁক বালিহাঁস হৃদয়ের দাবী রেখেছিল
মেঘালয়ের পাদদেশে
হৃদয়ের জলছাপে
ধূসর অস্তরাগে
অন্তবিহীন সুখবিলাসে
মায়াময় অস্তিত্বের নিবিড় সীমারেখায়।
এক ঝাঁক বুনোহাঁস মৌনতা ভেঙে শিস্ দিয়েছিল
গারো পাহাড়ের নীলিমায়
নিরুদ্দেশ মেঘমল্লারে
মাতাল অনুরাগে
বাঁধনহীন উল্লাসে
প্রীতিময় প্রণয়ের নিগুঢ়...
স্বপ্নঘোরের কুহেলিকা জালে
ধরা পড়েছে ঘাইহরিণীর দল,
ধূমল বাতাসে উড়ে যায় হরিয়াল
হলুদ হয় প্রান্তরের ঘাস
স্বর ভাঙা পাখিদের কােরাসে।
শৃগালের রথে চড়ে যে পথ
মাড়িয়ে যায় বিদীর্ণ শামুক
সে পথের কােন ভবিষ্যৎ নেই,
সে পথে নিমফুলের...
বুকের অন্তর্গত নিঃশ্বাসগুলোকে
যতবার অনুভব করতে যাই
ততবার শূন্যতার স্পর্শ পাই,
প্রগাঢ়, স্থির আর নিঃশব্দ।
খুব মনোযোগে কিংবা গাঢ় আলিঙ্গনে
অন্তরালের ঐ নিঃশব্দ শব্দবিন্দুতে
নিজেকে খুঁজতে গেলে
নিঃসীম শূন্যতায় ঘিরে ধরে,
স্তব্ধ, অটল আর দুষ্প্রাপ্য।
মানববোধের অতল...
অতএবঃ এখন আমি কবিতার সমাধিভূমিতে দাঁড়িয়ে
একটি সারাংশ টানতে পারি।
যেসব নির্বোধ পূর্বপুরুষ
কবিতায় শিল্পোত্তীর্ণ হতে চেয়ে
আমাকে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল
তাদের সে অধিকারে সমাপ্তিরেখা দিতে পারি।
সত্ত্বার গভীরে শারীরিক অস্তিত্ব রেখে
কবিতার সূর্যোদয়ে...
তারপর, নায়িকার হাতে হাত রেখে অনেকেই যুবক হয়ে উঠেছিল
কারো কারো সত্ত্বা জেগে উঠেছিল বিমুগ্ধ কোলাহলে,
সাহসিকা নায়িকা
বিজয়িনী নায়িকা
জয়দৃপ্তা নায়িকা
নিঃশেষ সমর্পণে আলোকিত হয়েছিল আপন মনস্বিতায়,
অবোধ আলিঙ্গনে দিশেহারা হয়েছিল মদিরা শরীরবৃত্তে।
নৃত্যোৎসবে মেতে...
সূর্যাসক্ত প্রীতিসজ্জায় কি এক
অন্তরঙ্গ শব্দধ্বনি শুনি,
শুনে আনমনে কেঁপে উঠি,
দেখি সিন্ধুপারের ধূসর পান্ডুলিপিতে
হৃদয়ে দুঃখ ভোলার আলিঙ্গন।
যেখানে বিয়োগান্ত আলোকমালায়
সন্ধ্যাপ্রদীপ হাতছানি দেয়
যেখানে আত্মার নিঃসঙ্গ স্বর বাজে
অশ্রু সুখ হয়
হৃদয় বিলুপ্ত হয়...
নক্ষত্ররা আজ ঘুমুতে যাবে না
হৃদয় বালিয়াড়ির সখ্যতায়
ষোড়শীর জলঘরে নেমেছে চন্দ্রসভা।
অন্তঃপুরের ভিতর কি বাহির
আত্মরাগের নির্যাসে এই জলসঙ্গীতে,
যুগলেরা \'তারাদের\' ইতিহাসে নাম লেখায়
অন্তহীন, মেঘেদের দলে।
আসক্তি আর সংসর্গে
প্রেমঘোরের জলরেখায়
প্রতিটি \'তারার...
লুকিয়ে ছিল, ছিল অনাবৃত একা
তখনও সূর্য ছিল পান্ড্রুর
তখনও প্রান্ত ছুঁয়ে আসেনি উজ্জ্বল্য।
অনন্ত অবসরের অবকাশে
আকাশ সন্ধ্যার দিকে চেয়েছিল একা।
সংশয় ছিলা না ক্ষনিকের,
এবেলা পাতা ঝরছিল শুকনো,
চলে যাওয়া রাস্তা শ্রান্ত
ক্লান্ত প্রান্ত...
প্রতিরাতে চাঁদ নেমে আসে নিষিক্ত শরীরজুড়ে
মায়াময়, ফিসফাস, চুপিচুপি।
আলোরা ঠোঁট আঁকে নিভৃত পাঁজরে,
জল হয় পূর্বপুরুষ জীবনের অন্যভূবনে।
হৃদয়ের পরিধি বৃত্ত না হোক,
হোক অসীম।
দুর দেশের রূপকথায়
অরূপ রতনের মতো।
আমি দেশ, তোমরা অবিবেচকের মতো বারবার আমায় করছো ক্ষতবিক্ষত, প্রতিনিয়ত দিচ্ছো অপমান। আমি সহ্য করছি, করছি অপেক্ষা তোমাদের বোধদয়ের। তোমরা ক্ষান্ত হও, বন্ধ কর এ আপমান। তোমাদের ভ্রান্তি আর অবিবেচনায়...
অবাক পৃথিবী অবাক, শুনি কার বানী
কালের স্রোতে ভেসে চলি, জানতে না পারি হায়,
জীবনসীমা ছাড়িয়ে, দিগন্ত পারে বিলীন
মহাসমুদ্র হাতছানি দেয়-
এ শুধু বদলে যাওয়ার দিন
সত্যরক্ষায় ভরে দিয়েছ সব ব্যাকুলতা
এখন আর দীর্ঘশ্বাস ফেলতে...
©somewhere in net ltd.