নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপুর বেজে হয়েছে সাড়ে তিনটার মতো। কিছুক্ষণ পরেই সময়ানুযায়ী বিকাল শুরু হবে। কিন্তু সূর্যের প্রখর তেজ, চারপাশের নাগরিক ব্যস্ততা, অগণিত অপরিচিতদের সাথে প্রাণপণ প্রতিযোগিতা করে কোন বাহনে উঠে একটু শরীর...
এক উজ্জ্বল রুপালী রাতে চারপাশে বৃষ্টি নেমে আসলো। ঈশ্বরই তাকে আকাশে নামিয়ে দিলেন। তার অভিপ্রায় কি সেটা সকলের কাছে গোপনই থাকলো। পৃথিবীর অন্তঃস্থ মানুষেরা শুধু জানলো যে অঝোর ধারায় বৃষ্টি...
তারা সোজা পথ ধরে হাঁটবে বলে মনঃস্থির করলো। প্রায় আধাঘন্টা হলো এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে অলিগলি হেঁটে তারা সরল পথে নিজেদের গন্তব্য দেখতে চাইছিলো। সেই কারণে তিনজন উৎসাহী রিকশাওয়ালাকে তারা না...
পৌষের অন্তিমে এক রৌদ্রছায়াময় দিনের বিকালে উত্তর দিক থেকে অপ্রিয় আগন্তুকের মতো করে একটা জোরালো বাতাস আসছে। সেটা ঠিক সূঁচের মতো গায়ে বিঁধছেনা। অথচ এই শীতে এমনটা বেশ ব্যতিক্রম।...
তিনি স্পষ্ট বুঝতে পারছেন এই যে ছটফটানি, শত সহস্র দিনের না বলা কথার ভারে ভারে যা আজ নিজেকে প্রকাশের জন্য উন্মুখ হয়েছে তাকে দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার। নয়তো এর মধ্যেই...
কোন কোন সকালে এমনটা ঘটে। ঘুম ভেঙ্গে গেলে জানালার পিছনে প্রবলভাবে উঁকি দিতে থাকা সূর্যকে ভর্ৎসনা না করে তার আলো শরীরে মেখে নিয়ে আদুরে বিড়াল হয়ে গুটিসুটি মেরে শুয়ে থাকতে...
বাবর রোডের আল্লাহর দান ফার্মেসীতে প্রয়োজনীয় ওষুধ শেষ পর্যন্ত ঠিকই পাওয়া যায়। তবু নিজামের বুকের খচখচ অনুভূতিটা কিঞ্চিত হয়ে এলেও তাকে বিদ্ধ করতেই থাকে। রুবেলের বাড়ি থেকে বেরুবার সময়ে সোনালী...
সুইসাইড করার ইচ্ছা আমার কতো তীব্র সেটা তোমাকে একশোবারের মতো বলছি। তারপরেও তুমি কনসিডার করতে চাওনা। খালি আমাকে ছাইড়া দিতে চাও।” বিকালে শারমিনের সাথে দেখা করার সময়ে প্রথমেই এই কথাগুলো...
অগণিত পথচারীর অশ্রুত অগণিত অভিব্যক্তির ধ্বনি কানে আসলে সমগ্র শরীর নড়ে উঠে। একবার সমগ্রটাই নড়ে উঠে স্থানু হয়ে আগের মতো নুয়ে থাকে। কয়েকদিন আগে পড়া এক জার্নালের কথা রিফাতের মগজের...
কিছুক্ষণ আগেও যেই মাখনের মতো গলে যাওয়া বাতাসকে অনুভব করা যাচ্ছিলো তা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। বেশ চমৎকার হাওয়ায় পথ চলা যাচ্ছিলো। মনে হয়েছিলো কিছু সময় পরেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামবে। কিন্তু...
অনেকদিন ধরে মনে হচ্ছিলো নিজের লেখনীর একটা নিজস্ব ভাষার প্রয়োজন। পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক অস্ত্র নাকি ভাষা। দিনে দিনে মনে হচ্ছে কথাটি অনেকাংশেই সত্য। যতো দিন যাচ্ছে, একটু একটু করে...
ডান চোখের পাতা বন্ধ করলে হালকা গোছের শিরশিরে এক ব্যাথায় সেঁজুতি আবছা কঁকিয়ে উঠে, গলা থেকে কোন আওয়াজ প্রকাশিত হতে অনিচ্ছুক বলে মুখমন্ডলের রেখাসমূহে আড়াই সেকেন্ডের জন্য মৃদু একটুকু পরিবর্তন...
বিছানার শেষ প্রান্ত ঘেঁষা স্থানের সামনে এক চিলতে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়াতে পারলে জোৎস্নার আলোকে দেখতে পাওয়া যায়। সেই আলো তার প্রতি উন্মুখ প্রতিটি উৎসুক মুখের প্রতিই সদয়। কিন্তু সময় কই?...
আধো আলোয় মনোয়ারার মুখে কৌতুকের পরিপূর্ণ হাসি প্রস্ফুটিত হয়, “শুনছিস নাকি রে আতাউল? রত্নার বাপকে নাকি সকালে পুলিশে ধরছে। এখন থানায় আছে। রত্নার বড় ভাই শুনেই থানায় গেছিলো। কোন লাভ...
“তুমি তো আব্বাকে একেবারে যাকে বলে, ইয়ে মানে কি বলে”.........উপযুক্ত শব্দ স্মরণ করতে না পারার ব্যর্থতায় নীরা সাত সপ্তাহের পরিচিত স্বামীর দিকে তাকিয়ে বোকা বোকা হাসে। সেই হাসিটা তার নিজের...
©somewhere in net ltd.