![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে আমার খুব ইচ্ছে হয় চারোদিকে শুধু হাসিমুখ দেখতে... ঘুম থেকে উঠে পূর্নিমা হোটেলে নাস্তা খেতে গিয়ে দেখবো 'গ্লাস বয়-ম্যাসিয়ার, ক্যাশিয়ার, খদ্দের' সবাই হাসছে... হাসছে রাস্তার অচেনা পথচারীরা... চা খেতে মোশারফ মামার টং দোকানে গিয়ে দেখবো সবাই হাসছে... হাসছে রিকশাওয়ালারা, বাস কিংবা প্রাইভেটকার চালকরা... হাসছে হকাররা... হাসছে গার্মেন্টস্ শ্রমিকরা... হাসছে স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থী থেকে ভার্সিটির বুদ্ধিজীবি টাইপের গম্ভীর ছেলেটাও! হাসছে পিঠা বিক্রেতা ময়না বানু... হাসছে নির্মান শ্রমিক জালাল মিয়া... হাসছে টোকাই শফিক... হাসছে ফুলওয়ালী কুসুম! আহারে! চারোদিকে কি দারুন প্রানবন্ত সব হাসিমুখ আর হাসিমুখ... ইট,কাঠ,কংক্রিটের এই শহরের রাস্তা-ঘাটে মলিন মুখ দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গেছি! যদি কোনদিন সত্যি সত্যি এই রকম হাসিমুখ দেখতে পেতাম তবে কেমন হতো কে জানে... নিশ্চয় ভয়ংঙ্কর আনন্দময় কিছু একটা হয়ে যেতো! একদম চোখ ভিজে যাবার মত আনন্দময়...
- বুদ্ধিজীবীঃ ভাই আপনে তো কামডা ভালো করতেছেন না।
- আমিঃ বুঝি নাই। বুঝায়া বলেন।
- বুদ্ধিজীবীঃ এইসব লেখা ঠিক না।
- আমিঃ কোন সব?
- বুদ্ধিজীবীঃ এই যে আপনে...
ওপাড়ের দাদাদের বড্ড অভিমান। তারা পোষ্টের পর পোষ্ট পয়দা করছে আর আমাদের ধুয়ে দিচ্ছে। যে যেভাবে পারছে জ্ঞানও দিচ্ছে। ব্যাপারটা সত্যি পুলকিত বোধ করার মত। এর মধ্যে রাহুল পান্ডা নামের...
খুব সম্ভবত ২০০৬ সালের কথা। আমার তখন চরম দুঃসময়। আলো নাই, আলো নাই। তীব্র মন খারাপ ভাব নিয়ে ধানমন্ডি লেকের পেছন দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কলা বাগান মাঠের সামনে এসে দাঁড়ালাম।...
সয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে আচমকাই দৌড়ে এলেন মেজর নূর। সঙ্গে সঙ্গে ব্রাশ ফায়ার। রক্তাক্ত বুক-পাঁজর নিয়ে এক মহাপুরুষ লুটিয়ে পড়লেন ধূলোমাখা সিঁড়িতে। তখনও তাঁর হাতে ছিলো প্রিয় পাইপ। কে বলবে এই...
“ধর্মে কোন
জবরদস্তি নেই। সৎ পথ ভ্রান্তপথ থেকে সুস্পষ্ট ভাবে আলাদা...”
–আল কোরআন। (সুরা বাকারাঃ২৫৬)
আপনার অনুভূতি যখন এতোটাই সস্তা আর ঠুনকো তখন অভিজিত্ রয়ের লেখা না পড়লেই তো পারতেন। না আপনি পড়েছেন...
আমাদের ৭১-এর রক্তাক্ত ইতিহাস বনরুটির মত কোন পদার্থ নয় যে ইন্ডিয়ার কুকুরগুলো কামড়া-কামড়ি শুরু করবে!
ইন্ডিয়া তুমি তোমার কুকুর সরাও নইলে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হবে।...
বাংলা একাডেমীর বই মেলা চলছে। মেলার কথা মনে হলেই বুকের ভেতরটা চ্যাৎ করে ওঠে! তখন আরও বেশী করে উপলব্দি করি "আপনি নেই..." আমার তখন খুব কান্না পায়!
আপনি আর কোনদিন মেলায়...
ভালো থেকো গনতন্ত্র অধিকারহীন
খেটে-খাওয়া মানুষের চোখের জলে...
ভালো থেকো গনতন্ত্র শহীদ নূর হোসেনের...
থমথমে ঢাকার অবরুদ্ধ চঞ্চলতা দেখে
আমি আর দুঃখ পাবো না...
ককটেল- টিয়ারসেলের শব্দে হারিয়ে যাওয়া...
মাঝে মাঝে অবাক বিস্ময়ে থমকে দাঁড়াই। বুকের ঠিক মাঝখানটাতে হাত রাখি আলতো করে, যেখানে হৃদপিন্ডটা থাকে। অবিশ্বাস্য ভয়ে ভয়ে টের পাই হৃদস্পন্দনের হৈচৈ। আমি এখনো বেঁচে আছি! এতো কিছুর পরেও...
ও ভাই, কে আছেন... শুনছেন! ভাসমান শ্রমিক মজিদ মিয়ার ছোট ছোট বাচ্চাগুলো না খেয়ে আছে। কাজ নেই। অবরোধে থমকে গেছে দেশ তবু পেটের কি বিলাসিতা... কেবল ভাত চায়। মোটা চালের...
আগামি বৈশাখে আমাদের দেখা হবে... হবেই...
কারুকাজময় নীল আকাশকে পেছনে ফেলে...
হেদায়েত আলীর জন্ম হয়েছে বাঁশ দিয়ে ঢেস দেওয়া ভাঙ্গা কুঁড়ে ঘরে। অভাব-অনটনের সংসারে বই-খাতা বিলাসিতা তবু আধ পেটে আর ছেঁড়া শার্টে হেদায়েত আলী মেট্রিক পাশ করেছিলেন। জীবিকার প্রয়োজনে তিনি ঢাকায়...
বৃদ্ধ লোকটা বিষন্নমুখে চায়ের দোকানে বসে আছেন। অনেকক্ষন ধরেই ব্যপারটা লক্ষ্য করছিলাম। কেন জানি খুব মায়া লাগলো। আমি লোকটার একটা হাত ধরে বললাম, 'নানা কিছু খাবেন?'
তিনি মুচকি হেসে উত্তর দিলেন,
'নারে...
যে আসে হৃদয়ের চোরা পথ ধরে...
হারিয়ে যায় সেও বুকের ভেতরটা শুন্য করে!...
©somewhere in net ltd.