নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম
হলুদ প্রজাপতি দেখলেই
মনে পড়ে যায়-
পাশের বাসার সেই নারীটির কথা!
প্রতিদিনই মধ্য দুপুরে-
দোতালার বারান্দার গ্রীল ধরে রাস্তায় তাকিয়ে নারীটি কি যেনো খুঁজতেন!!
একদিন ডেকে জানতে চেয়েছিলাম-
“এই অশরীরীয় জঙ্গলের শহরে আপনি কি খুঁজেন...
আমার বুকে লেগেছে আজ ‘মন খারাপ’ এর জন্মান্তরের অভিশাপ।
এতো ‘মন খারাপ’ কি কারো হয়!!
এমন বিলাপগ্রস্ত বিকেলে
আমার ‘মন’ ব্যর্থ সিনেমার পোস্টারের মতো ঝুলে আছে শহরময়।
আজ এই বিকেলে-
আমার মতো ‘মন খারাপ’...
দেখা হলো-
শেষমেশ দেখা হলো।
চলতি পথে অস্হির চোখ দুটি কতো মেরেছি ছুড়ে,
রিকশা, গাড়ি, বাসে অথবা অসংখ্য মানুষের ভীড়ে।
শেষমেশ তোকে দেখতে পেলাম মোবাইলের স্ক্রীনে,
উনিশশ তেইশ দিন ষোল ঘন্টা পার হওয়ার দিনে।
নাম...
বয়স
ছেলেটির- উনিশ,
মেয়েটির -সতেরো।
নাম-অপ্রাসংগিক তাই দেওয়া হলোনা।
প্রেমের জন্ম সময় – সন্ধ্যে ৫-৪৫ মিনিট।
সেই সময় সূর্য বিষন্ন আলো ছড়াতে ছড়াতে পৃথিবীর কফিনে ঢুকে যাচ্ছিলো ।
প্রেমের জন্ম- লম্বা চুলের
জিন্স্ প্যান্ট পরা...
আমার নিজস্ব কোনো প্রেম না থাকা স্বত্তেও-
আমি একজন প্রেমিকার জন্য চিঠি লিখি।
প্রতিরাতেই লিখি।
সংখ্যায় দশ বারোটা বা তারচেয়ে বেশি হবে।
মধ্যরাতে লিখতে বসলেই ঘরের পোষা টিকটিকিটি বিলাপ শুরু করে।
তখনই টের পাই হাতের...
প্রতি রাতেই নিশিতে পাওয়া মানুষের মতো আমার ঘুম বিছানা
শিড়দাড়া করে অসভ্য ভাবে দাড়িয়ে থাকে।
রাত বাড়ার সাথে সাথে তাই মধ্যরাতে হাইকোর্টের এজলাসে দাড়িয়ে যুক্তিতর্কের যুদ্ধে নামি বিছানার সাথে।
পরাজিত হয়ে যাই প্রতিবারই।
তারপর...
ভাঙাচোরা রাস্তায় রিকশার ঝাঁকুনিতে হঠাৎ আমার বুক পকেট থেকে একটা ‘নিম্ন মধ্যবিত্ত জীবন’ ছলকে পড়ে গেলো।
ব্যাস্ত রাস্তার চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে সেই জীবন।
মানুষের পা’য়ের তলায়, রিকশা আর গাড়ীর চাকার
নিচেও...
যদিও তোমার শরীর থেকে একশ মাইল বা তারচেয়ে বেশী দূরত্বে আমার বসবাস।
তবুও এমন হয় কেনো!!
-কি রকম?-
তোমার মোবাইলের ম্যাসেন্জারের সবুজ বাতিটা জ্বলতে দেখলেই-
আমার শরীরের ভিতরে প্রথমে একটা অগ্নি পুকুর তৈরী...
গত পরশু চৌরাস্তার মোড়ে একটি উনিশের যুবক জীবন হারিয়েছে।
সময় ছিলো বিকেল ৫-৩০।
একটু আগে এক পলকা বৃষ্টি হয়েছিলো।
সেই সময় সেখানে একটা রংধনু মুখ গোমড়া করে ঝুলেছিলো।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরন—
একটা উনিশের জীবন নিয়ে...
মধ্যরাতে ঢলঢলে ভাসা চাঁদের আলোতে-
সংসারী ছায়াপড়া জীবন খুঁজতে গিয়ে,
যেদিন থেকে ঢাকা
শহরের সব অলি-গলির
রাতের সব ল্যাম্পপোষ্টের সব বাতি
আমি খুন করিয়েছি গোপন আততায়ী দিয়ে।
সেদিন থেকেই দোষ লেগেছে আমার সংসারী...
মনোলীনা,
আমি বার বার মুখোশ বদলাই তোমারই জন্য,
আমিই সেই মানুষ।
আমি শুকনো পাতার দীর্ঘশ্বাস
দু’পায়ে অবলীলায় মাড়িয়ে-
গহীন অরন্য থেকে-
একটি আস্ত জোছনার চাঁদ চুরি করি।
তারপর থেকে সব বিষন্ন কবিরা আমাকে অভিশাপ দেয়...
এই শহরের আত্মঘাতী রোদ
কখনো কখনো আমার বুকের বিষন্ন কয়েদী।
এই শহরের বোকা বৃষ্টি
কখনো কখনো আমার চোখের ঝরে পড়া অক্ষর।
প্রতিদিনই শহরের সব খবরের কাগজ
শুধু আমি রোদে পোড়াই আর বৃষ্টিতে...
মনোলীনা,
একটি বেওয়ারিশ চুম্বন আমার বুকে খুঁটি গেড়েছে।
আমি আমার সব সর্বনাশের ফরমানের পতাকা পত-পত করে উড়তে দেখি সেই চুম্বনে।
চুম্বনটি আমাকে ছেলেধরার মতো গোপনে ফুসলায়-
‘বুক থেকে বের করে একবার যেনো তোমার...
মনোলীনা,
মধ্য রাতের নৈশব্দে হাটতে হাটতে
যখনই আমি তোমার বাড়ীর কাছাকাছি চলে আসি-
একটা পরিচিত ল্যাম্পপোষ্ট আমার পথ আগলে ধরবেই।
গলির রাতের পাহারাদারের মতো করে আমার শরীরে নিয়ন বাতির ফেলে জানতে চাইবে-
‘এতো বড় একটা...
একদিন বোধহয় আমরা বেঁচে ছিলাম!!
যেদিন থেকে,
তোমার শরীরে এক না দেখা
অন্য পুরুষের ছায়ার বিলাপ-
সেদিন থেকেই,
আমার ছবি তোমার ঘরের দেয়ালে
উল্টো হয়ে কালো কাপড়ে ঢেকে থাকে।
অথবা যেদিন থেকে,
আমার...
©somewhere in net ltd.