নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম
যখন তখন দেখা হয়ে যায় তার সাথে!
লুকিয়ে থেকেও লাভ নেই।
ঘরে বাইরে সব জায়গায়-
এমন কি পুকুর অথবা নদীতে!
হঠাৎ ভুল করে চোখ তুলে তাকালে,
কোনো আয়নায় অথবা জলেও
দেখা যায় তাকে -
একজন ভীষন পরিচিত...
এক অদ্ভুত অসুখে আমি বোধহয় শীঘ্রই মরে যাবো তাই——
অসুখ -১
———————
একলা হলেই
একটি সাদা বক বুকে বসে পড়ে যখন তখন।
“ছুঁয়ো না-ছুঁয়ো না”
বকটি না করার পরও
লোভীর মতো তাকে ধরতে যাই প্রতিবার।
ছুঁতেও...
১০৭ নং দুঃখটা বড্ড কষ্টে ফেলেছে আমাকে।
কষ্টটা হঠাৎ করেই শুরু হলো এক কলিজাপুড়া দুঃস্বপ্নের ঝাপটাতে।
বুকের ভিতর আস্ত একটা পুরাতন বাড়ী ধুমড়ে মুচড়ে ভেঙ্গে পড়লো সেই কষ্টে।
আশ্চর্য!!
চারিদিক থেকে চেনা-অচেনা অনেক মানুষই...
দুঃস্বপ্নের এই বুক জুড়ে
মধ্যরাতে হঠাৎ করে
-উড়ে আর উড়ে,
...
যুবকটি চামড়াপোড়া রোঁদে দাড়িয়ে ছিলো যাত্রাবাড়ী মোড়ে ৮নং বাসের অপেক্ষায়।
অনেকদিন পর তীব্র পিপাসায়
বরফ শীতল একটা কোক কিনলো যাত্রী ছাউনির ছোট্ট দোকান থেকে।
এক মিনিটের এক চুমুকে
বোতলের মুখে না দেখা...
পুরুষ মানুষটি -
বুঝতে পারছিলো সে মারা যাচ্ছে।
ঠিক সেই সময়ে সে অপলক তাকিয়ে ছিলো একজন নারীর দিকে।
সেই নারীর চোখের অবহেলার আঘাতে পুরুষের চোখের মাঝে রক্তাক্ত জখম হচ্ছিলো।
জখম চোখ...
মি. মোদী বললেন,
“মানুষের ভালোবাসার দাম একেবারে মূল্যহীন করে দাও।
সাথে বুকের সব অভিমান আর হাহাকার কেড়ে নাও।
শুধু তাদের বুকে ধরিয়ে দাও পাহাড় পরিনাম কষ্ট”।
মি. ট্রাম্প বললেন,
“মানুষের চোখের ছিড়ে ছিড়ে পড়া জল।
বিশ্বায়নের...
নতুন মহল্লার বেবাক বাড়ি ধইরা
আমার মাথাডা খালি সো সো কইরা
কে যে উড়ায় এই ঢাউস মাথাডা?
মাথাডা দুই হাতেও ধইরা থামাইতে পারিনা!
চোখখে মুখখে খালি তোমার দোষ লাগা বাতাস খালি বাইরায়।
আমার...
ভুল করে,
শুধু ভুল করে বুকের দরজা খুলেছিলাম একদিন!
তারপর থেকে,
একটা আস্ত আমাবশ্যার চাঁদ সুযোগ বুঝে ঢুকে গেলো সেখানে।
তখন থেকে দশ রাত-
এই বুকে সব দখিনা হাওয়া বন্ধ।
বাতাসের করুন কম্পন আর বিষাক্ত কান্নার...
যে মানুষটি,
ভর দুপুরে তপ্ত সূর্যের দিকে তাকিয়ে আগুনে চোখ পোড়ায়,
- সেটি আমি।
যে মানুষটি,
প্রচন্ড বৃষ্টিতে ইচ্ছে করে ভুলে ছাতা ছাড়া বের হয়ে আনন্দে জলে ঝরে ঝরে পড়ে,
- সেটি আমি।
যে মানুষটি,
বোকা বিকেলে...
মন খারাপ হলেই আমি ফিরে আসি নিজের কাছে।
আসলে আমি ফিরি কিনা??
প্রচন্ড ভুল ঘৃনায়ও আমি বেঁচে থাকার এম্বুলেন্সে সাইরেন বাঁজিয়ে পুরো শহরকে জানান দেই,
আমি এখনো বেঁচে আছি।
আবার বেঁচে আছি...
মা,
তুই আমায় বলতি ‘বোকা মানিক’।
আর বাবা বেঁচে থাকতে কথায় কথায় বলতো,
‘গাধার ঘরে গাধা’।
কেউ আমাকে গাধা বললে-
মা’ তুই অনেক কষ্ট পেতিস,
এই একটা জিনিষই আমি কেমনে যেনো বুঝতাম!!
ছোট ভাই বোনেরাও সুযোগ...
আমাকে এভাবেই যেতে হবে!!
কে যেনো লিখে রেখেছিলো?
সারাজীবন মায়াবী চাঁদের কবিতা লিখলাম,
অথচ, আজই আকাশে কেন যেনো চাঁদ নেই!!
চারিদিকে এতো ঘুটঘুটে অন্ধকার,
তবুও আমাকে হারিয়ে যেতেই হবে!!
ও চাঁদ, দোহাই তোমার-
-আমাকে যেনো কেউ খুঁজে...
ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে
ল্যাম্পপোস্টের গায়ে ঝুলে থাকা
মাকড়সার জালের মতো সারি সারি
...
প্রচন্ড বৃষ্টির দিনে-
যে অচেনা মানুষটা আমাকে ছাতা এগিয়ে দিলো,
বৃষ্টি থামতেই কোনো কিছু না বলেই
চলে যাচ্ছিলো একবারও পিছনে না তাকিয়ে।
আমি তাকে ধন্যবাদ দিতেই মৃদু হেসে বলে উঠলো,
-এই বৃষ্টির দিনে শুধু...
©somewhere in net ltd.