নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম
ইদানিং আমার হয়েছে বড়ই বিপদ-
আয়নায় তাকালেই কোত্থেকে এক পুরুষ
এসে হাজির হয় সেখানে।
শক্ত সামর্থ্য অথচ বিপন্ন ভাব তার চেহারায়।
স্হির চোখে আমার দিকে তাকায়,
তারপর-
তারপর, লক্ষ কোটি মূহুর্ত পেরিয়ে যায়
তবুও চোখের পলক...
আমাকে চিনতে পেরেছেন?
আমি-
আমি,
থাক নাম বললেও চিনবেন না।
প্রায় পঁচিশ বছর আগে-
ওয়াসা গলির ১০৭/এ তে ভাড়া থাকতাম।
আপনাদের দু’বাড়ী পর।
ছ’মাস অনেক সাহস করেও
একটি চিঠি লিখেতে পারিনি,
শুধু আপনাকে দিবো বলে।
আশ্চর্য!!
কেনো যে সাহস হয়নি...
ঢাকা শহর-১
——————
ছায়া বিক্রি হয় এই ঢাকা শহরে।
শহরের সব ট্রাফিক সিগন্যালে-
লাল সুঁতোতে ঝুলিয়ে ঝুলিয়ে
ছায়া বিক্রি করে কিছু জন্মান্ধ মানুষ।
সিগন্যালে থেমে যাওয়া গাড়ী থেকে মাথা বের করে-
কিছু ছায়াহীন মানুষ দরদাম করে ছায়া...
আমার বয়স যখন পাঁচ-
তখন আমার এক খেলার সাথী মেয়ে,
আমাকে দিয়েছিলো
একটি পা ভাঙ্গা মাটির পুতুল।
পা ভাঙ্গা পুতুল দেখলেই তখন তার রাগ হতো ।
দশ বছর বয়সে এক বালিকা দিয়েছিলো একটি হলুদ...
হলুদ প্রজাপতি দেখলেই
মনে পড়ে যায়-
পাশের বাসার সেই নারীটির কথা!
প্রতিদিনই মধ্য দুপুরে-
দোতালার বারান্দার গ্রীল ধরে রাস্তায় তাকিয়ে নারীটি কি যেনো খুঁজতেন!!
একদিন ডেকে জানতে চেয়েছিলাম-
“এই অশরীরীয় জঙ্গলের শহরে আপনি কি খুঁজেন...
আমার বুকে লেগেছে আজ ‘মন খারাপ’ এর জন্মান্তরের অভিশাপ।
এতো ‘মন খারাপ’ কি কারো হয়!!
এমন বিলাপগ্রস্ত বিকেলে
আমার ‘মন’ ব্যর্থ সিনেমার পোস্টারের মতো ঝুলে আছে শহরময়।
আজ এই বিকেলে-
আমার মতো ‘মন খারাপ’...
দেখা হলো-
শেষমেশ দেখা হলো।
চলতি পথে অস্হির চোখ দুটি কতো মেরেছি ছুড়ে,
রিকশা, গাড়ি, বাসে অথবা অসংখ্য মানুষের ভীড়ে।
শেষমেশ তোকে দেখতে পেলাম মোবাইলের স্ক্রীনে,
উনিশশ তেইশ দিন ষোল ঘন্টা পার হওয়ার দিনে।
নাম...
বয়স
ছেলেটির- উনিশ,
মেয়েটির -সতেরো।
নাম-অপ্রাসংগিক তাই দেওয়া হলোনা।
প্রেমের জন্ম সময় – সন্ধ্যে ৫-৪৫ মিনিট।
সেই সময় সূর্য বিষন্ন আলো ছড়াতে ছড়াতে পৃথিবীর কফিনে ঢুকে যাচ্ছিলো ।
প্রেমের জন্ম- লম্বা চুলের
জিন্স্ প্যান্ট পরা...
আমার নিজস্ব কোনো প্রেম না থাকা স্বত্তেও-
আমি একজন প্রেমিকার জন্য চিঠি লিখি।
প্রতিরাতেই লিখি।
সংখ্যায় দশ বারোটা বা তারচেয়ে বেশি হবে।
মধ্যরাতে লিখতে বসলেই ঘরের পোষা টিকটিকিটি বিলাপ শুরু করে।
তখনই টের পাই হাতের...
প্রতি রাতেই নিশিতে পাওয়া মানুষের মতো আমার ঘুম বিছানা
শিড়দাড়া করে অসভ্য ভাবে দাড়িয়ে থাকে।
রাত বাড়ার সাথে সাথে তাই মধ্যরাতে হাইকোর্টের এজলাসে দাড়িয়ে যুক্তিতর্কের যুদ্ধে নামি বিছানার সাথে।
পরাজিত হয়ে যাই প্রতিবারই।
তারপর...
ভাঙাচোরা রাস্তায় রিকশার ঝাঁকুনিতে হঠাৎ আমার বুক পকেট থেকে একটা ‘নিম্ন মধ্যবিত্ত জীবন’ ছলকে পড়ে গেলো।
ব্যাস্ত রাস্তার চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে সেই জীবন।
মানুষের পা’য়ের তলায়, রিকশা আর গাড়ীর চাকার
নিচেও...
যদিও তোমার শরীর থেকে একশ মাইল বা তারচেয়ে বেশী দূরত্বে আমার বসবাস।
তবুও এমন হয় কেনো!!
-কি রকম?-
তোমার মোবাইলের ম্যাসেন্জারের সবুজ বাতিটা জ্বলতে দেখলেই-
আমার শরীরের ভিতরে প্রথমে একটা অগ্নি পুকুর তৈরী...
গত পরশু চৌরাস্তার মোড়ে একটি উনিশের যুবক জীবন হারিয়েছে।
সময় ছিলো বিকেল ৫-৩০।
একটু আগে এক পলকা বৃষ্টি হয়েছিলো।
সেই সময় সেখানে একটা রংধনু মুখ গোমড়া করে ঝুলেছিলো।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরন—
একটা উনিশের জীবন নিয়ে...
মধ্যরাতে ঢলঢলে ভাসা চাঁদের আলোতে-
সংসারী ছায়াপড়া জীবন খুঁজতে গিয়ে,
যেদিন থেকে ঢাকা
শহরের সব অলি-গলির
রাতের সব ল্যাম্পপোষ্টের সব বাতি
আমি খুন করিয়েছি গোপন আততায়ী দিয়ে।
সেদিন থেকেই দোষ লেগেছে আমার সংসারী...
©somewhere in net ltd.