নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তন্দ্রাকুমারী একটি কাল্পনিক চরিত্র যার সন্ধানে আছি নিশিদিন!!
আজো জীবন মানে, তোমার ভরাট দু\'টি চোখ,
দুপুর মানে, তোমার শরীরে রয়েছে আমার শোক।
পৃথিবী মানে, সন্ধ্যা বেলার বিষন্ন বৈদগ্ধতা,
বুকে-পিঠে তোমার হৃদয় বহন করার উষ্ণতা।
তোমার জন্য হয়েছি আমি, একলা আমি...
হয়তো আমাদের পরিচয় হয়েছিল ঈশ্বরের সর্বোচ্চ করুণার দানে
হয়তো আমার মধ্যে সেই প্রথম পরিচয়ের ক্ষতাক্ত দগদগে আঁচড়-
নোঙর হয়ে থাকবে অসীম সময়ের তীর্থভূমিতে অনন্তকাল।
কিংবা হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো তোমার সে মেঘ মেঘ...
আমি অপনার খেলনা হবো, দোলনা?
আলোর পথে বন্যা হবো, ঝর্ণা?
আকাশ ছোয়া স্বপ্ন হবো, অনন্যা?
কিংবা একটু কষ্ট হবো, কান্না?
অথবা এক দস্যু হবো, চান না?
আমার আমি দুপুর বেলা খান না,
বুকের ভিতর বৃষ্টি...
আমিও ঘুমিয়ে ছিলাম, পৃথিবীর প্রস্থ বরাবর
তারপর এক সময়, ভেজা আলোয় পা ডুবিয়ে
অনেক দিন-রাতের শেষে এক বিন্দু অবসর
এসেছে এখানে, জীবন নদীর মত গুটিয়ে।
বারবার বসেছে সে জাহাজের ইঞ্জিনের উপর
তার মুখে অন্য...
একদিন সবকিছু জেগে ওঠবে
আমাদের বেলাভূমিতেও ফুল ফুটবে,
ফুলেদের মস্তিষ্কে অবাক তাকাবো-
যেখানে ঘাসফুলেরা হরিণের মত,
বৃষ্টির রাত হবে পদ্মপাতার গান
দৃষ্টিরা আধো জ্বলে নিভে যাবে;
কুয়াশার খড় দিয়ে গড়া স্বাপ্নিক খাদ্য
নতুন আশা হবে: ঝরে পড়বে
তারপর,...
আজও আমি সমুদ্রের উদ্দাম নৃত্য দেখি
পৃথিবীর সব ডাহুক কানে কানে আজও বলে,
ওরা আমায় খুঁজে পায় শাপলা-শালুকের দলে
ঐ গম্ভীর রজনীগন্ধাও দেখা দেয় একাকী;
কী কথা বলে যায় ওরা ভোরের...
মাঝে মাঝে নিজেকে খুব বস্তাপচা সস্তা মনে হয়। জানা নাই কিছুই অথচ ভাব ধরতে হচ্ছে সবজান্তা সমশের! লোকের একটানা ছি! ছি! ছি! শুনতে প্রস্তুত নই বলেই এমন হয়- অতীতে বাস...
মনে কর, ভালবাসায় বান ডেকেছে
খড়কুটো সব শাপলা শালুকে ভরে গেছে
বুকেও সুখ উষ্ণ প্রেমের ঘর গড়েছে
স্তুপের মত চোখের ভিতর চোখ ফুটেছে।
স্বপ্নগুলো ঝাঁক বেঁধে সব উড়ে এসেছে
শাদা-কালো-নীল আকাশটা গান গেয়েছে
আমার আমি...
আমি আঁধার ছুঁতে ছুঁতে তোমায় ছুঁয়ে ফেলি
জলের প্রয়োজনে,
আঙুলেরাও সেদিন তোমায় ছুয়েঁ
যেন শিশিরের উপর মাথা দিয়ে
শিরিষের দীর্ঘশ্বাসগুলোতে,
তোমায় আমায় ঘিরে রেখেছিল।
রাতের বিশ্বস্ততা যেভাবে ভালোবাসার
লাল মেঘ হয়ে...
স্বপ্নবীজ বুনেছি তোমার চোখের কোণে,
চাইলে তুমি বলতে পার যা খুশি আজ-
মনের সাথে মন মিশিয়ে করবে কারুকাজ?
ভিডিও কল দিতেই পার আজকে আমার ফোনে।
আমি জানি তোমার মুখের কতখানি পাঠ?...
অন্য এক শ্লোগান খেলা করে ধমনীতে,
সেই ঘৃতনদীতেই আমাদের আবগাহন-
তবু বুঝবার ভার পরেছে বোঝার বোঝাতে
মরুচারী কবিকুলের পদাঙ্ক অনুসরণ!
সে আমাকে চায় না, চায় না মধুভুবন?
আমি দোসর মরণের, তাই লিখি ছাই
হঠাৎ কিছু ধবধবে...
আর কতবার ঘাসফুল আর জবা হবে?
আমি তোমকে কোনদিন চিনি নাই-
জামের কচি উল্টাসিধা পাতার ধার হয়ে রবে?
তারপরও খুঁজে পাই, তবুও ভালবেসে যাই!
এক অন্তর্ঘাতী বয়ানে অন্ধ-বোবা মৌমাছিদের
ঘুম ভেঙে গেলে আজ ভোরের বাতাসে...
নির্মম সত্যের কুঠারাঘাতে ছিন্ন স্বপ্নমালা,
রাতের কোমল জগতে সন্দিঘ্ন নয় তবুও
পূর্বেকার বুকচেরা ভোর আর উষ্ণতাও
আজ মনে হয় অনন্ত পথের জ্বালা।
আজ এতটাই দুঃখবাদী আমি আর যমুনা
দুজনেই যেন দু’জনের জগতে নমুনা।
প্রেম...
তোমায় আমি দেখেছিলাম তাই
বুকের মাঝে তোমার গন্ধ পাই,
তোমার নামের শব্দে ভিজে ভিজে
হারিয়ে গেছি নিজের ভিতর নিজে-
তবুও আমি তোমার জন্যে খুঁজি
ভুলে যাওয়া কোন গানের সুর
তোমার ভীষণ জ্বরের কারণ বুঝি
কেন তুমি রয়েছ...
তুমি বলতে, আমি নাকি সম্পূর্ণ অচেনা কেউ-
তবুও বললে সেদিন কত কি কথা!
দীর্ঘ আখের খেতের ভিতর জমানো নিরবতা
আর দু’জনের হৃদয়ের উপচে পড়া ঢেউ
আঁছড়ে পড়ছিল তখনো কথার উপরে
তোমার...
©somewhere in net ltd.