নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বক্ষপটে যে পূর্ণিমা লুকোনো
ধূসরিত মেঘ কোলে চন্দ্র নিবেদন~
দুর্গম দুর্গ পেরিয়ে সাধনার ধন,
বেজে উঠে তার আপনালয়ে
পবিত্র প্রেম স্পন্দন|
সুরালোক হতে আপনা হৃদয় মাঝে
থেকে থেকে যার সুর ঝংকার...
নীল জোছনার মতই রূপ সুধাময়
দীপ্ত দীপক কাদম্বিনী তলে~
থইথই মাঝিমাল্লার প্রেম
নাচে শীর্ষ দুলে দুলে;
হাসিছে খলখল
মুক্তোদানা মেলে~
বাতাসের দিকে দিকে
মধুসুরে গাইছে ঊষার লগ্নে
নীলাভ মিষ্টি মেঘে সকালের গান~
ঝরনার বুক ছুঁয়ে...
আজ হয়ত নেই কিছু আর পেছনে ফেরার~
বেআইনি ভালবাসা ফুল মিশে গেছে
বুনো লতাপাতার ঘন তল্লাটে~
গহীনে গাঢ়া অন্ধকার অতলে
ঝাঁক ঝাঁক মাধুকরীদের
বিষাদ গানে ছেয়ে গেছে তাই আম্রকানন;
সফেদি গন্ধরাজের অবদমিত জলকণা;
কর্পূর ধোঁয়ায় বিশুদ্ধি...
বয়ে যাও হে দহন পবন; শতাব্দীকাল দাবানল
বয়ে যাও শতগুণ হয়ে সাব্যসাচী লৌকিকতায়
নেচে যাও শতদ্রু বাস্তবতায়-
আর অনাচার ফুঁড়ে হোক পাক
এই জাহান্নামীদের বুকে বুকে,
মুক্ত কর মানব যত মরছে যারা ধুঁকে...
মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন-Earth provide many things to satisfy every human\'s need; not every human\'s greed. কথাটি আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। কেন করি তার বিষদ কিছু বলব না। শুধু অল্প...
এই দিবাগত রাতের হুতুম
ঘড়ির কাঁটায় চেপে ধরেছে
চেনা পথের বেনামি জগদ্দল পাথর।
গতি নেই শিশুতোষ লাটিমের ঘুর্ণন পথে-
থমকে থাকা স্নায়ুর কানে
কত রূপকথা গানপাখি,
ডালে ডালে কত ঘুম পাড়ানিয়া গান;
রাত এসেছে...
মনের নিবিড় গলিতে দেখছি তোমায়
একেলা এক নির্জন বিরানভূমে-
দিনক্ষণ যায় সবি বদলায়,
হৃদয় রয়েছে তোমার চরণ চুমে!
আজ সময়ের বানে দেখি অনবরত
নিয়ম করে কত সূর্য ঢলে,
কত চেনা শহর রঙ...
হে হংস-বলাকা,
ঝঞ্ঝা-মদরসে মত্ত তোমাদের পাখা
রাশি রাশি আনন্দের অট্টহাসে
বিস্ময়ের জাগরণ তরঙ্গিয়া চলিল আকাশে.......
-রবী বাবু (বলাকা)
কবিগুরুর বলাকা কবিতাটি পড়েই ভাবলাম হংস সে কবি মনে এত দাগ কেটে গেল কেন? কারণ...
যখনি দেখেছি বিশুদ্ধ জলের বুকে
ফিনফিনে বাতাসের প্রেম,
প্রশস্ততা মেপেছি তার চোখের তারায়।
কি অপার্থিব রূপের মোহ,
বয়ে যায়, ঝরে যায়-
মাঠঘাট হয়ে
শুষ্কহৃদয় মরুত,
আজ তৃপ্ত শীতল বারিধারায়।
উদার সে মোলায়েম বুকের প্রান্ত চূড়ায়,
ঘন গহীন মনের...
এই এলোমেলো রাতের মতই
আমার কবিতাগুলো বড্ড এলোমেলো;
যেন কালবৈশাখীর ফনায় নেচে নেচে ওঠে;
বাধা মানে না; খেমটা ঘুর্নির পাকে
চক্র; কি চক্র!
অন্ধকার, কি অন্ধকার!
বিশ্বাস করো এলিটা, আমি এলোমেলো হতে...
কতটা পথ পাড়ি দিলে এই জল হবে পথ?
কতটুকু সাঁতারে ভেসে হবে এর শেষ?
কতবার নাও বেয়ে মাঝিমাল্লার পাবে
একরত্তি জল?
কত আয়োজন চললে
নদী খুঁজে পাবে আরো কিছু জল,
হাল খুঁজে পাবে আরো...
কিছু শব্দমালা যা থেকে যায় অচ্ছুৎ
মনস্রোতের নিভৃত বালুচর হয়ে,
তাতে জন্মায় কত কাশফুল নিয়ম করে-
এক শরৎ নীলের নীচে আরেক শরৎ।
এভাবেই কত না শতাব্দী ধরে চাপা
পড়া পলিতে কখনো সে হয়...
শাশ্বত কিছুই থাকে না হৃদয় মাঝে,
জলের মতই স্বচ্ছতা চারিদিক,
তবুও সমুদ্র বুকেপিঠে সে
জমে যায়, বয়ে যায়, ফুঁসে ওঠে,
একসমুদ্র মাঝে শুধুই অন্য মহাসমুদ্র জলখেলা।
আর তা দেখে অনেকেই বলেছে-
কতই না মোহন্ত মোহনার...
নদী তো চলে গেছে সুদূরতার পানে
পাখিরাও ডানা মেলে মধ্যখানে-
কাশফুল ছেয়ে গেছে শরতের টানে,
তবুও ভুরুখানি খোঁজেনি কভু
স্বচ্ছজলটুকু ছাড়া একফোঁটা
স্নিগ্ধ কবিতার রঙ, উচ্চরব।
তাই গাঙচিল উড়ে গেছে,
সূর্যটা ডুবে গেছে,
কুয়াশাটা ছেয়ে গেছে।...
কবিতা তাই যা মনে ভেসে ওঠে
ভরা দিঘিজলে ঘাই মারা মাছেদের মত,
ছুপছাপ করে।
কবিতা তাই যা কখনো জলের বুকে
সদ্যজোড়া রাজহাঁস, পানকৌড়ি ডানা,
অজস্র শাপলা শালুক আর ফুটন্ত কচুরিপানা।
আবার, কবিতা তাই...
©somewhere in net ltd.